রোহিতের ব্যাটিং তাণ্ডবের দিনে বল হাতে সব রেকর্ড ভেঙে দুরন্ত ইতিহাস গড়লেন কুলদীপ যাদব !

আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ভারতের শুরু সেই ভাবে না হলেও, ম্যাচ যত গড়িয়েছে ততই দখল নিতে শুরু করে টিম ইন্ডিয়া। জ্বলে ওঠেন জসপ্রীত বুমরাহ থেকে শুরু করে মহম্মদ সিরাজ এবং কুলদীপ যাদবরা। ভারতীয় এই বোলারদের দাপটে মাত্র ৪২.৫ ওভারে মাত্র ১৯১ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। যদিও এই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট কুলদীপ যাদবের এক ওভারে ২টি উইকেট। আর তাতেই ম্যাচ ঘুরে যায়। পাকিস্তান দল মাত্র ৩৬ রানে হারাল ৮ উইকেট। আর অনবদ্য বোলিংয়ে ইতিহাস গড়লো ভারতের এই চায়না ম্যান স্পিনার।

ম্যাচের শুরু থেকেই পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা রীতিমতো চাপের মধ্যে ছিলেন এবং ফ্রি ভাবে রান করতে পারছিলেন না। তার কৃতিত্ব অবশ্যই ভারতীয় বোলারদের এবং রোহিত শর্মার দুর্দান্ত অধিনায়কত্বের। স্বাভাবিক ভাবেই এটা স্পষ্ট হয়েছে, পাকিস্তান দলের টপ অর্ডার ভালো খেললেও লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা এলেন আর গেলেন। সেই সঙ্গে বলে রাখা ভালো এই ম্যাচে দুর্দান্ত বল করা কুলদীপ এক ওভারে দুটি উইকেট নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন এই স্পিনার।

```

বাঁ-হাতি স্পিনার হিসাবে প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার ব্র্যাড হগকে পিছনে ফেলে দিলেন তিনি। বর্তমানে কুলদীপের ঝুলিতে ১৫৭টি ওডিআই উইকেট রয়েছে। এতদিন ওডিআইতে বাঁ-হাতি স্পিনারদের তালিকায় সবার প্রথমে ছিলেন এবার তাঁকে টপকে গেলেন কুলদীপ। নয়া এই রেকর্ড গড়ে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি ভারতীয় দলের এই স্পিনার। এদিন আমদাবাদের পিচে বল বেশ ঘুরতে থাকে। বিশেষ করে ভারতীয় স্পিনাররা যখন বল করছিলেন। আর তাতেই কুপোকাত হয়ে যান পাক ব্যাটাররা। পরপর উইকেট হারাতে থাকে তারা।

মাত্র ৩৬ রানের মধ্যে ৮টি উইকেট হারিয়ে বসেন তারা। আর তাতেই ১৯১ রানে শেষ হয়ে যায় তাদের ইনিংস। তবে এদিন শুরু খুব একটা খারাপ করেনি পাকিস্তান দল। তবে লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা কিছুই করে যেতে পারেননি। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। পরপর উইকেট হারিয়ে অল্পরানেই শেষ করে তাদের ইনিংস।এই ম্যাচে কুলদীপ, বুমরাহ, সিরাজ, হার্দিক এবং রবীন্দ্র জাদেজা ২টি করে উইকেট নেন।

```

শুধুমাত্র শার্দুল ঠাকুর একটিও উইকেট তুলতে পারেননি। ম্যাচ শেষে কুলদীপ জানান, ‘এই উইকেটটা কিছুটা স্লো ছিল। আমরা লাইন এবং লেন্থে ফোকাস করেছিলাম। পাশাপাশি আমার বলের গতি কখনও বাড়িয়েছি আবার কমিয়েছি। বিভিন্ন ভাবে বল করেছি। আমি খুব ভালো বোলিং করেছি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলা এবং এখানে প্রায় ৯০ হাজার মানুষ দেখছে। আমি সত্যি অবাক। পরিবেশ পুরো আলাদা। দুর্দান্ত ম্যাচ উপভোগ করছে সবাই।’

সব মিলিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই জয় দিয়ে ভারতীয় দল বিশ্বকাপে অতিরিক্ত কনফিডেন্স পেয়ে গেল সেটা বলাই যায়।