২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপে ভারত ইতিমধ্যেই ছ’টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। আর ছয় ম্যাচের ৬টিতেই জয় পেয়েছে তারা। ব্যাটিং বোলিং এবং ফিল্ডিং সব দিক দিয়ে ভারতীয় দল যে ধরনের পারফরম্যান্স করছে তাতে এই মুহূর্তে টিম ইন্ডিয়া কে পরাজিত করা যে কোন টিমের পক্ষে ভীষণ কঠিন হতে পারে। তবে ভারতীয় দলে গতকাল মোঃ শামি যে ইতিহাস গড়েছেন তা অনন্য, যদিও এই ছ’টি ম্যাচের মধ্যে প্রথম চারটি ম্যাচে খেলার সুযোগ পাননি ভারতের অভিজ্ঞ পেসার মহম্মদ শামি। তিনি খেলেছেন মাত্র দু’টি ম্যাচ। আর এই দু’টি ম্যাচেই যাকে বলে একেবারে নিজের জাত চিনিয়েছেন এই ভারতীয় পেসার।
ধর্মশালাতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পরে এদিন লখনউতেও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিলেন চার উইকেট। পাশাপাশি পুরুষদের ওডিআই বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক অনন্য নজির গড়ে ফেললেন তিনি। স্পর্শ করলেন আর এক তারকা পেসার অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্কের নজির।ওডিআই বিশ্বকাপের ইতিহাসে সব থেকে বেশি বার এক ম্যাচে চার বা তার বেশি উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন শামি। এই নিয়ে ছয় ম্যাচে তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন। যে কৃতিত্ব রয়েছে মিচেল স্টার্কেরও। তবে স্টার্কের থেকে অনেক কম ম্যাচ খেলে এই নজির গড়েছেন শামি। শামি খেলেছেন ১৩ ম্যাচ। সেখানে ছয় বার তিনি গড়েছেন এই কৃতিত্ব। অন্যদিকে মিচেল স্টার্ক খেলেছেন ২৪ টি ম্যাচ। সেখানে ছয় বার তিনি এই কৃতিত্ব গড়েছেন।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন স্পিনার ইমরান তাহির। তিনি ২১ ম্যাচে পাঁচ বার এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা ট্রেন্ট বোল্ট ২৫ ম্যাচে চার বার নিয়েছেন চার বা তার বেশি উইকেট। চতুর্থ স্থানে থাকা মুথাইয়া মুরলিধরন ৩৯ ম্যাচে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন চার বার। শাহিদ আফ্রিদি ২৪ ম্যাচে চার বার এবং শেন ওয়ার্ন ১৭ ম্যাচে চার বার এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন।
প্রসঙ্গত ওডিআই বিশ্বকাপের ইতিহাসে শামি হলেন দ্বিতীয় ভারতীয় বোলার, যিনি হ্যাটট্রিক করেছিলেন। ২০১৯ সালে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তিনি হ্যাটট্রিক করেছিলেন। এর আগে এই নজির ছিল একমাত্র চেতন শর্মার। এদিন লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সাত ওভার বল করেন শামি। দিয়েছেন মাত্র ২২ রান। নিয়েছেন চার চারটি উইকেট। বেন স্টোকস, জনি বেয়ারস্টো, মইন আলি এবং আদিল রশিদকে এদিন প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখিয়েছেন তিনি।
শামি, জসপ্রীত বুমরাহ এবং কুলদীপ যাদবের দুরন্ত বোলিং পারফরম্যান্সে ভর করেই ইংল্যান্ডকে ১২৯ রানে অলআউট করে দিয়ে ১০০ রানের বড় ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ভারত। ২৩০ রানের মত একটা টোটাল যে ভারতীয় দল এত সহজে এবং দাপটের সাথে ডিফেন্ড করতে পেরেছে এটাও রীতিমতো প্রশংসাযোগ্য।
তার পাশাপাশি একটা কঠিন পিচের উপর যেখানে ভারত 230 রানের কাছাকাছি একটা টার্গেট সেট করতে পেরেছে সেটাও প্রশংসাযোগ্য কারণ এই ধরনের কঠিন পিচের উপরে 230 রান একটা চ্যালেঞ্জিং টোটাল হতে পারে।।