বিশ্বকাপের সাত নম্বর ম্যাচের শ্রীলংকার মুখোমুখি হয়েছিল ভারতীয় দল তবে এই ম্যাচে ভারতীয় দল যে ধরনের পারফরম্যান্স করেছে তা রীতিমতো প্রশংসাযোগ্য কারণ একতরফাভাবে শ্রীলংকাকে মাত্র ৫৫ রানে বান্ডিল করে ভারতীয় দল জয়লাভ করেছে।। এই ম্যাচে ভারতীয় দলের সবথেকে বড় ম্যাচ উইনার হিসেবে সামনে এগিয়ে এসেছে মোঃ শামি যে পাঁচটি উইকেট সংগ্রহ করেছে। তবে ভারত ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা একদিকে যেমন শামির প্রশংসা করেছেন তার পাশাপাশি অন্য এক ক্রিকেটারকে প্রশংসায় ভাসিয়ে দিয়েছেন এবং জয়ের কৃতিত্ব সমানভাবে তাকেও দিয়েছেন।
প্রথমত, ব্যাটসম্যানরা প্রত্যেকেই দলের পারফর্ম্যান্সে নিজেদের অবদান রাখছেন। একজন ব্যর্থ হলে তাঁর খামতি ঢেকে দিচ্ছেন অন্যরা। দ্বিতীয়ত, ব্যাটসম্যানরা সফল হোন বা না হোন, বোলাররা নিজেদের ভূমিকা যথাযথ পালন করছেন। একে তো দলের সবাই ফর্মে রয়েছেন। তার উপর বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে টানা ৭ ম্যাচ জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে বিশ্বকাপের সাত নম্বরফেলেছে ভারত। এই অবস্থায় ক্যাপ্টেন রোহিতের আহ্লাদে আটখানা হওয়াই স্বাভাবিক।
ওয়াংখেড়েতে ব্যাট হাতে নিজে রান পাননি। তবে দল বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত করেছে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে উঠে যারপরনাই তৃপ্ত শোনায় রোহিতকে। নিজের খুশি লুকিয়েও রাখেননি ভারত অধিনায়ক। তিনি স্বীকার করে নেন যে, সেমিফাইনালে ওঠার প্রাথমিক লক্ষ্য পূরণ করা গিয়েছে সহজেই।ওয়াংখেড়েতে ভারতের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন শুভমন গিল, বিরাট কোহলি ও মহম্মদ শামি। গিল ৯২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। কোহলি ৮৮ রান করে ভারতকে বড় রানের ভিতে বসিয়ে দেন। শামি ৫ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামাম। যদিও শ্রেয়স আইয়ারের ৮২ রান ও মহম্মদ সিরাজের ৩ উইকেটও ভারতের জয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।
গিল-কোহলি-শামির দক্ষতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার উপায় নেই। ক্যাপ্টেন রোহিতকে তাই এই তিন তারকাকে নিয়ে বিশেষ উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়নি। বরং শ্রেয়স আইয়ার, মহম্মদ সিরাজ ও সূর্যকুমার যাদবের প্রশংসায় পঞ্চমুখ শোনায় হিটম্যানকে। রোহিত বলেন, ‘সেমিফাইনালে পৌঁছে যাওয়ায় খুব খুশি, কেননা এটাই প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল। তবে যেভাবে ৭টি ম্যাচে নিজেদের মেলে ধরতে পেরেছি, তার জন্য আরও ভালো লাগছে। দলের এমন পারফর্ম্যান্সে অনেকের ব্যক্তিগত অবদান রয়েছে, যারা নিজেদের দায়িত্ব যথাযথ পালন করেছে।’
পরক্ষণেই রোহিত বলেন, ‘এমন একটা বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলার জন্য ব্যাটারদের কৃতিত্ব দিতেই হয়। তার পরে পেসারদের কথাও বলতে হয় আলাদা করে। শ্রেয়স মানসিকভাবে অত্যন্ত শক্তপোক্ত। আজ ও সেটাই করেছে, যেটার জন্য ও পরিচিত। নিজের খেলা নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে এবং আজ বোঝাল ও কী করে দেখানোর ক্ষমতা রাখে। সিরাজ কোয়ালিটি বোলার। ও পারফর্ম করলে আমাদের কাজ সহজ হয়ে যায়। যেভাবে স্কোয়াডের সবাই পারফর্ম করছে, তাতে খুশি। এমনকি গত ম্যাচে সূর্যকুমারও নিজের ছাপ রাখে। ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে পরপর ২টি ম্যাচে এরকম পারফর্ম্যান্সেই বোঝা যায় আমাদের সিমাররা কত ভালো।’
সব মিলিয়ে ভারতীয় দলের এই পারফরম্যান্স অবশ্যই আগামী সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল ম্যাচের জন্য অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস জোগাবে।