“সে নিজের জন্য নয়,দলের জন্য খেলেছে-” ভারতের ক্রিকেটারকে নিয়ে বললেন গাভাসকর ও নাসের হুসেন !

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচে শ্রেয়স আইয়ার ব্যাট হাতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ইনিংস খেলেছিলেন। মাত্র ৫৬ বলে একটি দুর্দান্ত ৮২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এই কারণে বৃহস্পতিবার ২০২৩ বিশ্বকাপের ৩৩তম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারত ৩৫৭/৮ স্কোর তুলতে সক্ষম হয়। মুম্বইতে এই ম্যাচ জেতার ফলে ভারত টেবিলের শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করে। এছাড়াও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৩০২ রানের বিধ্বংসী জয়ের ফলে টুর্নামন্টের সেমিফাইনালে নিজেদের জায়গাও নিশ্চিত করে টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচের দ্বিতীয় ডেলিভারিতে রোহিত শর্মা আউট হয়ে গেলে ভারত তাদের ব্যাটিং ইনিংসে কিছুটা ধাক্কা খেয়েছিল। এরপরে …

বিরাট কোহলি (৮৮) এবং শুভমন গিলের মধ্যে একটি অসাধারণ জুটি গড়ে ওঠে। এর পরে শ্রেয়স আইয়ার এদিনের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান। এই সময়ে ভারতীয় ব্যাটার তাঁর ফর্ম পুনরুদ্ধার করার সুযোগটি কাজে লাগান। বিশেষ করে ব্যাটিং বান্ধব পিচে অপেক্ষাকৃত মাঝারি বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে নিজের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেন তিনি। এদিন ছয়টি ছক্কা এবং তিনটি চার হাঁকান শ্রেয়স। এই পারফরম্যান্সটি আইয়ারের পক্ষে ভালো ছিল, কারণ ভারত এখন ইডেন গার্ডেন্সে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত। যেখানে বোলারদের পক্ষে পরিস্থিতি আরও অনুকূল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। শর্ট-পিচ বলের বিরুদ্ধে শ্রেয়সের আক্রমনাত্মক ব্যাটিং সকল ত্রুটি এবং সব ধরণের সমালোচনার জবাব দেয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন শ্রেয়সের এই ইনিংসের সময়ে তাঁর একটি ইতিবাচক মানসিকতা দেখা গিয়েছিল।

শ্রেয়স আইয়ারের এই ইনিংস দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক নাসের হুসেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে ব্যাটসম্যানরা প্রায়শই কম স্কোরের পরে তাদের জায়গার জন্য খেলতে থাকেন। তবে শ্রেয়স সেটি করেননি। তিনি দলের জন্য খেলেছেন। শ্রেয়সকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নাসের হুসেন বলেন, ‘ইনিংস সম্পর্কে আমি যা পছন্দ করেছি তা হল, মাঝে মাঝে সকলে কারোর সম্বন্ধে যখন বলেন তিনি হয়তো বাদ পড়ে যাবেন। তখন সকলেই নিজের জায়গা বাঁচানোর জন্য খেলে থাকেন। কিন্তু শ্রেয়সের ব্যাটে তেমন কিছু দেখিনি।

সে নিজের জন্য নয়, দলের জন্য খেলেছিল। সেই সময়ে অনেকেই নিজের জন্য খেলেন এবং ৪০ বলে ৪০ রান করেন। কিন্তু শ্রেয়স সেটি করেননি। তিনি একজন ফিনিশরের ভূিকা পালন করেছিলেন। আমি মনে করি সে খুব আক্রমণাত্মক মানসিকতার পরিচয় দেখিয়েছে। শ্রেয়সের এই বিষয়টা আমার খুব ভালো লেগেছে।’ এদিকে আইয়ারের প্রশংসা করেছিলেন সুনীল গাভাসকর। তিনি জোর দিয়েছিলেন যে ধারাবাহিকভাবে কম স্কোরের কারণে শ্রেয়সের জায়গা চাপের মধ্যে ছিল, কিন্তু সেটা তাঁকে চাপ দেয়নি।

গাভাসকর বলেন, ‘শ্রেয়স যেভাবে খেলছিলেন তাতে তিনি বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিলেন। বারবার তিনি যেভাবে আউট হচ্ছিলেন তাতে সকলেই তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন। বলা হয়েছিল হার্দিক দলে ফিরলে শ্রেয়সের কী হবে? বড় প্রশ্নবোধক চিহ্নের সামনে ছিল শ্রেয়সের ভবিষ্যত। বলা হয়েছিল হার্দিক দলে ফিরলে, রাহুল চারে, সূর্য পাঁচে এবং হার্দিক ছয়ে খেলবেন।

এই সময়ে শ্রেয়সের কাছে দলে জায়গা ধরে রাখার চাপটা ছিল। সকলে দেখতে চেয়ে ছিল যে এই সময় শ্রেয়স শর্ট বল সামলাতে পারেন কিনা। হ্যাঁ, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিনি শর্ট বলটা ভালোই খেলছিলেন। এটি দেখায় যে তিনি কত ভালো ব্যাটার।’