‘এটা আমার ভুল হয়েছে,মোটেও ঠিক হয়নি’ দলকে জিতিয়েও ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিলেন শামি !

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক সেমিফাইনাল জিতেছে ভারত এবং এই ম্যাচে ভারতীয় দলের যতটা ভূমিকা ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের রয়েছে ঠিক ততটা ভূমিকা রয়েছে ভারতের বোলার মোঃ শামির। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছেন মহম্মদ শামি। ৭টি উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরাও হয়েছেন তিনি। সঙ্গে ৫টি রেকর্ডও গড়েছেন শামি।বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবথেকে বেশিবার ৫ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন মহম্মদ শামি। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্কের সঙ্গে ৩ বার করে ৫ উইকেট নিয়ে একই আসনে ছিলেন শামি। সেমিফাইনালে নিজের চতুর্থ ৫ উইকেট শিকার করলেন শামি।

একদিনের বিশ্বকাপের ইতিহাসে সপ্তম বোলার হিসাবে এক দিনের বিশ্বকাপে ৫০ উইকেট নিলেন শামি। তাঁর আগে এই কৃতিত্ব রয়েছে গ্লেন ম্যাকগ্রা, মুথাইয়া মুরলিথরন, লসিথ মালিঙ্গা, ওয়াসিম আক্রম, ট্রেন্ট বোল্ট এবং স্টার্কের।এই বিশ্বকাপেই জাহির খান ও জাভাগল শ্রীনাথের ৪৪ উইকেট টপকে বিশ্বকাপে ভারতের সবথেকে বেশি উইকেট শিকারী হয়েছিলেন শামি। সেমিতে কেন উইলিয়ামসনের উইকেট নিতেই ভারতের প্রথম বোলার হিসেবে ৫০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়লেন শামি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্রুততম বোলার হিসেবে ৫০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডও গড়লেন মহম্মদ শামি। এর আগে এই রেকর্ড ছিল মিচেল স্টার্কের নামে। ১৮ ম্যাচে ৫০ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। মহম্মদ শামি ১৭ ম্যাচে ৫০ উইকেট নিয়েছেন। তবে একটি বিষয় নিয়ে তিনি খুশি নন এবং সেটা তিনি নিজেও জানালেন যে সেটা ভুল হয়েছে।

আসলে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় দল একটা বিশাল রান করে ফেললেও নিউজিল্যান্ডের দল যেভাবে সেই রানের পিছনে তাড়া করতে শুরু করে একটা সময় এসে মনে হয় যে কোথাও না কোথাও নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা বিশেষ করে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন এবং ড্যারেল মিছিল কোনোভাবে হয়তো ভারতীয় দলের সেই রানের কাছে পৌঁছে গেলেও যেতে পারে। ঠিক এরকম মুহূর্তে বোলিং করতে ডেকে পাঠানো হয় জসপ্রিত বুমরা কে। রীতিমতো তিনি এসে একটা আউট করার পরিস্থিতি তৈরি করেন এবং কেন উইলিয়ামসেনের ক্যাচ সোজাসুজি চলে যায় মোঃ শামির হাতে।।

কিন্তু খুবই অদ্ভুত ভাবে মোঃ শামি এই ক্যাচ টি ধরতে পারেননি এবং তার হাত ফস্কে বলটি বেরিয়ে যায়। অবশ্যই ক্যাচটা ভীষণ সহজ ছিল এটা বলা উচিত নয় তার কারণ সেমিফাইনাল ম্যাচে যেকোনো ক্যাচ সহজ নয় কারণ এখানে একটা প্রেসার এর ব্যাপার থাকে। আর এই ক্ষেত্রে বলটা এমন একটা জায়গায় এসেছিল যেটা শামির জন্য খুব অকওয়ার্ড হয়ে যায়। মোহাম্মদ শামি এগিয়ে বলটি পাননি আবার পিছিয়েও পাননি, অর্থাৎ ভারতীয় স্টাইলে ক্যাচটা তিনি লিখতে পারতেন না সেজন্য অস্ট্রেলিয়া স্টাইলে ক্যাচটা লোফার চেষ্টা করেন যেটা তার প্রায় কাঁধের কাছাকাছি হাইটে ছিল।

কিন্তু ক্যাচ ফেলে দেওয়ার পরে ভারতীয় বোলাররা হতাশাতে না গিয়ে আবার ফিরে আসে এবং একের পর এক উইকেট তুলে নেয় শামি নিজেই। ম্যাচ শেষে তাকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান আমার ভীষণ খারাপ লেগেছে কারণ কোনভাবেই এরকম মুহুর্তে ক্যাচ ছেড়ে দেওয়াটা উচিত হয়নি। এই ক্যাচটা মিস করার ফলে অনেক বড় সমস্যা হতেই পারতো। তবে যেহেতু ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা অনেক বেশি রান করে ফেলেছিল তার কারণে এই ছোটখাটো ভুলগুলো খুব একটা বড় এফেক্ট নিতে পারেনি।

সব মিলিয়ে ভারতীয় দলের এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স কোথাও না কোথাও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবার পক্ষে ভারতীয় দলকে আরো শক্তিশালী হিসেবে দাবি করছে।