কয়েক মাস পরেই শুরু হতে চলেছে আইপিএল আর তার আগে আরো একবার নিজেকে প্রমাণ করলেন কলকাতা নাইট রাইডার্স এর তারকা বোলার। ৫ উইকেট শিকার করলেন বরুণ চক্রবর্তী। KKR তারকার পারফরম্যান্সে তামিলনাড়ুর জয়, ৪২৭ রানের বিশাল স্কোর তুলল মহারাষ্ট্র। বর্তমানে বিজয় হাজারে ট্রফির সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচ চলছে। এই সময়ে তামিলনাড়ু ক্রিকেট দলের স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী নাগাল্যান্ড ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন এবং ৫ উইকেট শিকার করেন। তাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়ের দৌলতে ১৯.৪ ওভারে মাত্র ৬৯ রানে গুটিয়ে যায় নাগাল্যান্ড। লিস্ট-এ ক্যারিয়ারে এটি বরুণ চক্রবর্তীর দ্বিতীয় ৫ উইকেট।
বরুণ চক্রবর্তী লিস্ট-এ ক্রিকেটে তার সেরা বোলিং পারফরম্যান্স দিয়েছেন। ‘মিস্ট্রি স্পিনার’ বরুণ চক্রবর্তী নাগাল্যান্ডের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ওরেন এনগুলিকে (১) বোল্ড করে উইকেটের খাতা খোলেন। তাঁর স্পিনের কারণে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা একের পর এক আউট হতে থাকেন। তিনি পাঁচ ওভার বল করেছিলেন, যেখানে তিনি ৯ রান দিয়ে ৫টি সাফল্য অর্জন করেছিলেন। মজার ব্যাপার হল, তিনি ৩টি মেডেন ওভার বল করেছিলেন। এখন পর্যন্ত লিস্ট-এ ক্যারিয়ারে এটি বরুণ চক্রবর্তীর সেরা পারফরম্যান্স।
৩২ বছর বয়সি চক্রবর্তী ২০১৮ সালে তার লিস্ট-এ ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। এখন পর্যন্ত তিনি মাত্র ১৫টি লিস্ট-এ ম্যাচ খেলেছেন, যার মধ্যে তিনি প্রায় ১৬ গড়ে ৩৬টি উইকেট নিয়েছেন। এরই মধ্যে তাঁর ইকোনমি রেট হয়েছে চারের কাছাকাছি। চলতি মরশুমে এটাই বরুণ চক্রবর্তীর প্রথম ৫ উইকেট। চলতি মরশুমে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে মোট ১৪টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
ম্যাচের কথা বললে, মুম্বইয়ের ব্রাবোর্ন স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল তামিলনাড়ু। প্রথম বল করতে এসে নাগাল্যান্ডকে ৬৯ রানেই অল আউট করে দেয়। বরুণ চক্রবর্তীর পাঁচ উইকেট ছাড়াও সাই কিশোর নিয়েছিলেন তিনটি উইকেট। টি নটরাজন ও সন্দীপ ওয়ারিয়ার একটি করে উইকেট নেন। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ৭.৫ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে লক্ষ্য অর্জন করে দীনেশ কার্তিকের দল। সাই কিশোর ২৫ বলে ৩৭ রান করেন এবং নারায়ণ জগদীশান ২২ বলে ৩০ রান করেন।
এদিনের অন্য ম্যাচে মণিপুরের বিরুদ্ধে ৪২৭ রান তুলল মহারাষ্ট্র। অঙ্কিত বাওনে ১০৫ বলে ১৬৭ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়াও ওম ভোসলে ৫৭ বলে ৬০ রান ও কুশল তাম্বে ৬১ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন। পরে রুশভ রাঠৌর ৪৫ বলে ৬৫ রান করেন। আজিস কাজি ১৯ বলে ঝোড়ো ৩৩ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। নিখিল নায়েক ১১ বলে করেন ৩৩ রান। এদিন মহারাষ্ট্রের ইনিংসে ছিল ২০টা ছক্কা ও ৪১টা চার। ২০২২ সালে বাংলা বনাম সার্ভিসেসের ম্যাচে করা বাংলার রেকর্ডকে পিছনে ফেলল এদিনের ম্যাচে।
কারণ বিজয় হাজারে ট্রফিতে এখনও পর্যন্ত একটি ম্যাচে দল হিসাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোর করল মহারাষ্ট্র। তালিকায় সবার উপরে রয়েছে তামিলনাড়ু। ২০২২ সালে অরুণাচলের বিরুদ্ধেতারা ৫০৬/২ রানের ইনিংস খেলেছিল। তালিকার দুই নম্বরে রয়েছে মুম্বই। তিনে জায়গা করল মহারাষ্ট্র। চারে নেমে গেল বাংলা। পাঁচে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ।