৫ জানুয়ারি অন্ধ্রপ্রদেশ ম্যাচ দিয়ে রঞ্জি অভিযান শুরু করছে বাংলা। বিশাখাপত্তনমে সেই ম্যাচ খেলেই বাংলা যাবে কানপুরে। সেখানে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে। বাংলার তৃতীয় ম্যাচটি হোম ম্যাচ। মনোজ তিওয়ারি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, এবারের রঞ্জি খেলেই অবসর নেবেন। বাংলার রঞ্জি জয়ের দীর্ঘ খরা মেটানোর স্বপ্নপূরণ চান। মনোজ চলতি বছর অবসর ঘোষণা করে দিয়েছিলেন আচমকাই। যদিও স্ত্রী এবং সিএবির কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে মত বদলান। কিছু বিষয় নিয়ে অবশ্য মনোজ ক্ষুব্ধ ছিলেন। তবে প্রকাশ্যে আনেননি সেই কারণ।
সৈয়দ মুস্তাক আলি টি২০ ও বিজয় হাজারে ট্রফিতে ব্যর্থ হয়েই ফিরতে হয়েছে বাংলাকে। সেই দলের অধিনায়ক সুদীপ ঘরামি রঞ্জিতে নেতৃত্ব দিন, এমনটা টিম ম্যানেজমেন্টের অনেকে চাইছিলেন বলে সিএবি সূত্রে জানা যায়। তবে সর্বশেষ রঞ্জিতে মনোজ যেভাবে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ফাইনালে তুলেছিলেন, তাতে সন্তুষ্ট ছিলেন সিএবি কর্তারা।
সিএবি কর্তারা প্রথম থেকেই চাইছিলেন আসন্ন রঞ্জিতে বহু যুদ্ধের পোড়খাওয়া সৈনিক মনোজ নেতৃত্ব দিন। মনোজ সাদা বলের ক্রিকেট খেলেননি। তবে ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়েই রঞ্জির জন্য নিজেকে শারীরিকভাবে ফিট রাখার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছিলেন।
সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মাঠে বাংলা দলের সঙ্গে অনুশীলনও করছেন নিয়মিত। আজ যে প্রথম দুটি ম্যাচের জন্য বাংলা দল ঘোষণা করা হয়েছে তাতে মনোজকেই অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। চোটের কারণে শাহবাজ আহমেদ নেই। ভারতীয় দলে থাকা মুকেশ কুমারকেও পাওয়া যাবে না। নেই অভিমন্যু ঈশ্বরণও।বাংলা-অন্ধ্র ম্যাচ ৫ জানুয়ারি থেকে। ১২ জানুয়ারি থেকে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে নামবেন মনোজরা।
ঘোষিত বাংলা দল- মনোজ তিওয়ারি (অধিনায়ক), অনুষ্টুপ মজুমদার, সুদীপ ঘরামি, অভিষেক পোড়েল (উইকেটকিপার), সৌরভ পাল (উইকেটকিপার), শ্রেয়াংশ ঘোষ, রণজ্যোৎ সিং খাইরা, শুভম চট্টোপাধ্যায়, আকাশ দীপ, ঈশান পোড়েল, প্রদীপ্ত প্রামাণিক, করণ লাল, কৌশিক মাইতি, মহম্মদ কাইফ, অঙ্কিত মিশ্র, প্রয়াস রায় বর্মণ, সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল, সুমন দাস।
১৯ জানুয়ারি থেকে ইডেনে বাংলা বনাম ছত্তিশগড় ম্যাচ। ২৬ জানুয়ারি থেকে গুয়াহাটিতে অসমের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলে শহরে ফিরে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ইডেনে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে নামবে বাংলা। ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে কেরলের বিরুদ্ধে বাংলার অ্যাওয়ে ম্যাচ। ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বিহারের বিরুদ্ধে বাংলার হোম ম্যাচ। সব মিলিয়ে মোটামুটি বেশ শক্তিশালী দল তৈরি করেছে বাংলা।