বিশ্ব ক্রিকেটে জেমস অ্যান্ডারসন একটা বিশাল বড় নাম, বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে তার মত বোলার খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এমনকি এটা পর্যন্ত বলা যায় বিশ্ব ক্রিকেটের সবথেকে বড় সুইং বোলার জেমস অ্যান্ডারসন। একজন বোলারের পকেটে শুধুমাত্র টেস্ট ক্রিকেটে ৭০০টি উইকেট। বিষয়টি কঠিন হলেও তা পূরণ করতে চলেছেন ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি জোরে বোলার জেমস অ্যান্ডারসন। ৪১ বছর বয়সে এসে ৭০০ উইকেটের মাইলস্টোন কাছাকাছি এই ইংলিশ তারকা। রেকর্ড স্পর্শ করার থেকে মাত্র ১০ উইকেট থেকে দূরে রয়েছেন অ্যান্ডারসন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ভারতের বিরুদ্ধে শুরু হতে চলা পাঁচটি টেস্ট ম্যাচের সিরিজে এই মাইলস্টোন ছুঁতে চলেছেন জেমস। তবে ভারতের মাটিতে এবার লড়াই করতে চলেছেন তিনি।
তবে রোহিতদের বিরুদ্ধে নামার তাঁর চোট ভাবাচ্ছে দল ও বিশেষজ্ঞদের। সে যাই হোক না কেন, এই বিষয় নিয়ে একদমই চিন্তিত নন জেমস। নিজের নতুন রান আপ ও বোলিং স্পিড নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী সিনিয়র এই বোলার।গত মরশুমের জেসমের সতীর্থ স্টুয়ার্ড ব্রড ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরে ইংল্যান্ডের বোলিং বিভাগকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তবে ভারতের বিরুদ্ধে পাঁচটি টেস্ট ম্যাচের সিরিজ খেলতে নামার আগে কোনও ম্যাচ না খেলেই নামতে চলেছেন এই জোরে বোলার। এর সঙ্গে সঙ্গেই নিজের নতুন বোলিং রান আপেও পরিবর্তন এনেছেন অ্যান্ডারসন।
নিউজ.কো.ইউকে তে তিনি নিজের নতুন রান আপের সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, ‘আগে একটা জিনিস আমার ঠিক ছিল না সেটা হচ্ছে আমার রান আপের গতিবেগ। আমি বেশ কয়েক বছরের উপর কাজ করেছি। যার ফলে সঠিক গতিবেগ ফিরিয়ে আনতে পেরেছি এবং বল সুন্দর ভাবে আমার হাত থেকে বেরোচ্ছে।’ জেমসের এই খেলা চালিয়ে যাওয়ার অদম্য ইচ্ছা শক্তির সম্পর্কে বলতে গিয়ে আর এক কিংবদন্তি ইংলিশ জোরে বোলার ড্যারেন গফ বলেন, ‘জিমি অনেক বছর ধরে জাতীয় দলের হয়ে একই দ্বায়িত্ব পালন করে চলেছে।
যখন একবার কোনও লক্ষণ দেখা দেয় তা খেলায় আরও চোট আঘাতের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। যার ফলে হ্যামস্টিং, কুঁচকির সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। একবার আঘাত আসলে বারবার তা আসতেই থাকে। ও অসাধারণ ক্রিকেটার। রান আপ বদলের বিষয়টি অসাধারণ কিন্তু যখন পরিবর্তন করা হয় তখন সমস্যা বেড়েই যায়।’ চলতি মাসের ২৫ তারিখ থেকে ভারতের বিরুদ্ধে খেলবে ইংলিশ বাহিনী। হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত হবে প্রথম টেস্ট ম্যাচ। প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে কোন ইংল্যান্ড ক্রিকেট টিম ভারতের মাটিতে সিরিজ জিততে পারেনি। এখন দেখার বিষয় বেনের নেতৃত্বাধীন এই দল কতটা সুবিধা করতে পারে।
এই ইংল্যান্ড দল পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে ভারতে আসছে। একই সঙ্গে বলতেই হবে, এই টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে ধাক্কা খেয়েছে ইংল্যান্ড দল। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে দেশে ফিরে গিয়েছেন হ্যারি ব্রুক। এখন দেখার বিষয়, ভারতের মাটিতে কতটা দাগ কাটতে পারেন স্টোকসরা।
যদিও ভারতের মাটিতে জেমস অ্যান্ডারসন কতটা কার্যকরী হবে সেটাই দেখার।