ভারতমাতার টানে বিদেশের লাখ টাকার চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে এই ব্যাবসা শুরু করেন,আজ কোটিপতি

 মাটির টান একেই বলে৷ বিদেশের বিপুল আয়ের চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে আসেন কর্ণাটকের ছেলে৷ ৬ বছর ধরে তিনি ছিলেন মার্কিন মুলুকে নামজাদা সংস্থায়৷ মোটা টাকা আয় ছিল তাঁর৷ জীবনযাপনও ছিল খুবই বিলাশবহুল৷ কিন্তু সেই সবের মায়া কাটিয়ে তিনি সব ছেড়েছুড়ে ফিরে আসেন দেশে৷ কিন্তু দেশে ফিরে এসে আর কোনও চাকুরিতে যোগ দেননি তিনি৷ শুরু করেন নিজের ব্যবসা৷ আজকে য কোটিপতি।

তাও আবার গরুর দুধের ব্যবসা৷ তিনি বুঝতে পারেন যে, স্থানীয়ভাবে পরিষোধিত দুধের অভাব রয়েছে৷ তাই ২০টি গরু কিনে শুরু করে দুধের ব্যবসা৷ ২০১২এ শুরু হয় এই যাত্রা৷ নিজের সমস্ত সঞ্চিত পুঁজি খরচ করতে হয় এই ব্যবসায়৷ এমনকী গরুর দুধ দোয়ানের কাজও করতেন ব্যবসায়ীর পরিবারের সকলে৷ এইভাবেই ক্রেতাদের দারজায় দরজায় প্রতিদিন পৌঁছে দিতেন দুধ৷ বাসিন্দা কিশোর ইন্দুকুরী স্কুল পাস করার পর আইআইটি খরগপুর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। এরপর তিনি আমেরিকা চলে যান,সেখান থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন আর সেখানেই এক প্রসিদ্ধ ইন্টেল কম্পানিতে চাকরি করতে থাকেন। সেই কম্পানিতে তিনি ৬ বছর কাজ করেন, এরপর তাঁর মনে নিজের দেশে ফেরার আকাঙ্ক্ষা জাগে। দেশে ফিরে ব্যবসা করার ইচ্ছে তাঁর মনে আসে তাই তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। ২০১২ তে আমেরিকার চাকরি ছেড়ে দিয়ে ডেয়ারি ফার্মিং এর ব্যবসা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন।

```

এরপর তিনি ২০ টি গরু কেনেন আর হায়দ্রাবাদে “সিডস্ ফার্ম” নামে ডেয়ারি শুরু করেন। ডেয়ারির ব্যবসাতে তিনি নতুন ছিলেন, কিন্তু নিজের অদম্য ইচ্ছা আর পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি গরুর দুধ বেড় করা, তাদের খাওয়ানো, তাদের শরীরের খেয়াল রাখা এসব কিছু শিখে নেন। কিশোর ইন্দুকুরীর ডেয়ারি ফার্মিং-এর ব্যবসা আজ ৪৪ কোটির নামকরা কম্পানি হয়ে গেছে।ইন্টেল কম্পানিতে যেখানে তিনি লাখ টাকা ইনকাম করতেন বর্তমান সময়ে তাঁর কম্পানি কোটি টাকা ইনকাম করে। কিশোরবাবুর একটা আইডিয়া তাঁর ব্যবসাকে লাভের মুখ দেখিয়েছে। কিশোরবাবু তাঁর কম্পানির ভেজাল বিহীন দুধ যাতে তাঁর গ্রাহকেরা পেতে পারে তাই সাবস্ক্রিপশন এর ব্যবস্থা করেন। এতে গ্রাহকদেরও মনে হতে থাকে যে তারা ভেজালহীন দুধ পাচ্ছে,

আর এই কারণেই আজ কিশোরবাবুর ডেয়ারির সাথে ১০ হাজারেরও বেশি গ্রাহক যুক্ত। এটা মানতেই হবে যে কিশোরবাবুর চাকরি ছেড়ে ব্যবসা শুরু করা খুবই ঝক্কির ছিল কিন্তু তিনি হার মানেননি। সামনে আসা সব বাঁধা-বিপত্তির মোকাবিলা করেছেন সাহসিকতার সাথে। আজ কিশোর ইন্দুকুরী বহু মানুষকে অনুপ্রেরণা জোগান ডেয়ারি ফার্মিং এর ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে।।

```