ব্রেকিং নিউজঃ আইপিএলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের চেষ্টা! নাম জড়ালো RCB বোলারের!

বিশ্ব ক্রিকেটের সব থেকে জনপ্রিয়তম ক্রিকেট লিগ হল আইপিএল যেটার জন্য সারা বছর বিশ্বের অসংখ্য ক্রিকেট ভক্তরা অপেক্ষা করে থাকে তবে যেহেতু ক্রিকেটের একটা বড় উৎসব আইপিএল সুতরাং ক্রিকেটের যে সমস্ত বুকিরা রয়েছে তারাও কিন্তু ম্যাচ ফিক্সিং এর জন্য আইপিএলের অপেক্ষা করে থাকে। এর আগে বেশ কিছু ক্রিকেটারকে এই ধরনের কাজকর্মের জন্য সমস্যায় পড়তে হয়েছে যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন শ্রীশান্ত। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী যে মুহূর্তে কোন বুকী কোন ক্রিকেটারকে যোগাযোগ করবে সেই ক্রিকেটারের দায়িত্ব সঙ্গে সঙ্গে তার বোর্ডকে এই বিষয়ে জানানো। আর সেই কাজ করার জন্যই বহুল প্রশংসিত হলেন রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বোলার ।

আইপিএল এখনও মাঝপথেও যায়নি। এর মধ্যেই গড়াপেটার গন্ধ। ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব পেলেন বেঙ্গালুরুর বোলার মহম্মদ সিরাজ়‌। দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে বোর্ডকে বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও বোর্ডের তরফে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি আরসিবির জোরে বোলার সিরাজ এক অজানা ব্যক্তির থেকে ফোন পান। সেই ব্যক্তি নিজেকে বাসচালক বলে পরিচয় দেন। পেশাদার কোনও জুয়াড়ি নন। হায়দরাবাদের ওই বাসচালক আইপিএলের ম্যাচগুলিতে নিয়মিত জুয়া খেলেন। সম্প্রতি জুয়া খেলতে গিয়ে বহু টাকা ক্ষতি হয়েছে তাঁর। এর পরেই বেঙ্গালুরু দলের অন্দরের খবর জানতে চেয়ে সিরাজকে ফোন করেন তিনি।

```

বোর্ডের এক কর্তা সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “সিরাজ সঙ্গে সঙ্গে বোর্ডকে এই খবর জানায়। বোর্ডের দুর্নীতি বিরোধী শাখার আধিকারিকরা সঙ্গে সঙ্গে কাজে নেমে পড়েন। সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর থেকে বেশি কিছু এখনই বলা সম্ভব নয়।”অতীতে আইপিএল ম্যাচ গড়াপেটা কাণ্ডে কলঙ্কিত হয়েছে। এস শ্রীসন্থ, অঙ্কিত চহ্বান এবং অজিত চাণ্ডিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ২০১৩ সালে। তার পরে চেন্নাই দলের তৎকালীন মুখ্যকর্তা গুরুনাথ মেইয়াপ্পানকেও গ্রেফতার করা হয়। চেন্নাই এবং রাজস্থান দলকে ম্যাচ গড়াপেটায় জড়িত থাকার অপরাধে দু’বছর করে নির্বাসিত করা হয়।

তার পর থেকে আইপিএলে দুর্নীতি আটকাতে সক্রিয় বোর্ড। ওই ঘটনার পর থেকে সে ভাবে দুর্নীতির কোনও অভিযোগ প্রকাশ্যে আসেনি। এ বারই হঠাৎ জুয়াড়ির প্রস্তাব পাওয়ার কথা জানালেন এক ক্রিকেটার। এখন প্রতিটি আইপিএল দলে এক জন করে দুর্নীতিবিরোধী দলের সদস্য থাকেন। তারা ক্রিকেটারদের সঙ্গে একই হোটেলে থাকেন এবং সর্ব ক্ষণ তাঁদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেন। পাশাপাশি মরসুম শুরুর আগে সব ক্রিকেটারকে নিয়ে একটি কর্মশালা আয়োজন করা হয়, যেখানে কী করা যাবে এবং কী করা যাবে না, তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

```

সিরাজের এই সিদ্ধান্তে ক্রিকেট ভক্তরা তার যথেষ্ট প্রশংসা করছেন তার কারণ ক্রিকেট ভারতে আর শুধু একটা খেলা নয়, এটা একটা ইমোশন। সুতরাং ম্যাচ ফিক্সিং যে ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তদের ইমোশন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা, সেই ফাঁদে না পড়ে মেরুদন্ড সোজা করে মাথা তুলে দাঁড়ালেন মোহাম্মদ সিরাজ।