শীর্ষে ‘বিশ্বসেরা’ বিরাট, রোহিতকে পিছনে রেখে বিশ্বকাপের জন্য দল বাছলেন শিখর ধাওয়ান

খাতায় কলমে জাতীয় দলে শিখর ধাওয়ানের অভিযান কার্যত শেষ। এশিয়া কাপের ১৭ জনের দলে সুযোগ পাননি তিনি। দল গঠনের সাংবাদিক বৈঠকে বসে অজিত আগারকার জানিয়ে দিয়েছেন এশিয়া কাপের ১৭ জনের দলের মধ্যে থেকে ১৫ জনকে বিশ্বকাপের দলে ডাকা হবে। ফলে বড় কোনও অঘটন না ঘটলে শিখর ধাওয়ানের জায়গা পাওয়া মুশকিল। তবে তিনি জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও ভারতের বিশ্বকাপের দল নিয়ে আশাবাদী। তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপে পাঁচ সেরা প্লেয়ারের নাম ঘোষণা করলেন।৫০ ওভারের ক্রিকেটে শিখর ধাওয়ান বরাবরই বড় নাম। ১৭টা একদিনের ক্রিকেটে সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর।

এরমধ্যে বিশ্বকাপে রয়েছে তিনটে সেঞ্চুরি। সম্প্রতি ICC-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শিখর ধাওয়ান বিশ্বের সেরা ব্যাটার হিসেবে বাছলেন বিরাট কোহলিকে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ধাওয়ান বিশ্বের সেরা ব্যাটারের মধ্যে তাঁর বন্ধু রোহিত শর্মাকে রাখেননি।রোহিত শর্মাকে বিশ্বের সেরা ব্যাটার না বললেও বিশ্বকাপের সেরা পাঁচজনের মধ্যে তিনি রেখেছেন রোহিত শর্মাকে। তিনি বলেন, ‘সবার আগে জায়গা পাবেন বিরাট। ও বিশ্বের সেরা ব্যাটার এবং যেভাবে রান করে তা দেখার মতো। রোহিতের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। ও ICC টুর্নামেন্ট ও দ্বিপাক্ষিক সিরিজে অনেক রান করেছে এবং বড় মঞ্চে নিজেকে প্রমাণ করেছে।’

ধাওয়ানের মত রোহিত শর্মাও গত দুটো বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করেছেন। ধাওয়ান মনে করেন সেরা প্লেয়ারদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল স্টার্ক জায়গা পাবেন। তিনি ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে সবথেকে বেশি উইকেট নিয়েছিলেন। এবং তিনি এবারের বিশ্বকাপেও প্রভাব ফেলতে পারবেন। ভারতের পিচে তিনি রশিদ খানের উপরেও বাজি ধরছেন। কারণ উপমহাদেশীয় পিচে রশিদ বরাবরই শক্তিশালী।

তবে তালিকায় তিনি রাখেননি শাহিন আফ্রিদিকে। পাকিস্তানি পেসারকে দলে না রাখা নিয়ে ধাওয়ান বলেন, ‘আমি শাহিন আফ্রিদিকে রাখব না কারণ, দলে দু’জন বাঁ হাতি পেসার থাকতে পারবে না। ফলে আমি রাবাডাকে নেব। রাবাডার কাছে অতিরিক্ত পেস ও বাউন্স আছে যাতে সমস্যায় পড়বেন ব্য়াটাররা।’

এবার এশিয়া কাপের দলে সুযোগ পাননি ধাওয়ান। বিশ্বকাপেও তাঁর সুযোগ পাওয়ার সম্ভবনা ক্ষীণ। এশিয়ান গেমসেও তাঁকে দলে রাখা হয়নি। তরুণদের সুযোগ দেওয়ার নামে ফর্মে থাকা ধাওয়ান বারবার বাদ পড়েছেন। আসন্ন দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলোতেও তাঁর সুযোগ পাওয়ার সম্ভবনা কম। ফলে জাতীয় দলে ধাওয়ানের কেরিয়ার যে শেষ তা বলাই যায়।