দু বছর পর ভেসে উঠলেন,জীবিতও রয়েছেন, দু‌–বছর আগে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে সমুদ্রে…

অদ্ভুত এবং অলৌকিক রহস্যময়। কিকরে সম্ভব ? কথায় বলে রাখে হরি, মারে কে। এই কথাটাই সত্যি হয়ে গেল কলম্বিয়ার ঘটনায়। দু বছর পরিবার থেকে দূরে থাকার পর ফিরে এলেন মা। তাও আবার সমুদ্রের জলে ভেসে। সবাই ভেবেছিল তিনি মরে গিয়েছেন। কিন্তু সমুদ্রের জলে জীবন্ত ফিরে এলেন তিনি। জলে ভাসতে ভাসতে। কলম্বিয়া শহর থেকে কিছু দূরে সমুদ্র সৈকতে তাঁর সন্ধান পেলেন পরিবারের লোকেরা।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর তাই অবাক করা একটি দিন হয়ে রইল এই পরিবারের জন্য। দুই বছর আগে গায়েব হয়ে গেলেও তিনি নাকি শেষ আটঘণ্টা এভাবেই সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে এসেছেন, এমনই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু কেউ এভাবে আটঘণ্টা সমুদ্রের জলে ভাসতে পারে?‌ ঐশ্বরিক দয়া না থাকলে এ সম্ভব?‌ সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না অনেকে। যদিও তার পরিবারের কাছে ঠিক যেন দুই বছর পর ভেসে উঠলেন তিনি।

```

মহিলার নাম অ্যাঞ্জেলিকা গৈতান। তাঁর বয়স ৪৬ বছর। আজ থেকে দু’‌বছর আগে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সবাই ভেবেছিল তিনি আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু দেহ পাওয়া যায়নি। এই দু’‌বছরে অ্যাঞ্জেলিকা কোনও যোগাযোগও করেননি পরিবারের সঙ্গে। পরে স্থানীয় সংবাদ সংস্থার পক্ষ থেকে জানা যায়, সত্যিই আত্মহত্যা করার জন্য সমুদ্রে ঝাঁপিয়েছিলেন তিনি। কারণ, শেষ ২০ বছর থেকে তিনি গার্হস্থ্য হিংসার শিকার। তাঁর প্রাক্তন স্বামীর হাত থেকে বাঁচতেই তিনি সেদিন বাড়ি ছেড়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন।

কিন্তু অলৌকিকভাবে তিনি বেঁচে যান। স্থানীয় মৎসজীবীরা জানিয়েছেন, ওই এলাকায় সমুদ্রে অ্যাঞ্জেলিকাকে কোনওমতে ভেসে থাকতে দেখেছিলেন। সেই সময় তাঁরা এগিয়ে এসে তাঁকে জল থেকে উদ্ধার করেন। সবাই ভেবেছিলেন, তিনি মরা গিয়েছেন। তারপর পরে বুঝতে পারা যায় ওই মহিলা সাহায্যের জন্য হাত নাড়ছেন। তারপর জলে দড়ি ফেলে তাঁরা তুলে আনেন অ্যাঞ্জেলিকাকে। তুলে আনার পরেও সাড়া দিচ্ছিলেন না অ্যাঞ্জেলিকা। তারপর ধীরে ধীরে তিনি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেন।

```