“ভদ্র অস্ট্রেলিয়া দল..আর ভারত..”WTC-র আগে ভারতকে নিয়ে বি’স্ফোরক মন্তব্য অ্যালান বর্ডারের!

অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দল কি প্রতিপক্ষের প্রতি এখন অনেক বেশি সদয়! একসময় ক্রিকেট মাঠে অস্ট্রেলীয় দল স্লেজিংয়ের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছিল। প্রতিপক্ষকে কথার তোড়ে এলোমেলো করে দিয়ে দুর্বল করে ফেলাটা ছিল অস্ট্রেলীয় দলের কৌশলেরই অংশ। কিন্তু সেই অবস্থান থেকে কি অনেকটাই সরে এসেছে প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়া! দলটি কি এখন সুবোধ বালকের দলে পরিণত হয়েছে?অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক অ্যালান বোর্ডার তেমনটাই মনে করেন। আর সেই নিয়ে বি’স্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি।

তাঁর কাছে অস্ট্রেলিয়া দলটা কেমন যেন ভদ্র ছেলেদের দল। অথচ তিনি চান মাঠ ও মাঠের বাইরে আগ্রাসী একটা দল। আরেকটি অ্যাশেজ সিরিজ আসছে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া দল আগের মতো কথার লড়াইয়ে মেতে ওঠেনি। এটাই চিন্তিত করে তুলছে বোর্ডারকে। তিনি নিজে ছিলেন আগ্রাসী অধিনায়ক। প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে লড়াইয়ে তাঁর জুড়ি ছিল না। মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে বোর্ডারের অস্ট্রেলিয়ার কাছে কোনো ছাড় ছিল না প্রতিপক্ষের। ৬৭ বছর বয়সী সাবেক এই অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক দেশটির ক্রিকেটের অন্যতম কিংবদন্তিও। টেস্টে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন তিনি। প্রায় নতুন খেলোয়াড়দের নিয়ে ১৯৮৭ সালে উপমহাদেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমবারের মতো জিতিয়েছিলেন ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা।

১৯৮৯ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ সিরিজে বোর্ডারের আগ্রাসী অধিনায়কত্বে মাইক গ্যাটিং, ডেভিড গাওয়ার, ইয়ান বোথামদের ইংল্যান্ডকে এলোমেলো করে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ৬ টেস্টের সিরিজ জিতেছিল ৪–০ ব্যবধানে। যদিও বোর্ডারের অতি আগ্রাসন অনেক ক্রিকেটপ্রেমীরই ভালো লাগেনি। সেটি ক্রিকেটের চেতনার সঙ্গে কতটা যায়, আলোচনা ছিল সেটি নিয়েও।বর্তমান অস্ট্রেলিয়া দলকে প্রতিপক্ষের প্রতি বেশ বিনয়ীই মনে হয় তাঁর। কোড স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বোর্ডার বলেছেন, ‘কোনো বাড়াবাড়ি ছাড়াই একধরনের বন্ধুত্বপূর্ণ ক্রিকেট খেলা যায়। ভারত সফরে যেমন স্টিভ স্মিথ ব্যাটিংয়ের সময় ভালো বল খেললেই বোলারের প্রশংসা করছিল। আমার কাছে মনে হয়, এটা একটু বেশি বেশি। ক্রিকেট খেলাটা তো একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা। আমি হলে কঠিন মানসিকতা নিয়ে খেলতাম। আমরা অস্ট্রেলিয়ান একটা নির্দিষ্ট ধরনের ক্রিকেট খেলি, সেটি কঠিন তবে সেটি নিয়মকানুন মেনেই।’

বোর্ডারের কাছে নিউজিল্যান্ড দল সব সময়ই ‘ভদ্রলোকের একাদশ’। তবে এই দলটাই মাঠে নেমে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে আপনার অবস্থা খারাপ করে দেবে বলে মনে করেন তিনি। ইংল্যান্ডের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক থাকার সময় আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেই কিছুটা সাফল্য পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।

অস্ট্রেলিয়াকে অ্যাশেজের আগে অবশ্য ভারতের বিপক্ষে খেলতে হবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। ৭ জুন সেটি শুরু হবে ওভালে। অ্যাশেজ সিরিজ শুরু হবে ১৬ জুন এজবাস্টন টেস্টের মধ্য দিয়ে।