ভূত আছে কি নেই? সেটা আজও একটা বড় প্রশ্ন। অনেকের যুক্তি যেখানে ভালো আছে শেখানে খারাপও থাকবে সুতরাং যেখানে ভগবান আছে সেখানে ভূত না থাকার কোনো যুক্তি নেই। বিশ্বাস অন্ধবিশ্বাস গুজব সত্য আজকুবি, অনেকের অনেক মতামত কিন্তু তার স্বত্তেও অনেক সময় অনেক জায়গায় এমন কিছু পাওয়া যায় যার উত্তর কিন্তু বিজ্ঞানের কাছেও থাকে না। আর সেরকমই এবার একটি ঘটনা, পরিত্যক্ত মিলিটারি ক্যাম্প ঘিরে ভূতের আতঙ্ক। আর এই পরিতক্ত মিলিটারি ক্যাম্প এর ভুতের আতঙ্কের জেরে ভয়ে কাঁটা উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার (Deganga) বাসিন্দারা।
সন্ধে গড়ালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সাহস পাচ্ছেন না অধিকাংশই।উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুরে রয়েছে প্রাচীন একটি মিলিটারি ক্যাম্প। স্বাধীনতার পরই তৈরি হওয়া ওই ক্যাম্পে একটা সময় জওয়ানরা থাকলেও বহুদিন আগে তাঁদের আনাগোনা বন্ধ হয়েছে। পরবর্তীতে বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষদের রাখা হত সেখানে। কিন্তু বছর ২০ আগে সেই পাটও চুকে গিয়েছে। এখন কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে সেই মিলিটারি ক্যাম্প। ভরতি করে রাখা খড়। বারান্দায় ঘুরে বেড়াচ্ছে গরু। ভেঙেছে জানলা, দরজা। আর এই পরিত্যক্ত ক্যাম্পই দেগঙ্গাবাসীর মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, সূর্য ডুবতেই নানারকম আওয়াজ ভেসে আসে ওই বাড়িটি থেকে। কখনও যেন মনে হয় কেউ চিৎকার করছে। কখনও পাওয়া যায় ধান ঝাড়ার শব্দ। মাঝরাতে কখনও স্থানীয়রা শুনতে পান পুকুরে ঝাঁপ দেওয়ার শব্দ। আচমকা জানলা-দরজা বন্ধ হওয়ার শব্দও শোনা যায়। কখনও আবার শোনা যাচ্ছে, কান্নার আওয়াজ। যা রীতিমতো ঘুম উড়িয়েছে স্থানীয়দের।
এলাকার বাসিন্দাদের থেকে জানা গিয়েছে, পরিত্যক্ত এই ক্যাম্পটি অসামাজিক কাজের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েকবার সেখানে অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল কয়েকজনকে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, অসামাজিক কাজকর্ম চালানোর জন্য কিছু লোক পরিকল্পনামাফিক ভূতের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। সকলেই চাইছেন এই পুরনো মিলিটারি ক্যাম্পের ঐতিহ্য বজায় রাখতে অবিলম্বে সংস্কারের কাজ করা হোক।
এই পরিতক্ত মিলিটারি ক্যাম্প এ কি সত্যিই তাহলে রয়েছে কোন অশরীরী আত্মা ? নাকি পুরোটাই এলাকাবাসীর ভুল ধারণা যার থেকে এই আতঙ্কের সৃষ্টি ? এর আসল রহস্য কি ? এক্ষেত্রে বিদ্বজ্জনেরা মনে করছেন যে এটি আসলে মানুষের কিছু ভুল ধারণা, কারন এরকমটা কোন কিছুই বাস্তব ভাবে হওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা।