“ব্যাজবল”,এবার শুধু জয়ই আসবে! প্লে অফে ওঠার মাস্টারপ্ল্যান ফাঁস করলো কেকেআর!

চলতি আইপিএলের শুরুটা বেশ ভালোই হয়েছিল নীতীশ রানার কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে এরপরেই খেই হারায় কেকেআর‌। তবে নিজেদের শেষ ম্যাচে বেঙ্গালুরুর মাঠে গিয়ে জয় ছিনিয়ে এনেছে কেকেআর দল। তারপরেই কামব্যাকের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন বরুণ চক্রবর্তীরা। এই মুহূর্তে আট ম্যাচে ছয় পয়েন্ট রয়েছে কেকেআরের ঝুলিতে। শনিবারেই তারা তাদের নবম ম্যাচে ইডেন গার্ডেনে মুখোমুখি হবেন গুজরাট টাইটানস দলের। এমন আবহে কেকেআর যে ভয়ডরহীনভাবে ক্রিকেটটাই খেলবে তা নিশ্চিত করে দিয়েছেন কেকেআরের সহকারী কোচ।

জেমস ফস্টার নিশ্চিত করে দিয়েছেন কেকেআর প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলবে। তা সে ব্যাটিং করা সময়ে হোক কিংবা বোলিংয়ের সময়ে। কেকেআরের এই মুহূর্তে আরও ছটি খেলা বাকি রয়েছে যার মধ্যে পাঁচটিতে কেকেআরকে জিততেই হবে যদি তারা প্লে অফে যাওয়া সুনিশ্চিত করতে চায়। সেই বিষয়ে গুজরাট টাইটানস ম্যাচের আগে বলতে গিয়ে জেমস ফস্টার জানিয়েছেন, ‘আমি আমাদের দলের ব্যাটিং ইউনিট নিয়ে বলতে চাই। আমাদের তরফে অর্থাৎ ম্যানেজমেন্টের তরফে ক্রিকেটারদের যেটা বলা হয়েছে তা হল ২২ গজে নেমে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটটা খেল। ভয়ডরহীনভাবে খেল। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে হবে। এটা নিয়ে বারবার আমাদের দলের মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে।’

```

২০১২ এবং ২০১৪ সালের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন কেকেআরের চলতি আইপিএলে যে অবস্থা রয়েছে তার সঙ্গে ২০২০ সালের আইপিএলের অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। সেবার করোনার কারণে আইপিএলের প্রথমার্ধ খেলা হয়েছিল ভারতে এবং দ্বিতীয়ার্ধের খেলা হয় আমিরশাহিতে। ভারতে অধিনায়ক দীনেশ কার্তিকের নেতৃত্বে কেকেআর সেই সময়ে এতটাই খারাপ পারফরম্যান্স করেছিল যে তারা পয়েন্ট তালিকায় একেবারে তলার দিকে ছিল। সেখান থেকেই আমিরশাহিতে কেকেআরের অধিনায়ক পরিবর্তন হয়। দলের দায়িত্ব নেন ইয়ন মর্গ্যান। তাঁর নেতৃত্বেই আমিরশাহি লেগে টানা ম্যাচ জিতে সেবার প্লে অফ নিশ্চিত করেছিল তারা।

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, পঞ্জাব কিংস, চেন্নাই সুপার কিংস এবং রাজস্থান রয়্যালসকে পিছনে ফেলে প্লে অফে গিয়েছিল তারা। আর সেকথা মাথায় রেখেই জেমস ফস্টার চান ‘ব্যাজবল’ ঢঙে ভয়ডরহীনভাবে ব্যাটিং করুক কেকেআর। উল্লেখ্য প্রাক্তন কিউয়ি তারকা ব্যাটার ব্রেন্ডন ম্যাককালামের আমলে ইংল্যান্ড টেস্ট দল অনেকটা এই পদ্ধতি অবলম্বন করে ওয়ানডে ক্রিকেটের ঢঙেই ভয়ডরহীনভাবে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছে টেস্টে।তিনি আরো যোগ করেন, ‘অনেক সময়েই পরিকল্পনা অনুযায়ী ফল পাওয়া যায় না। তবে হতাশ হলে চলবে না একেবারে। কারণ পরিকল্পনা মাফিক খেলতে পারলে এবং সেই মত সবকিছু ঠিকঠাক চললে আমাদের উপর থেকে চাপটা অনেকটাই কমে যাবে। ক্রিকেটারদের উপর যদিও সেইভাবে কোনও চাপ নেই এই মুহূর্তে।

```

আমরা সবধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে রাজি রয়েছি। আমাদের কাছে সবটাই নয়া একটা সুযোগ। আমরা এমন পরিস্থিতিতে আগেও পরেছি (২০২০ সালে আমিরশাহি আইপিএলে)। সেখান থেকেও আমরা বেরিয়ে এসেছি। ফাইনাল খেলেছি। সেই দলের অনেকেই এখনও দলের সঙ্গে রয়েছেন। ফলে যে কোনও ম্যাচে নামার আগে আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করেই আমরা খেলতে নামব।’