শুরু হতে চলেছে বিশ্ব ক্রিকেটে মহারণ। দামামা বাজিয়ে দিয়েছে আইসিসি। অনেক বিষয়কে কেন্দ্র করে একদিকে যেমন চলছে তর্ক বিতর্ক পাশাপাশি অন্যদিকে কোন দল এবারের বিশ্বকাপে সব থেকে ফেভারিট সেই প্রশ্নও উঠছে। আজ বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক ১০০ দিন আগে সময়সূচি প্রকাশ করেছে তারা। সমর্থকরা ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখতে উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরেই এই দুই দল নিজেদের মধ্যে বিপাক্ষিক সিরিজ খেলে না। শুধুমাত্র আইসিসির টুর্নামেন্টগুলিতে একে অপরের বিরুদ্ধে নামে তারা। এই দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বীর ম্যাচ মানেই মরণ-বাঁচান লড়ায়। তবে ভারত পাকিস্তান লড়াই ছাড়াও এই বিশ্বকাপে সব থেকে বড় দাবিদার কে? তারই উত্তর দিলেন বীরেন্দ্র শেবাগ।
এখনও পর্যন্ত পরিসংখ্যান হিসাবে ভারত পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। বিশ্বকাপে যতবার দেখা হয়েছে অধিকাংশ হেরেছে পাকিস্তান। এ বিষয়ে সম্প্রতি ভারতীয় প্রাক্তন তারকা ওপেনার বীরেন্দ্র সেহওয়াগ জানান, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও ম্যাচের আগে ভারতীয় ক্রিকেটাররা কতটা চাপের মধ্যে থাকে। বিশেষ করে ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায়।১৫ অক্টোবর বিশ্বকাপের মঞ্চে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান। সেই ম্যাচে ভারত পাকিস্তান থেকে অনেকটা এগিয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন সেহওয়াগ।
প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার, ২০২৩ বিশ্বকাপের সময়সূচি প্রকাশিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তিনি ভারত পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে বলেন, ‘বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মী থেকে শুরু করে হোটেল স্টাফ সবাই ক্রিকেটারদের বিশ্বকাপ জিততে এবং পাকিস্তানকে হারাতে বলে।’২০১১ বিশ্বকাপের সময় সেমিফাইনালে মোহালিতে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় ভারত। সেই ম্যাচের একটি স্মৃতিচারণ করে বীরু বলেন, ‘আমি হোটলের লিফটে করে নিচে নামছিলাম। সেখানে দুজন পাক সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। তারা আমার কাছে অটোগ্রাফ চান এবং ভালো না খেলার কথা বলে। ওই ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে সচিন তেন্ডুলকর আমাদের উদ্দেশ্যে বলে আমরা কোনও দিন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হারিনি, আজকেও হারবো না। মাঠে নামো এবং খেলাটাকে উপভোগ করো। আর যদি হেরে যাই তাহলে আমরা গর্ববোধ করব কারণ আমরা সেমিফাইনালে উঠেছি।’
সেহওয়াগ তিনটি ওডিআই বিশ্বকাপ খেলেছেন। ২০০৩ সালে ফাইনালে উঠে হেরে যাওয়ার ম্যাচে তিনি ছিলেন। ২০০৭ সালে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার হতাশাজনক সময়েও তিনি ছিলেন। অবশেষে ২০১১ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী দলে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন প্রাক্তন তারকার ওপেনার। বিশ্বকাপ জয় নিয়ে তিনি বলেন, ‘তিন বছর ধরে আমরা ২০১১ বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করেছিলাম। আমরা ২০০৮ সাল থেকে প্রতিটি ওডিআইকে নকআউট হিসেবে নিয়েছি। ভারতীয় দলের উচিত এখান থেকে প্রতিটি ম্যাচকে নকআউট হিসেবে দেখার। পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত ফেভারিট। ভারতীয় দল চাপ ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারে।’
প্রতিটি দল রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে বাকি নয়টি দলের সঙ্গে খেলবে। সেরা চারটি দল পৌঁছবে সেমিফাইনালে। সেখান থেকে ফাইনাল। এই বছরের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে।