ম্যাক্সওয়েলের ক্যাচ ধরেও খেপে লাল ধোনি! চটলেন স্পাইডারক্যামের উপরে,দেখুন ভিডিও

প্রায় মহাকাশে পৌঁছে গিয়েছিল বলটা। ভালো ক্যাচ ধরেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিন্তু ক্যাচ ধরার পর স্পাইডারক্যামের উপর চটে গেলেন চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে) অধিনায়ক। বিষয়টি নিয়ে অনফিল্ড আম্পায়ারের কাছেও নালিশ করতে থাকেন। সম্ভবত বোঝাতে চাইছিলেন, বলটা যে পথে নেমে আসছিল, তাতে নজর রাখার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করছিল স্পাইডারক্যাম। বিশেষত ক্যাচটা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের হওয়ায় সম্ভবত আরও চটে যান ধোনি।

কারণ ক্যাচটা যখন উঠেছিল, তখন ৩৫ বলে ৭৬ রানে খেলছিলেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা।তারইমধ্যে ১২.১ ওভারে মাহিশ থিকশানার বলে ম্যাক্সওয়েলের ক্যাচ উঠে যায়। বলটা এতটাই উপরে উঠে গিয়েছিল, মনে হচ্ছিল যে মহাকাশে কোথাও বলটা হারিয়ে গিয়েছে। সেই বলটা ধরার জন্য তৈরি হয়ে যান ধোনি। থিকশানা ও অন্যান্য খেলোয়াড়দের ধারেকাছে ঘেঁষতে বারণ করে দেন। তারইমধ্যে ফরোয়ার্ড শর্ট-লেগে দারুণ ক্যাচ ধরেন ধোনি।

```

তারপর অবশ্য বেশি স্বস্তি প্রকাশ না করে অনফিল্ড আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন চেন্নাইয়ের অধিনায়ক। তাঁর হাবভাব দেখে মনে হচ্ছিল যে স্পাইডারম্যান নিয়ে অভিযোগ করছিলেন।দেখুন ভিডিও :

https://youtube.com/shorts/QLS2XKW-WVg?feature=share4

সোমবার চিন্নস্বামীতে প্রথম ২৩ ওভার ভালো গেলেও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (আরসিবি) ফ্যাফ ডু’প্লেসি এবং ম্যাক্সওয়েলের দাপটে একটা সময় রীতিমতো চাপে পড়ে যায় চেন্নাই। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার তারকা যুগলবন্দিতে ধোনিদের ২২৬ রানের পুঁজিও সুরক্ষিত মনে হচ্ছিল না। তৃতীয় উইকেটে ৬০ বলে ১২১ রান যোগ করে খেলতে থাকেন ফাফ এবং ম্যাক্সওয়েল। ম্যাচে ফিরতে উইকেটের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল চেন্নাই।

```

তারপর কার্যত একই কায়দায় ফ্যাফের ক্যাচ ধরেন ধোনি। তবে আরসিবি অধিনায়ক যখন শূন্য রানে ছিলেন, তখন উইকেটের পিছনে সহজ ক্যাচ ফস্কে দেন। তারপর ৩৩ বলে ৬২ রান করে যান ফ্যাফ। শেষপর্যন্ত ফ্যাফের ক্যাচ নেন ধোনি। আউট করেন মইন আলি।