সৌরভের সঙ্গে চরম তিক্ততা,২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মুখ খুলে বি’স্ফোরক মন্তব্য করলেন বিরাট কোহলি!

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিরাট কোহলির তিক্ততা বেড়েই চলেছে। আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের মধ্যে ম্যাচ চলাকালীন তা আরও এক বার প্রকাশ্যে এসেছে। ম্যাচ শেষে দু’জনে হাত মেলাননি। তার পরে সমাজমাধ্যমের পাতায় একে অপরকে অনুসরণ করা বন্ধ করে দিয়েছেন তাঁরা। মাঠের ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজের মানসিক অবসাদ নিয়ে মুখ খুলেছেন বিরাট।

গত বছর ক্রিকেট থেকে ৪২ দিনের বিরতি নিয়েছিলেন বিরাট। সেই সময় তাঁর মনের মধ্যে কী চলছিল সে কথা জানিয়েছেন তিনি। আইপিএলের ডিজিটাল সম্প্রচারকারী মাধ্যমে একটি সাক্ষাৎকারে নিজের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। বিরাট বলেছেন, ‘‘মিথ্যা বলব না। খুব পরিশ্রম হচ্ছিল। এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যেখানে আমিও ক্রিকেটের ইঁদুরদৌড়ে দৌড়তে শুরু করেছিলাম। সেটা মানসিক ভাবে আমাকে দুর্বল করে দিচ্ছিল। হাঁপিয়ে উঠছিলাম। সেটা আরও কিছু দিন চললে আমি হয়তো পাগল হয়ে যেতাম। কিন্তু অনুষ্কা আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।’’

তাঁর জীবনে অনুষ্কার কতটা গুরুত্ব, তা আরও এক বার বলেছেন বিরাট। তাঁর কথায়, ‘‘এই সময়টা অনুষ্কা সব সময় আমার পাশে ছিল। ও সবটা দেখেছে। বুঝেছে। ও নিজেও এক জন তারকা। তাই পেশা ও ব্যক্তিগত জীবন কী ভাবে আলাদা রাখতে হয় সেটা ও জানে। অনুষ্কা সেটাই আমাকে শিখিয়েছে। ওই সময়ে আমরা অনেক বেশি গল্প করতাম। সেটা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।’’

ভক্তরা তাঁকে নিয়ে কী ভাবছেন, সেটা নিয়ে বেশি ভাবতে শুরু করেছিলেন বলে জানিয়েছেন বিরাট। তার ফলে খেলা উপভোগের থেকে চাপ বেশি নিচ্ছিলেন তিনি। তারই খারাপ প্রভাব পড়ছিল। বিরাটের কথায়, ‘‘মিথ্যা বলব না, একটা সময় আমি অন্যদের নিয়ে বেশি ভাবছিলাম। ভক্তরা আমার কাছে কী চায়, আমাকে নিয়ে কী ভাবে সেটাই আমার মাথায় ঘুরত। তার প্রভাব খেলার উপর পড়ছিল। তাই সেই সময় বিরতি নেওয়াটা জরুরি হয়ে পড়েছিল। বিরতির পরে আবার আগের মানসিকতা নিয়ে ফিরতে পেরেছি।’’

কন্যা ভামিকা হওয়ার পরেও তাঁর জীবনটা অনেক বদলেছে বলে জানিয়েছেন বিরাট। এখন খেলা না থাকলে পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটাতে পছন্দ করেন তিনি। বিরাট বলেছেন, ‘‘ভামিকা আমাকে শিখিয়েছে বর্তমানকে নিয়ে বাঁচতে। সেটা আমি ভুলে যাচ্ছিলাম। এখন খেলা না থাকলে অনুষ্কা ও ভামিকার সঙ্গে সময় কাটাই। ওরাই আমাকে এনার্জি জোগায়। এখন জীবন উপভোগ করছি।’’