IPL থেকে ছিটকে যেতেই বিরাটকে নিয়ে বি’স্ফোরক মন্তব্য করে দিলেন ডু প্লেসি!

শুরুতেই বৃষ্টি। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কোহলির দুরন্ত শতরান। পদস্থ রানে পৌঁছে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। তবে গুজরাটের দ্বিতীয় ইনিংসে শুভমন গিলের ফের শতরান।‌ সহজেই ১৯৮ রান তুলে নিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় গুজরাট টাইটানস। আর এই ম্যাচ হেরে প্লেঅফের লড়াই থেকে ছিটকে গেল আরসিবি।মুষুলধারে বৃষ্টির সময় মনে হচ্ছিল ম্যাচ ভেস্তে যাবে। খেলা শুরু হলে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন গুজরাট অধিনায়ক। ব্যাট করতে নেমে ব্যাঙ্গালোরের তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলি ফের শতরান করেন। তা সত্ত্বেও ম্যাচে হারতে হলো রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে।

পরপর দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে আইপিএলের সবচেয়ে বেশি শতরান সংগ্রহকারী ক্রিকেটার তিনি। তবে তাঁর লড়াই সেইভাবে কাজে আসেনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান তোলে আরসিবি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে গুজরাটের ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা তাড়াতাড়ি আউট হয়ে গেলেও অন্য প্রান্তের লড়াই জারি রাখেন তরুণ তারকা ব্যাটার শুভমন। করেন ৫২ বলে ১০৪ রান। ইংনিস সাজান ৮টি ওভার বাউন্ডারি ও ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে। তাঁর দুরন্ত শতরানের ফলে ১৯.১ ওভারেই প্রয়োজনীয় রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় গুজরাট।এই ম্যাচ হারলেও টাইটানসদের খুব বেশি ক্ষতি হতো না। কিন্তু ম্যাচ হেরে প্রথম চারের লড়াই সহ এই বছরের মতো আইপিএলে যাত্রা শেষ হয়েছে ব্যাঙ্গালোরের।

```

ম্যাচ শেষে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক ফ্যাফ ডু’প্লেসি বলেন, ‘আমরা খুব হতাশ। একটা শক্তিশালী দলের মতো আজকে আমরা খেলছি। তবে শুভমন গিলের ইনিংসটা আমাদের হারিয়ে দিয়ে গেল। আমরা খুব একটা ভালো বোলিং করতে পারিনি। বোলিংয়ে অনেক পরিবর্তন করেছি আমরা। বিরাট অসাধারণ অপরাজিত একটা ইনিংস খেলে যায়। যার ফলে একটা ভালো রানে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলাম আমরা। কিন্তু শুভমনের গিলের অসাধারণ ইনিংসটা আমাদের ম্যাচ থেকে দূরে নিয়ে যায়।’এখানে না থেমে তিনি আরও বলেন…

‘যদি আমাদের ব্যাটিংয়ের কথা বলা হয় তাহলে প্রথম ৪ ব্যাটাররা ভালো ব্যাট করেছে পুরো মরসুম জুড়ে। মিডিল অর্ডারে আমরা বেশি রান করতে পারিনি। এই সমস্যা পুরো মরশুম জুড়েই আমাদের সঙ্গে ছিল। বিশেষ করে শেষের দিকে রান তুলতে পারিনি। বোলিংয়ের দিক থেকে বলতে গেলে খেলার মাঝে ওভারগুলিতে আমরা পছন্দ মতো উইকেট তুলতে পারিনি। বিরাট কোহলির কথা বলতে গেলে, ও পুরো মরশুম জুড়েই ধারাবাহিকভাবে রান করে গিয়েছে। ওপেনিং পার্টনারশিপ গড়েছে। এমন ম্যাচ নেই যেখানে ও ৪০ রানের কম করেছে।

```

আমাদের ম্যাচ ফিনিশররের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। গত বছরে দীনেশ কার্তিক অসাধারণ খেলেছিল। ম্যাচ শেষ করে আসছিল ও। কিন্তু এই বছরে তা হয়নি। যে দলগুলি সফলতা পেয়েছে তাদের দিকে তাকালে লক্ষ্য করা যাবে পাঁচ থেকে সাত নম্বর পজিশনে তাদের কাছে ভালো শট মারতে পারা ক্রিকেটাররা রয়েছে। এবার আমরা তা পাইনি। আগামী বছর নতুন করে ফের শুরু করব।’‌