নিজের ‘ম্যান অফ ম্যাচ’ ট্রফি তুলে দেন কোহলিকে, এতটাই বড়ো মন গম্ভীরের!ভাইরাল সেই ভিডিয়ো

সোমবার রাতে লখনউ সুপার জায়ান্টস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ম্যাচ ঘিরে একেবারে ধুন্ধুমার কাণ্ড! লখনউয়ের ইনিংসের সময় থেকে ম্য়াচের শেষ পর্যন্ত বারে বারে উত্তপ্ত হয়েছে পরিস্থিতি। আর এর জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী বিরাট কোহলি। তাঁর আগ্রাসন, তাঁর মেজাজ হারানো, প্লেয়ারদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ানো- সব মিলিয়ে ম্যাচের পর প্রায় হাতাহাতি হওয়ার উপক্রম হয়, তাও কিনা শান্ত স্বভাবের গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে। আসলে সব ঝামেলা মিলে শেষ পর্যন্ত কোহলি-গম্ভীরের মধ্যে তীব্র বিবাদ বাঁধে। আর সেই বিবাদ নিয়ে এখন তোলপাড় শুধু ভারত নয়, বিশ্ব ক্রিকেট মহল।

গম্ভীরের সঙ্গে কোহলির যেন এখন সাপে-নেউলের সম্পর্কে। এর আগে অতীতে বহু বার দুই তারকা একে অপরের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছেন। কোহলির আগ্রাসন নিয়ে এমনিতেই বহু সমালোচনা হয়ে থাকে। তবে নিজেকে বদলাননি বিরাট। লখনউয়ের ঘরের মাঠে তাদের বিরুদ্ধে ম্যাচে কোহলির বাড়তি আগ্রাসন চোখে পড়েছিল।লখনউয়ের ইনিংস চলাকালীন অকারণেই আগ্রাসন দেখাতে দেখা যায় কোহলিকে। ম্যাচ চলাকালীন নবীন উল হকের সঙ্গে প্রথমে ঝামেলায় জড়ান কোহলি। যদিও শুরুটা করেছিলেন আফগান তারকা। সেই পরিস্থিতি সামাল দেন অমিত মিশ্র। কোহলির সঙ্গে অমিত মিশ্ররও কথা কাটাকাটি হয়। আম্পায়ার সেই পরিস্থিতি সামাল দেন।

ম্যাচ শেষে হাত মেলানোর সময়ে কোহলি ও নবীন উল হকের ফের বিবাদ বাধে। কাইল মেয়ার্স এসে কোহলিকে কিছু বলার চেষ্টা করেন। তার পর আসেন গম্ভীর। মেয়ার্সকে তিনি সরিয়ে নিয়ে যান। এতে বিরক্ত হন কোহলি। শেষে তুমুল ঝামেলা শুরু হয় কোহলি-গম্ভীরের। সকলে মিলে তাদের ঝামেলা থামাতেই পাচ্ছিলেন না। একে অপরের দিকে বারবার তেড়ে তেড়ে যাচ্ছিলেন।কোহলি-গম্ভীরের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি বহু দিন আগেই হয়েছিল। এর পিছনে কী কারণ রয়েছে, সেটা অবশ্য জানা যায়নি। তবে ১৪ বছর আগে কোহলি যখন প্রথম দিকে ভারতীয় দলের জার্সিতে খেলতে শুরু করেছেন, সেই সময়ে বিষয়টি পুরো আলাদা ছিল। দেখুন সেই ভিডিও :

কোহলি-গম্ভীর ঝামেলা নিয়ে বিতর্কের মাঝেই একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যে ভিডিয়োটি ২০০৯ সালের ২৪ ডিসেম্বরের। ইডেন গার্ডেনে ভারত-শ্রীলঙ্কার চতুর্থ ওডিআই ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের। সেই ম্যাচে গম্ভীর ১৩৭ বলে অপরাজিত ১৫০ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন। আর বিরাট কোহলি সেই ম্যাচে ১১৪ বলে ১০৭ রান করেছিলেন। সেটি কোহলির প্রথম ওডিআই সেঞ্চুরি ছিল।

সেই ম্যাচে সেরা প্লেয়ার নির্বাচিত হয়েছিলেন গম্ভীর। কিন্তু তরুণ কোহলিকে উৎসাহ দিতে গোতি তাঁর ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিজে না নিয়ে, কোহলিকে দিয়ে দেন। যেহেতু কোহলি প্রথম ওডিআই সেঞ্চুরি করে ভারতকে জিততে সাহায্য করেছিলেন। আর সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরে বেশির ভাগ ক্রিকেটপ্রেমী কোহলিকেই একহাত নিয়েছেন।