সুপারম্যানের মতো উড়ে ক্যাচ ধরলেন ঋদ্ধিমান, IPL-এ বিরল ‘সেঞ্চুরি’ সাহার- ভিডিয়ো

আমদাবাদে শামি-ঋদ্ধির যুগলবন্দিতে দিল্লি ক্যাপিটালসকে পাওয়ার প্লে-তেই কোণঠাসা করে গুজরাট টাইটানস। বাংলার দুই তারকা দীর্ঘদিন একসঙ্গে ক্রিকেট খেলছেন। সেই সুবাদে তাঁদের বোঝাপড়া অত্যন্ত নিখুঁত। সেই অনবদ্য বোঝাপড়ার যথার্থ ছবি দেখা যায় নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে।ম্য়াচের একেবারে প্রথম বলে শামি সাজঘরে ফেরান ফিল সল্টকে। তিনি ডেভিড মিলারের হাতে ধরা দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। দ্বিতীয় ওভারে রান-আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন ক্যাপ্টেন ডেভিড ওয়ার্নার। ২.৫ ওভারে শামির বলে ঋদ্ধিমান সাহার হাতে ধরা পড়েন লিরি রসউ। ৪.১ ওভারে শামির বলে মণীশ পান্ডের অবিশ্বাস্য ক্যাচ ধরেন ঋদ্ধি। মণীশের ব্যাটের কানা ছোঁয়া বল ডানদিকে ঝাঁপিয়ে দস্তানাবন্দি করেন সাহা।

আইপিএল ২০২৩-এর ৪৪তম লিগ ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে মাঠে নামে লিগ টেবিলের একেবারে শেষে থাকে দিল্লি ক্যাপিটালস। আবহাওয়া ছিল মেঘাচ্ছন্ন। পিচে বল সুইং করার সম্ভাবনাও ছিল। যদিও পিচের সম্ভাব্য চরিত্র যথাযথ অনুমান করতে পারেননি দিল্লি দলনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। সবাই যেখানে ভেবেছিলেন যে, টস জিতে সবল দলই এই পিচে শুরুতে বল করতে চাইবে, ওয়ার্নার সকলকে অবাক করে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন।ব্যাট হাতে সেরা ছন্দে থাকা মিচেল মার্শ এই ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি, তা সত্ত্বেও ডাকাবুকো সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি দলনায়ক। যদিও তাঁর সেই সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে আঘাত করে দিল্লি শিবিরেই। কেননা ম্য়াচের একেবারে প্রথম বল থেকে উইকেট নেওয়া শুরু করেন মহম্মদ শামি।

বলের নড়াচড়া চোখে পড়তেই শামিকে সামলানো দুঃসাধ্য হয়ে দেখা দেয় দিল্লির ব্যাটসম্যানদের কাছে। ফলে পাওয়ার প্লে-তেই ৫টি উইকেট হারিয়ে বসে ক্যাপিটালস, যার মধ্যে শামি একাই নেন ৪টি উইকেট। দেখুন ঋদ্ধির সেই উড়ন্ত ক্যাচ :

ব্যাট হাতে সেরা ছন্দে থাকা মিচেল মার্শ এই ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি, তা সত্ত্বেও ডাকাবুকো সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি দলনায়ক। যদিও তাঁর সেই সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে আঘাত করে দিল্লি শিবিরেই। কেননা ম্য়াচের একেবারে প্রথম বল থেকে উইকেট নেওয়া শুরু করেন মহম্মদ শামি। বলের নড়াচড়া চোখে পড়তেই শামিকে সামলানো দুঃসাধ্য হয়ে দেখা দেয় দিল্লির ব্যাটসম্যানদের কাছে। ফলে পাওয়ার প্লে-তেই ৫টি উইকেট হারিয়ে বসে ক্যাপিটালস, যার মধ্যে শামি একাই নেন ৪টি উইকেট।

পরে ৪.৬ ওভারে শামির বলে প্রিয়ম গর্গের ক্যাচ ধরেন ঋদ্ধি। শামি নিজের প্রথম ৩ ওভারে ৭ রান খরচ করে ৪টি উইকেট তুলে নেন, যার মধ্যে ৩টি ক্যাচ ধরেন ঋদ্ধিমান সাহা।উল্লেখ্য রিলি রসউয়ের ক্যাচ ধরার সঙ্গে সঙ্গে আইপিএলে দুর্দান্ত এক মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলেন ঋদ্ধি। এটি ছিল আইপিএলে উইকেটকিপার হিসেবে ঋদ্ধির ৭৭তম ক্যাচ। ২৩টি স্টাম্প আউট মিলিয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগে ঋদ্ধির শিকার দাঁড়ায় ১০০। ধোনি ও কার্তিকের পরে তৃতীয় উইকেট কিপার হিসেবে আইপিএলে ১০০টি শিকারের নজির গড়েন বাংলার উইকেটকিপার। মণীশ ও প্রিয়মের ক্যাচ মিলিয়ে ঋদ্ধির শিকার দাঁড়ায় ১০২টি।