বাংলায় বহু প্রচলিত একটি প্রবাদ রয়েছে যে, পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। সেটা যে কতটা যথার্থ, তা আরও একবার প্রমাণ করলেন ইশান্ত শর্মা। মঙ্গলবার আমদাবাদে যেভাবে ফর্মে থাকা বিজয় শঙ্করকে বোল্ড করেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অভিজ্ঞ পেসার, তাতেই বোঝা যায় যে, কীভাবে টেস্ট স্পেশালিস্টের তকমা ঝেড়ে ফেলতে নিজেকে ঘষে মেজে বদলে ফেলেছেন ইশান্ত।জয়ের জন্য গুজরাট টাইটানসের সামনে ১৩১ রানের ছোটখাটো টার্গেট ঝুলিয়ে দেয় দিল্লি ক্যাপিটালস।কিন্তু তার সত্বেও মুখ থুবড়ে পড়েছে গুজরাট।
স্বাভাবিকভাবেই এত কম রানের পুঁজি নিয়ে পালটা লড়াই চালাতে হলে শুরু থেকে উইকেট তোলা ছাড়া উপায় ছিল না দিল্লির। পাওয়ার প্লে-তে কৃপণ বোলিংয়ের পাশাপাশি উইকেট তুলে নিয়ে ইশান্তরা সেই কাজটা করেন যথাযথভাবে।দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ওভারেই ঋদ্ধিমান সাহাকে আউট করেন খলিল আহমেদ। প্রথম ওভারের শেষ বলে ফিল সল্টের দস্তানায় ধরা পড়েন সাহা। ৩.১ ওভারে এনরিখ নরকিয়া ফিরিয়ে দেন শুভমন গিলকে। মণীশ পান্ডের হাতে ধরা পড়েন শুভমন।
পঞ্চম ওভারের শেষ বলে বিজয় শঙ্করকে ফিরিয়ে গুজরাট শিবিরে মোক্ষম আঘাত হানেন ইশান্ত।বিজয় শঙ্কর চলতি আইপিএলে ধ্বংসাত্মক ফর্মে রয়েছেন। বড়বড় শট নিয়ে প্রতিপক্ষ বোলারদের ক্রমাগত বিব্রত করেছেন তিনি। তবে ইশান্তের সামনে এদিন বিশেষ সুবিধা করতে পারলেন না তিনি। ইশান্ত ১১৯ কিলোমিটার গতির স্লো নাকল-বলে বোকা বানান ব্যাটসম্যানকে। লেগ সাইডে শট খেলতে গিয়ে বলের ফ্লাইট মিস করেন বিজয় শঙ্কর।
বল সামান্য বাঁক নিয়ে স্টাম্প ভেঙে দেয়। ফলে মাত্র ৬ রান করে মাঠ ছাড়তে হয় টাইটানসের নির্ভরযোগ্য অল-রাউন্ডারকে।ইশান্ত নিজের প্রথম ২ ওভারে মাত্র ১১ রান খরচ করে ১টি উইকেট তুলে নেন। যার ফলে গুজরাট পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে ৩১ রান তুলতেই ৩টি উইকেট হারিয়ে বসে।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১২ রান, স্ট্রাইক এ ছিলেন তেওয়াতিয়া, যিনি শেষ তিনটি বলে তিনটি ছয় মেরেছেন নকিয়া কে, তাকে রীতিমত পিচের মধ্যেই দাঁড় করিয়ে রাখলেন ইশান্ত শর্মা। দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ বলে দরকার ছিল ৭ রান, ছয় মারতে পারলেন না রশিদ খান।