“ক্ষমা করে দিও শামি ভাই” : ম্যাচ হেরে অবাক মন্তব্য করে দিলেন হার্দিক পান্ডিয়া!

বলের সামান্য নড়াচড়া চোখে পড়ে বটে, তবে আমদাবাদের যে পিচে দিল্লির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামে গুজরাট, তাতে পেসারদের জন্য খুব বেশি সাহায্য ছিল না। বরং প্রত্যাশার তুলনায় স্লো ছিল মোতেরার বাইশগজ। তবে এমন পিচেও মহম্মদ শামি যে রকম আগুনে বোলিং করেন, যতই প্রশংসা করা হোক না কেন, কম মনে হবে।পাওয়ার প্লেতে ৩ ওভার বল করে মাত্র ৭ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট তুলে নেন শামি। ইনিংসের সপ্তম ওভারে বল করতে এসে আরও ৪ রান খরচ করেন তারকা পেসার।

একটানা নিজের কোটার চার ওভার বল করে শামি ১১ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট দখল করেন। এই প্রথম আইপিএলে ৪ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন শামি। সুতরাং এটাই ছিল তাঁর আইপিএল তথা টি-২০ কেরিয়ারের সেরা বোলিং পারফর্ম্যান্স।মহম্মদ শামি শুরুতেই যে ধাক্কা দেন দিল্লি শিবিরে, সেখান থেকে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি তারা। ফলে ক্য়াপিটালস নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৩০ রানের বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি। দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে, এমন ছোটখাটো লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে গুজরাট টাইটানস ৬ উইকেটে ১২৫ রানে আটকে যায়।

```

ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় হার্দিকরা ৫ রানে ম্যাচ হেরে বসায় ব্যর্থ হয় শামির দুর্দান্ত লড়াই। ম্যাচের শেষে স্বাভাবিকভাবেই শামির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন ক্যাপ্টেন পান্ডিয়া।পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে হার্দিক বলেন, ‘সত্যি বলছি, ওর (শামির) জন্য আমার খারাপ লাগছে। যখন তুমি এমন অসাধারণ বল করে প্রতিপক্ষকে ১২৯ (আসলে ১৩০) রানে আটকে রাখো, তার পরেও ম্য়াচ হারতে হলে খারাপ লাগে। ব্যাটসম্যানরা হতাশ করেছে। আমার মনে হয় না বল খুব বেশি কাজ করেছে, আসলে এটা মহম্মদ শামির দক্ষতা, ও বলকে কথা বলিয়েছে।

নাহলে পিচে পেসারদের জন্য বিশেষ কোনও সাহায্য ছিল না। যেভাবে টানা চার ওভার বল করে ম্যাচের রাশ আমাদের হাতে তুলে দিয়েছিল, তার পুরো কৃতিত্বই ওর। আমি আবার বলছি, ম্যাচ ফিনিশ করতে না পারার জন্য ব্যাটসম্যানরা এবং আমি নিজেও দায়ি। আমরা ওকে হতাশ করেছি।’

```

দিল্লির কাছে হারতে হওয়ায় বিশেষ চিন্তিত দেখায়নি হার্দিক পান্ডিয়াকে। কেননা তাঁরা এখনও লিগ টেবিলের এক নম্বরে রয়েছেন। যদিও গুজরাট দলনায়ক স্পষ্ট জানান যে, বাকি ম্য়াচগুলিতে তাঁদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।