লিটন দাস এর বদলি হিসাবে কাকে কলকাতার নাইট রাইডার্স এর উইকেটকিপার করা যেতে পারে

টুর্নামেন্টের শুরুটা হয়েছিল হার দিয়ে। শেষটাও হেরেই করল কেকেআর। শনিবার ইডেনে আরও একবার বঙ্গভঙ্গের দিন সবুজ-মেরুন জার্সির লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পরাস্ত হল নাইটরা। বিফলে গেল রিঙ্কু সিংয়ের অবিশ্বাস্য লড়াই। কেকেআরকে মাত্র ১ রানে হারিয়ে দিয়ে প্লে-অফে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করে ফেলল লখনউ।

শনিবারের ম্যাচটাও ছিল কেকেআরের গোটা মরশুমের মতোই। এই উত্থান, আবার এই পতন। মরশুমের প্রথম ম্যাচে হারার পর যেমন পরপর দু’ম্যাচ জিতে চমকে দিয়েছিল কেকেআর, তেমনই লখনউ ইনিংসের শুরুটা করে নাইটরা। মাত্র ৭৩ রানের মধ্যে লখনউয়ের ৫ উইকেট পেয়ে গিয়েছিল কেকেআর। কিন্তু সেখান থেকে শুরু হয় পতন। ঠিক যেমন মরশুমের চতুর্থ ম্যাচ থেকে শুরু হয় টানা হার। তেমনই কোনও এক নিকোলাস পুরান এসে ৩০ বলে ৫৮ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংসটা খেলে নাইটদের অনেকটা পিছিয়ে দিল।

তবে লড়াই ছাড়েনি নাইটরা। পরপর হারের পর যেমন মাঝে দু-তিনটে ম্যাচ জিতে কামব্যাক করেছিল নীতীশ রানা (Nitish Rana) এন্ড কোম্পানি। তেমনই নাইটদের ব্যাটিংয়ের সময় প্রথম ছ’ওভারে সেই কামব্যাক। রয় এবং আইয়ারের দাপটে প্রথম ছয় ওভারে কেকেআর প্রায় ১০ রান করে তোলে। কিন্তু পাওয়ার প্লে-র পর ফের শুরু পতন। গোটা মরশুম যেমন ধারাবাহিকতার অভাব ভুগিয়েছে, এদিনও তেমনই ভোগাল। ৬১ রানে ১ উইকেট থেকে নাইটরা ১৮ ওভারে ১৩৬ রানে ৭ উইকেটে পৌঁছে গেল।দু’ওভারে তখনও দরকার চল্লিশের বেশি রান। কিন্তু কেকেআরের গোটা মরশুমের নায়ক রিঙ্কু সিং তখনও লড়াই ছাড়েননি। যেমনটা তিনি ছাড়েননি গোটা মরশুম। সবটুকু দিয়ে লড়াই করলেও কলকাতার হয়ে ম্যাচ জেতাতে পারেনি রিঙ্কু সিং।

১৯ নম্বর ওভারে ২০ রান তুলে নিলেন তিনি। আবার কেকেআর সমর্থকরা আশায় বুক বাঁধলেন। পারলে রিঙ্কুই পারলেন। কিন্তু রূপকথা রোজ হয় না। এদিনও হল না। রিঙ্কু এদিন পারলেন না। চেষ্টা করে গেলেন শেষ পর্যন্ত, কিন্তু তাঁর একার চেষ্টায় জিতল না নাইটরা। ঠিক যেমন রিঙ্কুর একার চেষ্টায় প্লে-অফে ওঠাটাও হল না নাইটদের।

ম্যাচে পরাজয়ের ফলে রিংকু সিং জানিয়েছেন যে, ম্যাচ শেষ করতে না পারার জন্য তিনি ভীষণভাবে দুঃখিত এবং তিনি নিজের উপর ভরসা রেখেছিলেন যে তিনি ম্যাচটা শেষ করতে পারবেন তবে শেষ পর্যন্ত এক রানের জন্য পরাজয়ের ফলে তিনি নিজের উপর ভীষণ অখুশি।