“আমি স্লো খেলতে চাই নি” চোখে জল নিয়ে যা বললেন শুভমান গিল,স্যালুট নেটিজেনদের

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন ভারতের তরুণ ক্রিকেটার শুভমান গিল, তবে সমস্যা একটাই তার এই অনবদ্য সেঞ্চুরি সত্বেও ভারতীয় দল এই ম্যাচে পরাজিত হয়েছে। নিয়ম রক্ষার ম্যাচে বাংলাদেশের মুখোমুখি ভারত টিমে অসংখ্য পরিবর্তন করে অযোগ্য ব্যাটসম্যানদের দলে ভর্তি করে নেয় যার ফলাফল কি হতে চলেছে সেটা আগে থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। খুব স্বাভাবিকই তিলক বর্মা এবং সূর্য কুমার যাদবের মত ক্রিকেটাররা নিজেদের স্বভাবসুলভ আচরণ করে ব্যর্থ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।এমন সময় সমস্ত দায়িত্ব এসে পড়ে শুভমান গিলের উপর।

অসংখ্য ক্রিকেট ভক্তরা শুভমান গিলের এই দুর্দান্ত এবং লড়াকু ইনিংসকে একটি স্বার্থপর ইনিংস বলে দাবি করছেন তার কারণ খুব ধীরে সুস্থে একটি স্লো ইনিংস খেলেছেন শুভমান যার ফল স্বরূপ ভারতকে পরাজিত হতে হয়েছে এমনটাই মনে করছেন ক্রিকেট ভক্তদের একাংশ। তবে ক্রিকেট ভক্তদের আরেকটি অংশের দাবি স্লো খেলাটা ভীষণ দরকার ছিল তার কারণ ভারত একের পর এক উইকেট হারিয়েছে এবং শুভমানের সাথে দাঁড়ানোর মত কেউ ছিল না। এমনকি সে যদি বাকিদের মতো তাড়াহুড়ো করত তাহলে তার উইকেট পড়ে যেত এবং ভারত আরো কম রানে বান্ডিল হতো।

শুভমান গিল মনে করছেন যে, খুব ধীরগতিতে খেলাটা কখনোই তার ইচ্ছে ছিল না তবে পরিস্থিতি এরকম হয়ে দাঁড়ায় যে ভারত একের পর এক উইকেট হারাতে শুরু করে। প্রথমে ১৭ রানের মাথায় দুই উইকেট পড়ে যায় এবং শুভমান কে পুরো চাপ সামলে আবার নতুন করে পার্টনারশিপ করতে শুরু করতে হয়, ৭৪ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট এবং ৯৪ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট পড়ে যাবার পরে ভারত রীতিমতো চাপের মধ্যে পরে কারণ টার্গেট টা ছিল ২৬৬। আবার কুমার যাদব বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারেননি, ২৬৬ রান টার্গেট সেখানে 149 রানেই অর্ধেক টিম প্যাভিলিয়নে এরকম পরিস্থিতিতে ডিফেন্স করে পার্টনারশিপ তৈরি করতে চেয়েছিলেন শুভমান।

রানের থেকে অনেক বেশি উইকেট ভারতীয় দল হারিয়ে ফেলে এবং সেটিকে সামঞ্জস্য করতে গিয়েই শুভমান গিল ধীর গতিতে খেলেছেন বলে জানাচ্ছেন। পাশাপাশি ক্রিকেট ভক্তদের একাংশ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে যে তিলক বর্মা অথবা সূর্য কুমার যাদবদের আর কতদিন ওয়ানডে দলে জায়গা দেওয়া হবে তার কারণ কোনোভাবেই ওয়ানডে দলে খেলার মত পরিস্থিতিতে সূর্য কুমার যাদব নেই আর তিলক বর্মা খুবই নতুন একজন ক্রিকেটার এশিয়া কাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে এই ধরনের ক্রিকেটারদের অবাস্তবভাবে সুযোগ করে দেওয়ার অর্থ একটাই এই ধরনের ক্রিকেটারদের আগামী ১০ বছর ভারতীয় বোর্ড মাথায় করে নিয়ে নাচবে।

নিজের ভক্তদের একটা বড় অংশ প্রশ্ন তুলেছেন এই ধরনের সিলেকশন নিয়ে, যেখানে এতটা এক্সপিরিয়েন্স ক্রিকেটার সঞ্জু স্যামসন তৈরি রয়েছেন অথচ তাকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। ভারতীয় দলের এটা অভ্যাসে দাঁড়িয়েছে যে কোন একটা প্লেয়ারকে সিলেক্ট করা এবং তাকে এত বেশি সুযোগ দেওয়া যে অন্য সমস্ত ক্রিকেটারদের দিকে না তাকানো। অনেক ক্যাপ্টেন এবং সিলেক্টর মিলে এই ধরনের কাজ করেছেন। যার অন্যতম উদাহরণ…

প্রত্যেক ক্যাপ্টেনের কিছু প্রিয় খেলোয়াড় থাকে, মহেন্দ্র সিং ধোনি যেমন কখনোই রায়না অথবা জাদেজাদের ছেড়ে চলতেন না। একইভাবে রোহিত শর্মা তার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বন্ধুদের ছেড়ে চলতে পারছেন না এমনটাই দাবি করছে ক্রিকেট ভক্তদের একাংশ।