২০২৩ সালের আইপিএলে এমন এক ঘটনা ঘটে গেছে যা আইপিএলের ইতিহাসে লম্বা সময় পর্যন্ত মানুষ মনে রাখবে, যেমন এত বছর ধরে চলা আইপিএল কিন্তু তার সত্বেও ব্র্যান্ডেন ম্যাকালামের প্রথম ম্যাচের সেই ১৫৮ রান কেউ ভুলতে পারছেন না ঠিক সেরকম রিংকু সিং এর এক ওভারে পাঁচটি ছয় মেরে ম্যাচ শেষ করার কথাটি ও লম্বা সময় পর্যন্ত মানুষ মনে রাখবে। এ বারের আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচ ভুলে যেতে চাইবেন যশ দয়াল। গুজরাত টাইটান্সের এই পেসারকে রিঙ্কু সিংহ শেষ ওভারে পাঁচটি ছক্কা মেরেছিলেন। সেই ম্যাচের পর থেকে যশকে আর খেলাচ্ছে না গুজরাত। কোথায় গেলেন তিনি? কেন খেলানো হচ্ছে না যশকে? উত্তর দিলেন হার্দিক পাণ্ড্য।
গুজরাতের অধিনায়ক হার্দিক জানিয়েছেন যে যশের মাঠে ফিরতে এখনও অনেকটা সময় প্রয়োজন। হার্দিক বলেন, “কেকেআর ম্যাচের পর অসুস্থ হয়ে পড়েছে যশ। কবে ফিরতে পারবে জানি না। সাত-আট কেজি ওজন কমে গিয়েছে ওর। মাঠে নামার মতো শরীরের অবস্থা নেই যশের। ওর পক্ষে এখনই মাঠে নামা সম্ভব হবে নয়।”কেকেআরের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে ৩১ রান দেন যশ। রিঙ্কু তাঁর শেষ পাঁচ বলে পাঁচটি ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতান।
এ বারের আইপিএলে তিনটি ম্যাচ খেলেছেন যশ। হাতে ২৯ রান নিয়েও কলকাতার বিরুদ্ধে শেষ ওভারে হেরে যাওয়ার পর মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন গুজরাতের বাঁহাতি পেসার। আমদাবাদে ২০৫ রান তাড়া করে জেতে কেকেআর। তার পর থেকেই যশকে আর প্রথম একাদশে দেখা যাচ্ছে না। যশের জায়গায় মোহিত শর্মা খেলছেন। অভিজ্ঞ মোহিত নজর কাড়ছেন গুজরাতের হয়ে।
গত বারের আইপিএলে গুজরাতের জয়ের পিছনে ভূমিকা ছিল যশের। ন’টি ম্যাচে ১১টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এ বারে তাঁর জায়গা নেওয়া মোহিত চার ম্যাচে ছ’টি উইকেট নিয়েছেন। গত বছর তিনি দলের নেট বোলার ছিলেন। আইপিএলে গুজরাত দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে শেষ ম্যাচে ৫৫ রানে হারায় গুজরাত।
একজন প্রফেশনাল ক্রিকেটার হিসেবে বোলার জস দয়ালের ফিরে আসা উচিত আবারও ক্রিকেটের মধ্যে। তার কারণ যেকোনো দিনে একটা খারাপ সিচুয়েশন আসতেই পারে এবং আপনার দিন খারাপ যেতেই পারে তা বলে ক্রিকেট থেকে সম্পূর্ণরূপে বেরিয়ে যাওয়ার কোন মানে হয় না এবং লড়াই করে আবারো তাকে ফিরে আসতেই হবে খেলার মাঠে।