বিগ আপডেট:”ধোকাদারি” করার অপরাধে বাবরের পাপের কারণে নিষিদ্ধ হতে চলেছেন ইমাম উল হক !

সম্প্রতি এশিয়া কাপে ভারতীয় দলের কাছে লজ্জার হার হেরেছে পাকিস্তান দল এবং তারপরে শ্রীলংকার কাছেও লজ্জাজনকভাবে পরাজিত হয়ে এশিয়া কাপের ময়দান থেকে তল্পি তল্পা গুটিয়ে বাড়ি চলে গেছে পাকিস্তান এবং ফাইনাল হয়েছে ভারত শ্রীলংকার মধ্যে। একদিকে ভারতের কাছে পরাজয়ের ধাক্কা, আবার তার পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় কোনমতেই সহ্য করতে পারছিলেন না পাকিস্তান ক্যাপ্টেন বাবর আজম। আর সেখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।

ভারতের বিরুদ্ধে রীতিমতো ১২৮ রানে বান্ডিল হয়ে লজ্জাজনক ভাবে হেরেছে পাকিস্তান, তার পাশাপাশি এই ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেনি পাকিস্তানের কোন ব্যাটসম্যান, যার মধ্যে বাবর আজম, ইমাম উল হক প্রত্যেকেই রয়েছেন। কিন্তু পরবর্তী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জিতে এশিয়া কাপ ফাইনালে পাকিস্তান পৌঁছবে এরকমটাই আশা ছিল পাক ক্যাপ্টেন বাবর আজমের, কিন্তু শ্রীলংকার কাছে পরাজিত হয়ে আসা ভঙ্গ হতেই ড্রেসিংরুমে রীতিমতো তিনি খুব উগড়ে দেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সমস্ত ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে। আর সেখানেই তৈরি হয় নতুন বিতর্ক যার সমস্ত ভার শেষ পর্যন্ত গিয়ে পড়লো ইমাম উল হকের উপর। মেন ব্যাপার হচ্ছে ম্যাচের শেষে মিটিং চলাকালীন..

বাবর আজম দলের সমস্ত ক্রিকেটারদের উদ্দেশ্যে বলেন যে তারা দায়িত্ব সহকারে খেলছে না, ক্যাপ্টেন হিসেবে তিনি শাসন করেন সমস্ত ক্রিকেটারদের এই জায়গায় দাঁড়িয়ে বলেন যে যারা ভালো খেলেছে অন্তত তাদের একটু প্রশংসা করো, শাহিন আফ্রিদির এই নাক গলানো মোটেও পছন্দ করেনি বাবর এবং তিনি বলেন আমি জানি কে কেমন খেলেছে। আর তারপরে শাহিন আফ্রিদির সঙ্গে তর্ক বিতর্ক হয় বাবরের, দলের প্রধান বোলার এবং অধিনায়কের মধ্যে এই তর্ক-বিতর্ক পাকিস্তান দলের জন্য মোটেই ভালো নয় এমনটা মনে করছে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ মহৎ তবে এইখানেই ফেঁসে যান ইমাম উল হক। এরকমটা দাবি করা হয় যে পাকিস্তান ড্রেসিংরুমের মধ্যে যে পুরো ঘটনাটি ঘটেছে সেটি বাইরে অর্থাৎ মিডিয়ার কাছ পর্যন্ত পৌঁছে দেন ইমাম উল হক।

পাকিস্তান ড্রেসিংরুমের ভিতরে যা হয়েছে এই ব্যাপারটা জানাজানি সবার সাথে সাথেই বিশ্ব ক্রিকেটে পাকিস্তান দলকে নিয়ে রীতিমতো হাসিঠাট্টা শুরু হয়ে যায় এবং পাকিস্তান দলের চরম সমালোচনা এবং সম্মানহানি হয়। আর সেই কারণেই পাকিস্তান দলের ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই পুরো ব্যাপারটি মিডিয়ার সামনে যে ফাঁস করেছে তার বিষয়ে তদন্ত হবে।।

আর এই তদন্তে যদি ইমাম উল হক দোষী সাব্যস্ত হন সে ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এরকম সম্ভাবনাও রয়েছে যে তাকে দল থেকে বহিষ্কৃত করা হতে পারে অন্তত কিছুটা সময়ের জন্য, কারণ এটা অবশ্যই একটা অত্যন্ত সিরিয়াস বিষয় যেখানে দলের মধ্যকার কোন বিষয় বা ড্রেসিংরুমের আলোচনার কোন বিষয় জনসমক্ষে নিয়ে আসা হচ্ছে।

যদিও পাকিস্তানের এই ক্ষেত্রে রাগ করা মোটেও সাজে না তার কারণ ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জয়লাভ করা আগামী কয়েক বছরেও তো আর হচ্ছে না এরকমটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।