ভারতের বিশ্বকাপ (ICC World Cup 2023) অভিযান শুরু হলো আজ। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলো টিম ইন্ডিয়া। বিশ্বকাপের (ICC World Cup 2023) ইতিহাস বলছে আজকের আগে ১২ সাক্ষাতে অজিদের পাল্লা ভারী ছিলো। ৮টি ম্যাচে জিতেছিলো তারা। পক্ষান্তরে ভারতের জয় এসেছিলো ৪টিতে। তবে দিনকয়েক আগে দেশের মাটিতে কামিন্স-বাহিনীকে ২-১ ফলে পরাজিত করা নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছিলো ‘মেন ইন ব্লু’কে। ডেঙ্গির কারণে শুভমান গিলকে (Shubman Gill) পায় নি ভারতীয় দল। তার সত্বেও তুলকালাম ভারতীয় দলের।
চেন্নাইয়ের স্পিন সহায়ক উইকেটকে মাথায় রেখে তিন স্পিনার খেলান কোচ দ্রাবিড়। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়াও আজকের খেলায় পায় নি ট্র্যাভিস হেড (Travis Head) এবং মার্কাস স্টয়নিসকে। স্পিন নয়, বরং তিন পেসারে আস্থা ছিলো তাদের। টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স (Pat Cummins)। জসপ্রীত বুমরাহ’র বলে তৃতীয় ওভারেই মিচেল মার্শ আউট হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয় তাদের। ওয়ার্নার-স্মিথ জুটি ভরসা যোগালেও ৬৯ রানের বেশী স্কোরবোর্ডে জুড়তে পারে নি। এরপর অজি মিডল অর্ডারকে নাস্তানাবুদ করেন রবীন্দ্র জাদেজা। ৩ উইকেট তাঁর দখলে।
আজ চেন্নাইয়ের বাইশ গজে ভারতীয় স্পিনারদের বিপক্ষে চাপে পড়লো অস্ট্রেলিয়া শিবির। ১৯৯ রানের বেশী এগোতে পারে নি তারা। স্বল্প রানের পুঁজি রক্ষা করতে নেমেও একটা সময় ভারতীয় শিবিরে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন স্টার্ক এবং হ্যাজেলউড (Josh Hazlewood)। মাত্র দুই রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন ঈশান-রোহিত ও শ্রেয়স। কঠিন পরিস্থিতিতে রাহুল ও কোহলির ১৬৫ রানের জুটি ভারতকে জয় এনে দেয়। হারের পর নিজেদেরকেই দুষলেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক।ভারতকে তাদের ঘরের মাঠে বাগে পেয়েও হারানো হলো না অস্ট্রেলিয়ার। স্কোরবোর্ডে যথেষ্ট রান না থাকাকেই কারণ বলে মনে করছেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স (Pat Cummins)।
খেলা শেষে বললেন, “অন্তত ৫০ রান কম করেছি আমরা। কঠিন ছিলো পরিস্থিতি। ২০০’র নীচে কোনো রানকে রক্ষা করা…ওদের (ভারতের) বোলিং নিঃসন্দেহে ভালো করেছে, বিশেষ করে স্পিনাররা আমাদের জন্য কাজটা কঠিন করে তুলেছিলো।” মাত্র দুই স্পিনার নিয়ে আজ মাঠে নেমেছিলো অস্ট্রেলিয়া। চোটের কারণে অ্যাস্টন অ্যাগার (Ashton Agar) নেই, ফল ভুলতে হলো? উত্তরে অজি অধিনায়কের ব্যাখ্যা, “আমি বিশেষ ভাবিত ছিলাম না এটা নিয়ে। আমাদের হাতে কুড়ি ওভার ছিলো স্পিনের। স্কোরবোর্ডে আরও রান থাকলে সেটা তফাত গড়ে দিতে পারত।”
ইনিংসের গোড়ার দিকেই বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ক্যাচ ফস্কান মিচেল মার্শ। যা দিনের শেষে জয় ও হারের মাঝে ব্যবধান হয়ে গেলো অস্ট্রেলিয়ার জন্য। রসিকতা করে কামিন্স বলেন, “আমি তো ভুলেই গিয়েছি ওটার কথা। এগুলো হয়েই থাকে। ১০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট পেয়ে গেলে সেটা স্বপ্নের সূচনা হতেই পারত।” সতীর্থ জশ হ্যাজেলউড সম্পর্কে অধিনায়কের মূল্যায়ন, “ও একজন দুর্দান্ত বোলার। প্রতিপক্ষের জন্য অনেক প্রশ্ন থাকে ওড় ঝুলিতে। নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সরে না। আজ ও অসাধারণ খেলেছে।”
এই হার পর্যালোচনা করে আগামীর লক্ষ্য ঠিক হবে বলে জানিয়েছেন কামিন্স। বিশেষ আমল দিচ্ছেন না আজকের হারকে। বলেন, “নয়টা খেলার মধ্যে এটা মাত্র একটা। বেশী কিছু ভাবার নেই, তবে কিছু বিভাগে আমাদের উন্নতি প্রয়োজন।” নিজের টসের সিদ্ধান্ত নিয়ে অনুশোচনা নেই বলেই জানিয়েছেন কামিন্স।