গরীব মানুষ!নিউ মার্কেটে মাছ বেচে সংসার চলে! গোয়েন্দারা ধরতেই খুললো রহস্য

নিউমার্কেটের এক সাধারন ব্যবসায়ী। মাছ বিক্রি করে সংসার চালান। কিন্তু তার অতীতকে এতটা ভয়ানক হতে পারে তা হয়তো কেউ কোনদিনও ভাবেনি। ডানলপ থেকে গ্রেফতার করা হয় এই ব্যক্তিকে। তার নাম নুর নবি ম্যাক্সন।বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে এসে এক সাধারণ গরিব মানুষের জীবন যাপন করছিলেন এই ব্যক্তি। কিন্তু বাংলাদেশে তিনি এমন কি করেছেন যে তাকে এই দেশে পালিয়ে আসতে হল। সেই সব উত্তর জানালো সিআইডি।

বাংলাদেশে থেকে ভারতে এসে গা ঢাকা দিয়েও হল না শেষরক্ষা। এই কুখ্যাত জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করল সিআইডি (CID)। ডানলপ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। বাংলাদেশে শুধুমাত্র গ্রেপ্তারি এড়ানোর জন্যই ভারতে আসা লক্ষ্য নাকি অন্য কোনও অভিসন্ধি নিয়ে ম্যাক্সন ভারতে এসেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিআইডি সূত্রে খবর, খুন, ছিনতাই-সহ ম্যাক্সনের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে ১১টি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। জঙ্গি দলে যোগ দেয় সে। বাংলাদেশে তাকে গ্রেপ্তারির চেষ্টা করে RAB। সেই সময় দেশ ছাড়ে ম্যাক্সন।

বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসে সে। নাম বদল সে। নিজেকে তমাল চৌধুরী নামে পরিচয় দেয় সে। তৈরি করে ভুয়ো পাসপোর্ট। ২০২১ সালের ১৫ জুলাই থেকে ২০৩১ সালের ১৪ জুলাই পর্যন্ত মেয়াদ রয়েছে ওই পাসপোর্টটির। দেশজুড়ে লকডাউনের সময় নিউ মার্কেটে থাকত ম্যাক্সন। সেখানে মাছ বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করত। এরপর এক মহিলার সঙ্গে আলাপ হয় তার। নিউ মার্কেট থেকে মধ্যমগ্রামে চলে যায়।

বর্তমানে প্রতি মাসে ৭ হাজার টাকার বিনিময়ে ডানলপে ঘর ভাড়া নেয়। সেখানেই বসবাস করছিল ম্যাক্সন। সিআইডি গোপন সূত্রে খবর পায়, বাংলাদেশি জঙ্গি ম্যাক্সন ডানলপে গা ঢাকা দিয়েছে। সেই অনুযায়ী তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। এরপর সিআইডি আধিকারিকরা ডানলপে হানা দিয়ে ম্যাক্সনকে গ্রেপ্তার করে।

এ দেশে পালিয়ে আসার নেপথ্যে শুধুই গ্রেপ্তারি এড়ানো লক্ষ্য নাকি বর্তমানে জঙ্গি সংগঠনের হয়ে কোনও কাজ করছে সে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ম্যাক্সনকে জেরা করে সমস্ত তথ্য পাওয়া যাবে বলেই আশা তদন্তকারীদের। কিভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে এসে কিভাবে এত সহজে একজন সাধারন মানুষ হিসেবে বসবাস করতে শুরু করলেন এবং ভারতের মানুষদের মধ্যে মিশে গেলেন সেটা অবশ্যই ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের।