“কেকেআর জেতেনি,আমরা…”ম্যাচ জিততে না পেরে বি’স্ফোরক মন্তব্য করলেন বিরাট কোহলি!

চিন্নাস্বামীতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে হেরে নিজের দলের ক্রিকেটারদের পেশাদারিত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অস্থায়ী অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ম্যাচের শেষে নিজেদের পারফর্ম্যান্সে রীতিমতো ক্ষুব্ধ দেখায় কোহলিকে। তিনি এমনটাও বলে বসেন যে, এমন খেলার পরে তাঁদের হারাই উচিত ছিল।

কোহলির দাবি, তাঁরাই কলকাতার হাতে ম্যাচ তুলে দিয়েছেন। বোলারদের নিয়ে তো বটেই বরং ব্যাটসম্যানদের উপরে বেশি ক্ষুব্ধ দেখায় আরসিবি দলনায়ককে। বিশেষ করে ব্যাটসম্যানরা যেভাবে নিজেদের উইকেট ছুঁড়ে দিয়েছেন, তাতে ক্ষপে লাল কোহলি।বিরাটের কথায়, ‘সত্যি বলতে আমরা ওদের হাতে ম্যাচ তুলে দিয়েছি। আমাদের হারাই উচিত ছিল, কেননা আমরা মাঠে যথেষ্ট পেশাদারিত্ব দেখাতে পারিনি। বোলিংয়ে উন্নতির অবকাশ রয়েছে, তবে আমরা সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। বেশ কিছু ক্যাচ ফেলেছি, যার ফলে ২৫-৩০ রান বাড়তি খরচ হয়। আজ আমরা মোটেও নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী খেলতে পারিনি।’

```

কোহলি সঙ্গে যোগ করেন, ‘আমরা বড্ড বেশি সহজ উইকেট দিয়ে এসেছি। উইকেট টেকিং বল নয়, তবু আমরা সোজা ফিল্ডারের হাতে মেরে বসেছি। নিজেদের ভুলে এভাবে একের পর এক উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এলে ম্যাচ তো হারতেই হবে।’বিরাটের দাবি, তাঁদের সামনে জয়ের সুযোগ ছিল। তবে তার জন্য দরকার ছিল আরও একটা পার্টনারশিপ। কোহলি বলেন, ‘পরপর উইকেট হারানোর পরেও একটা পার্টনারশিপই আমাদের ম্যাচ ফেরায়। আমি মনে করি যে, জয়ের জন্য আরও একটা পার্টনারশিপ দরকার ছিল আমাদের।’উল্লেখ্য, চিন্নাস্বামীতে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২০০ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে।

জেসন রয় ৫৬, নারায়ন জগদীশান ২৭, বেঙ্কটেশ আইয়ার ৩১, আন্দ্রে রাসেল ১, রিঙ্কু সিং অপরাজিত ১৮ ও ডেভিড ওয়াইজ অপরাজিত ১২ রান করেন। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও বিজয়কুমার বৈশাক ২টি করে উইকেট দখল করেন। ১টি উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ।জবাবে ব্যাট করতে নেমে আরসিবি পাওয়ার প্লে-তেই ৩টি উইকেট হারিয়ে বসে।

```

শেষমেশ তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৯ রানে আটকে যায়। ২১ রানে ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। ব্যর্থ হয় বিরাট কোহলির ৫৪ রানের লড়াকু ইনিংস। বরুণ চক্রবর্তী ৩টি এবং সুয়াশ শর্মা ও আন্দ্রে রাসেল ২টি করে উইকেট দখল করেন।