“ওটা নিয়ে ভাবছি না, রোহিত কোহলিদের নিয়ে বড় মন্তব্য করে দিলেন রোহিত শর্মা

২০২৩ সালের অ্যাশেজ সিরিজে পঞ্চম টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষে স্টুয়ার্ট ব্রড একটি বোমা ফাটিয়েছেন। তিনি নিজের সেরা ফর্মে থাকার সময়েই অবসরের ঘোষণা করে দিয়েছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, এটিই তাঁর শেষ টেস্ট হতে চলেছে।রবিবার এবং সোমবার (যদি সেদিন ম্যাচ গড়ায়) অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষবারের মতো বল হাতে নামবেন তারকা ইংরেজ পেসার। যিনি বুঝিয়ে দিলেন যে জেমস অ্যান্ডারসনের মতো পরিণতি চান না। বরং তুখোড় ফর্মে থাকতে থাকতেই ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চান। আর সেটাই করছেন। অস্ট্রেলিয়াও চতুর্থ দিনের শুরুতে গার্ড অব অনার তৈরি করে কিংবদন্তি পেসারকে স্বাগত জানায়।

সেই দুরন্ত আবেগপ্রবণ মুহুর্তের ঠিক পরেই স্টিভ স্মিথ খোঁচা দেন জেমস অ্যান্ডারসনকে। যে অংশটি আবেগঘন ওভাল দৃশ্যের মধ্যে অলক্ষিত ছিল।রবিবার অ্যান্ডারসনের সঙ্গে ব্রড ফের ব্যাট করতে নেমেছিলেন। কারণ ইংল্যান্ডের কিছুটা রান বাড়ানোর লক্ষ্য ছিল। তৃতীয় দিনের শেষে ছিল নয় উইকেটে ৩৮৯ রান। খুব বেশি রান অবশ্য ইংল্যান্ড যোগ করতে পারেননি। ৬ রান যোগ করেছিল তারা। আর সেই ছয় রান ব্রড করেছিলেন ছক্কা হাঁকিয়ে। শেষ পর্যন্ত তিনি ৮ রানে অপরাজিত থাকেন।অস্ট্রেলিয়ার গার্ড অব অনার দেওয়ার আগে পুরো ওভাল স্টেডিয়াম জুড়ে সকলে বিশাল করতালির সঙ্গে ব্রডকে সম্মান জানায়। তার পর পুরো অজি টিম ব্রডকে গার্ড অফ অনার দেয়।

ব্রডের গার্ড অব অনার শেষ হওয়ার ঠিক পরেই, স্টিভ স্মিথ কিছুটা কটাক্ষ করেই জেমস অ্যান্ডারসনকে গার্ড অব অনার নিতে বলেন। কিন্তু জিমি সেটা প্রত্যাখ্যান করেন। এই ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে চলছে হাসি-ঠাট্টাও। রবিবার অ্যান্ডারসন তাঁর ৪১তম জন্মদিন উদযাপন করলেন। কিন্তু তিনি এখনও তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ার ছাড়ার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। তিনি এখনও খেলা চালিয়ে যেতে চান। অ্যান্ডারসন ইতিমধ্যে স্পষ্ট করে বুঝিয়েও দিয়েছেন যে, তাঁর এখন অবসর নেওয়ার কোনও ইচ্ছে নেই।

ব্রড এবং অ্যান্ডারসন ২০০৮ সাল থেকে একসঙ্গে টেস্ট ক্রিকেট খেলছেন। ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার দিক থেকে দুই কিংবদন্তি বোলারই যথাক্রমে প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন।অবসরের ঘোষণার পর ব্রড বলেছিলেন যে, আমি যখন অ্যান্ডারসনের সঙ্গে কথা বলেছিলাম, তখন আমার চোখে জল ছিল। কিন্তু আমাদের দলের জন্য আরও একটি ম্যাচ জিততে হবে এবং যদি তা হয় তবে আমরা পরে মনে রাখতে পারি।

সব মিলিয়ে স্মিথের এই মন্তব্য নতুন করে বিতর্ক তৈরি করলো । অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তটি নিতান্তই ব্যক্তিগত এবং সেই জায়গায় কেউ যদি এইভাবে নাক গলানোর চেষ্টা করে তাহলে সেটা খারাপ মেসেজ দেয় অবশ্যই।