আধুনিক টি-২০ ক্রিকেটে উদ্ভাবনী শটে চোখ ধাঁধাতে দেখা যায় বহু ব্যাটসম্যানকেই। বিশেষ করে আইপিএলের মঞ্চে প্রথাগত ক্রিকেটীয় শট ছাড়াও ব্যাটসম্যানদের অস্ত্রভাণ্ডারে থাকে স্কুপ, রিভার্স সুইপ, সুইচ হিট, আপার কাট, পিকআপ শটের মতো হাতিয়ার। তবে বিশেষ বিশেষ শটের সঙ্গে বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিশেষ কোনও ক্রিকেটারের নাম জড়িয়ে যেতেও দেখা যায় হামেশাই।
কেভিন পিটারসেন যেমন সুইচ হিটের মাস্টার ছিলেন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল সুইচ হিটের সঙ্গে রিভার্স সুইপেও বিষেশজ্ঞ। সূর্যকুমার যাদবের মতো অদ্ভুত সব স্কুপ শট খেলতে পারেন খুব কম ক্রিকেটারই। দিলশান ক্রিকেটবিশ্বকে হদিশ দিয়েছেন দিলস্কুপের। ধোনির হেলিকপ্টার শট অনুকরণ করে চলেছে ক্রিকেটের বর্তমান প্রজন্ম।উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই উদ্ভাবনী শটগুলি ছোঁয়াচে রোগের মতো। সামনে থেকে কাউতে নতুন শটে চার-ছয় মারতে দেখলে নিজেকে আটকে রাখা মুশকিল হয় বাকিদেরও। সেকারণেই অজিঙ্কা রাহানেকেও ইডেনে রিভার্স স্কুপে বাউন্ডারি মারতে দেখা যায়।
প্রথম ইনিংসের ৬.৪ ওভারে রবীন্দ্র জাদেজাকে যেভাবে রিভার্স শটে গ্যালারিতে ফেলেন জসওয়াল, তা দেখে ম্যাক্সওয়েলের কথা মনে পড়তে বাধ্য। সুতরাং, বলাই যায় যে, জয়পুরে যশস্বীর ব্যাটে দেখা যেয় ম্যাক্সওয়েল ফ্লেভার।
সেই ‘ছোঁয়াচে রোগের’ কবলে পড়লেন যশস্বী জসওয়ালও। দীর্ঘদিন রাজস্থানের হয়ে জোস বাটলারের সঙ্গে ওপেন করছেন যশস্বী। বাটলারকে যে সব নিত্যনতুন শট খেলতে দেখেন ক্রিজের অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে, তার দু-একটি নিজে প্রয়োগ করবেন না এমনটা আবার হয় নাকি। বৃহস্পতিবার সোয়াই মান সিংহ স্টেডিয়ামে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে সুইচ হিটে একটি দুর্দান্ত ছক্কা মারেন যশস্বী।
যশস্বী এই ম্যাচে ধ্বংসাত্মক মেজাজে ব্যাট করেন। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে রাজস্থান বিনা উইকেটে ৬৪ রান সংগ্রহ করে। যার মধ্যে যশস্বীর অবদান ছিল ২১ বলে ৪০ রান। জসওয়াল শেষমেশ ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২৬ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।যেভাবে ব্যাট করছিলেন, নিশ্চিত শতরান বাঁধা দেখাচ্ছিল তরুণ রাজস্থান ওপেনারের। যদিও তিন অঙ্কের রান থেকে বেশ কিছুটা দূরেই থেকে যেতে হয় যশস্বীকে। জসওয়াল ৮টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৪৩ বলে ৭৭ রান করে তুষার দেশপান্ডের বলে অজিঙ্কা রাহানের হাতে ধরা পড়েন। রাজস্থান রয়্যালস নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২০২ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে।