ইংল্যান্ডের ময়দানে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত পরাজিত হবার পরে এবার সেখানেই চলছে টেস্ট ক্রিকেটার অন্যতম কঠিন এক সিরিজ অ্যাশেজ। ব্যাট এবং বলের অনবদ্য লড়াই দেখতে পাওয়া যায় এই সিরিজে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেট থেকে ইতিমধ্যে অবসর নিয়েছেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার মঈন আলী তবে তাদের ক্যাপ্টেন বেন স্টোকস এর আবেদনে সাড়া দিয়ে ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার মইন আলি ২০২৩ অ্যাশেজ সিরিজের হাত ধরে দুই বছর পর অবসর ভেঙে টেস্ট ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করেছেন। আর অ্যাশেজের প্রথম ম্যাচেই তিনি একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন। তবে প্রথম ম্যাচেই এক বিতর্ক তৈরি করলেন তিনি।
প্রথমেই জানিয়ে রাখবো যে এই ম্যাচে আপাতদৃষ্টিতে 393 রান করে ৮ উইকেটে বিনিময়ে ডিক্লেয়ার করে দিয়েছিল ইংল্যান্ড এবং সবাইকে অবাক করে দিয়েছিল কিন্তু অসাধারণ ব্যাটিং করেছে অস্ট্রেলিয়া এবং তারা ইংল্যান্ডের এই রানের কাছে পৌঁছে ৩৮৬ রান করে অলআউট হয়ে যায় এবং বলতে গেলে ঘরের মাঠে বেশ কিছুটা চাপে রয়েছে ইংল্যান্ড। তবে বার্মিংহ্যামের এজবাস্টন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই আইসিসির আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য শাস্তির কবলে পড়েন মইন আলি। আইসিসির কোড অফ কন্ডাক্টের ২.২০ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে মইন আলির বিরুদ্ধে। এই ধারা অনুযায়ী, তাঁর বিরুদ্ধে বল বিকৃত করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
পাশাপাশি মইনকে এক ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি লেভেল ওয়ান অন্যায় করেছেন। আর গত ২৪ মাসে ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডারের এটাই প্রথম অন্যায়।যেহেতু এটা তার প্রথম অন্যায় সেই কারণে শাস্তি হিসেবে বর্তমানে ২৫ শতাংশ জরিমানা করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে মইনকে। আর ম্যাচ রেফারির কাছে মইন নিজের দোষও স্বীকার করে নিয়েছেন এবং শাস্তি মেনে নিয়েছেন।ঘটনাটি শনিবার টেস্টের দ্বিতীয় দিনে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ৮৯তম ওভারে ঘটে। বাউন্ডারি লাইনের পাশে মইনকে দেখা যায়, বল শুকনো করার জন্য তাতে কিছু একটা মাখাচ্ছেন তিনি। তবে তখন বোঝা যায়নি, বলে তিনি কী মাখাচ্ছিলেন বা কী কারণে মাখাচ্ছিলেন! টেলিভিশনের ক্যামেরায় সেটা বোঝা সম্ভবও ছিল না। যদিও বিষয়টি নজর এড়িয়া যায়নি ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের।
তিনি ম্যাচের পর ডেকে পাঠান মইনকে। ম্যাচ রেফারির সামনে অপরাধ স্বীকার করে নেন মইন। যে কারণে কোনও আনুষ্ঠানিক শুনানি হয়নি। মইনের দাবি ছিল, আবহাওয়া শুষ্ক হওয়ায় হাতে ড্রাই এজেন্ট লাগাচ্ছিলেন তিনি। ম্যাচ রেফারি মইনের যুক্তিতে সন্তুষ্ট হন যে, স্প্রে বা ক্রিমটি শুধুমাত্র তার হাত শুকনো করার জন্যই আঙুলে প্রয়োগ করা হয়েছিল। বলের জন্য সেই কৃত্রিম পদার্থ ব্যবহার করা হয়নি, যাতে বলের অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে। তবে, আইসিসির তরফে জানানো হয়েছে, আম্পায়ারকে না জানিয়ে এমন কিছু করা অপরাধ। এটি খেলার পরিস্থিতি পরিবর্তন, অখেলোয়াড়চিত বিষয় হিসেবেই ধরা হয়।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, খেলার শর্তগুলির ৪১.৩ ধারা লঙ্ঘিত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। বল কৃত্রিম উপায়ে পরিবর্তনের চেষ্টা করা ঘোরতর অন্যায়। এর পরবর্তীতে মইনের উপর নজর রাখা হবে। তিনি আবার এমন কিছু করলে কঠিনতম শাস্তি পেতে হবে।