স্বামীর শ্রাদ্ধের দিনেই এক সঙ্গে পাঁচ সন্তানকে হারিয়ে নির্বাক মা !

একজন মায়ের কাছে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং সব থেকে কাছের মানুষ হল তার স্বামী এবং সন্তান। কিন্তু যখন সেই স্বামী সন্তানকে হারাতে হয়, তাও আবার এতটা মর্মান্তিকভাবে তখন সেই মায়ের কাছে বেঁচে থাকাটা মৃত্যুর থেকেও অনেক বেশি যন্ত্রণা হয়। এরকমই একটি ঘটনা সামনে এসেছে। এক মা যেমন হারালেন তার পাঁচটি সন্তান, আবার পাঁচটি স্ত্রী হারালে তার স্বামী।শুধু ৫ সন্তান হারানোর কষ্ট নয়, অপর সন্তান রক্তিম শর্মা সুশীল ও কন্যা হীরা শর্মা সুশীল হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। কিভাবে ঘটল এমন ঘটনা? জানা যাচ্ছে…

প্রয়াত বাবার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে পিকআপ চাপায় ৫ সন্তান হারিয়ে নির্বাক মৃণালিনী সুশীল। প্রাণে বেঁচে যাওয়া আরেক সন্তান প্লাবন শর্মা সুশীলও মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। মর্মান্তিক হতাহতের ঘটনায় নির্বাক পুরো পরিবারের আত্মীয়স্বজন, পাড়া-পড়শি। সর্বত্র বিষাদের ছায়া। ৫ স্বামীর প্রয়াণে তাদের স্ত্রীরাও ভেঙে পড়েছেন। এমতাবস্থায় শোকাহত পরিবারকে দেখতে গেছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিশনাল এসপি) মো. রফিকুল ইসলাম। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এডিশনাল এসপি রফিকুল ইসলাম শোকাহত ওই পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, নিহত পাঁচ ভাইয়ের পরিবারের পাশে থাকবে কক্সবাজার জেলা পুলিশ।ছেন বিধবা।

```

এ সময় এডিশনাল এসপি রফিকুল ইসলাম কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামানের পক্ষ থেকে নিহত পাঁচ ভাইয়ের মা মানু বালা শীলের হাতে নগদ সহায়তা হিসেবে একলাখ টাকা তুলে দেন। এছাড়া জেলা পুলিশের মাধ্যমে পুলিশের সাবেক ডিআইজি শৈবাল দাশ ও সানন্দা জুয়েলার্সের মালিক রনজিত ঘোষের পক্ষ থেকেও মানু বালার হাতে আরো ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন এডিশনাল এসপি রফিকুল ইসলাম।

শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার সময় এডিশনাল এসপি রফিকুল ইসলাম বলেন, একটি পরিবারে একসঙ্গে পাঁচ ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় কক্সবাজার জেলা পুলিশ গভীরভাবে শোকাহত। যেহেতু সংগঠিত দুর্ঘটনার মূলহোতা পিকআপ চালক গ্রেফতার হয়েছে, আদালত তাকে রিমান্ডে দিয়েছে, আমরাও চাই তার যথাযথ শাস্তি হোক।

```

নিহতরা হলেন:- অনুপম শীল (৪৫), নিরুপম শীল (৩৮), দীপক শীল (৩৬), চম্পক শীল (৩৬) ও স্বরণ শীল (২৮)। একই ঘটনায় তাদের বোন হীরা শীল (২৭) ও অপর দুই ভাই রক্তিম শীল (৩৫) ও প্লাবন শীল (২৪) গুরুতর আহত হন। হতাহত সবার বাড়ি ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাটের হাসিনাপাড়া গ্রামে। তারা ওই গ্রামের মৃত সরোজ চন্দ্র শীলের সন্তান।