নীতীশ রানার এক মাস্টারস্ট্রোকে ম্যাচ জেতে KKR! নীতিশের ক্যাপ্টেন্সিকে স্যালুট জাহির খানের!

শেষ ওভারে জয়ের জন্য মাত্র ৯ রান দরকার ছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। ব্যাট করছিলেন আব্দুল সামাদ ও ভুবনেশ্বর কুমার। সামাদ ততক্ষণে ১৬টি বল খেলে ২০ রানও সংগ্রহ করে নিয়েছেন। সুতরাং ক্রিজে সেট হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ভুবনেশ্বরও ১টি বাউন্ডারি মেরেছেন আগের ওভারে। সুতরাং, এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচের পাল্লা ঝুঁকে ছিল হায়দরাবাদের দিকে।শেষ ওভারে বল করার জন্য কেকেআরের হাতে বিকল্প ছিল শার্দুল ঠাকুর, আন্দ্রে রাসেল, অনুকূল রায়, সুনীল নারিন ও বরুণ চক্রবর্তীর। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, নারিন ও বরুণ ছাড়া ম্যাচে ততক্ষণে উইকেট পেয়েছেন বাকিরা। এরকম পরিস্থিতিতে কাকে বল দেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে সেটা ছিল প্রশ্ন।

এমন অবস্থায় নাইট দলনায়ক নীতীশ রানা প্রথমে বল তুলে দেন শার্দুলের হাতে, যিনি ৩ ওভারে ২৩ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন। ঠিক তার পরেই রানা সিদ্ধান্ত বদল করেন। শার্দুলের হাত থেকে বল নিয়ে বরুণকে আক্রমণে নিয়ে আসেন নাইট দলনায়ক।বরুণ নিজের প্রথম ৩ ওভারে ১৮ রান খরচ করেন। তবে কোনও উইকেট তুলতে পারেননি। হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল।মাঠ ভিজে এবং সঙ্গত কারণে বলও ভিজে ছিল। এমন পরিস্থিতি স্পিনারদের জন্য মোটেও অনুকূল নয়। কেননা ভিজে বল গ্রিপ করাই কঠিন হয় স্পিনারদের পক্ষে। বরং পেসারদের জন্য পরিস্থিতি এক্কেবারে যথার্থ ছিল।

স্বাভাবিকভাবেই নীতীশ রানা পেসারের বদলে স্পিনারকে শেষ ওভারে বল করতে ডাকায় কমেন্ট্রি বক্সেও আলোচনা শুরু হয়ে যায়। নীতীশের এমন ভুলের জন্য কলকাতাকে ম্যাচ হারতে হতে পারে বলে গুঞ্জন শোনা যায়। যদিও বরুণ শেষ ওভারে মাত্র ৩ রান খরচ করে ১টি উইকেট তুলে নেন এবং কলকাতার জয় নিশ্চিত করেন।নীতীশ রানা যে ভুল সিদ্ধান্ত নেননি, বোঝা যায় ম্যাচের ফলাফল দেখেই। অর্থাৎ রানার এমন ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্তই কলকাতাকে ম্যাচ জেতায়। ম্যাচের শেষে কলকাতা অধিনায়ক নীতিশ রানাকে তার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন করা হয় এবং তিনি বলেন…

ম্যচের শেষে নিজের সেই ডাকাবুকো সিদ্ধান্ত নিয়ে রানা বলেন, ‘আমি নিজেও একটু সংশয়ে ছিলাম যে, পেসারকে বল করতে ডাকব নাকি স্পিনারকে। প্রথমে ঠিক করি শার্দুলকে বল করাব। আসলে ওর সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েই শার্দুলের হাতে বল দিয়েছিলাম। পরে আমি আমার সেরা বোলারের উপরেই আস্থা রাখি এবং সে আমাকে ২ পয়েন্ট এনে দেয়।’

রানা এক্ষেত্রে সেরা বোলার তকমাটার পিছনেও যুক্তিও পেশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি আগে থেকে কাউকে ভালো-মন্দ বেছে নিই না। ম্যাচের দিন যে ভালো বল করে, তাকেই কঠিন পরিস্থিতিতে বল করতে দিই। কেননা সেদিন সেই আমার সেরা বোলার।’