‘চান্দু স্যার বললো..’ধোনির বুদ্ধিকেও টেক্কা! KKR এর ব্যাটিংয়ের সময় কিভাবে ব্যাটিং পিচ হলো!

চেন্নাইকে চেন্নাইএর মাঠে ১১ বছর পর পরাজিত করেছে কেকেআর। তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কলকাতার বোলারদের পারফরম্যান্স। বরুণ চক্রবর্তী ও সুনীল নারিনের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদে চিপকে চেন্নাই সুপার কিংসকে দেড়শোর কমেই বেঁধে রাখে কেকেআর। পরে ব্যাট হাতে নীতীশ রানা ও রিঙ্কু সিংয়ের যুগলবন্দিতে দাপুটে জয় তুলে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। চেন্নাই বনাম কলকাতা ম্যাচের গতিপ্রকৃতি সংক্ষেপে বর্ণনা করতে গেলে এতটুকু বলাই যথেষ্ট। তবে চিপকে কেকেআরের জয়ের নেপথ্যের নায়ক যে অন্য কেউ, ম্যাচের শেষে হদিশ দেন নীতীশ রানা।

পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নাইট অধিনায়ক কৃতজ্ঞতা জানা কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতকে। কোচ কীভাবে কলকাতাকে জয়ের মাস্টার প্ল্যান ছকে দেন, সেটা খোলাখুলিভাবে সামনে আনেন রানা।কেকেআর টস হেরে রান তাড়া করতে বাধ্য হয়। প্রথম ইনিংসে কেকেআরের স্পিনাররা ছড়ি ঘোরান চেন্নাইয়ের ব্যাটসম্যানদের উপরে। স্বাভাবিকভাবেই নীতীশ রানার মনে হয় যে, দ্বিতীয় ইনিংসে বল আরও বেশি ঘুরতে পারে।নাইট কোচ এক্ষেত্রে নীতীশকে ইনিংসের বিরতিতে ভারি রোলার নেওয়ার পরামর্শ দেন। যদিও ক্যাপ্টেন হালকা রোলারের পক্ষপাতী ছিলেন। কেননা তাঁর ভয় ছিল ভারি রোলারে পিচ আরও ভেঙে যেতে পারে। শেষমেশ কোচের কথা মতো কাজ করেই সাফল্য পায় কেকেআর।

```

রবিবার চিপকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা তুলনায় সহজ হয়ে দাঁড়ায়, সেটা বুঝতে কারও বিশেষ অসুবিধা হয়নি। ম্যাচের শেষে নীতীশ রানার কাছে এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে আমি চন্দু স্যারকে (চন্দ্রকান্ত) কৃতিত্ব দেব। কেননা আমি ভারি রোলার নেওয়ার পক্ষপাতী ছিলাম না। উনি বলেন ভারি রোলার নাও। আমার মনে হয়নি এটা ভালো হবে। বরং আমার ভয় হয়েছিল যে, যদি ভারি রোলারে পিচ বেশি ভেঙে যায় এবং বল বেশি ঘুরতে শুরু করে, তাহলে ১৪০ রান তাড়া করাও কঠিন হয়ে যাবে। তবে সেটাই (হেভি রোলার) শেষমেশ সাহায্য করে এবং সেই কারণেই দ্বিতীয় ইনিংসে বল বেশি ঘোরেনি।’

সুতরাং, এই নিরিখে বলা যায় যে, চিপকে ধোনিদের বিরুদ্ধে কলকাতার জয়ের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত।উল্লেখ্য, রবিবার চিপকে শুরুতে ব্যাট করে চেন্নাই সুপার কিংস নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৪ রান সংগ্রহ করে। পালটা ব্যাট করতে নেমে কলকাতা নাইট রাইডার্স ১৮.৩ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৭ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে। ৯ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জেতে কেকেআর।

```

অর্থাৎ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত কতটা বুদ্ধিমান সেটা আরো একবার প্রমাণ পেলো ক্রিকেট মহল, ভারতীয় ক্রিকেট মহলে তার যথেষ্ট সম্মান রয়েছে এবং তিনি সেটা আরো একবার প্রমাণ করলেন যে সঠিক কারণেই তাকে অন্যতম সেরা কোচদের মধ্যে ধরা হয়।