প্রথম ওভারে নিজে ম্যাচ বরবাদ করা সত্বেও যুব ক্রিকেটারকে দায়ী করে বি’স্ফোরক নীতিশ রানা!

একটা সময় ছিল যখন ঘরের মাটিতে কোন ম্যাচ হারতো না কলকাতা নাইট রাইডার্স। ইডেন গার্ডেন্স তাদের কাছে একটা দুর্গের মত ছিল, কিন্তু এই বছরে শুধু কেকেআর নয় সমস্ত দল নিজেদের ঘরের মাটিতে একের পর এক ম্যাচ হেরেছে সিএসকে মুম্বাই আরসিবি কেউ বাদ নেই। তবে কলকাতার নাইট রাইডার্স এর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচ যেখানে তাদেরকে জয় লাভ করতেই হতো সেখানে পরাজিত হতে হয়েছে তাদের। রাজস্থান রয়্যালসের কাছে নয়। হারতে হল যশস্বী জয়সওয়ালের কাছেই। তবে পুরো ব্যাপারটি নিয়ে কি বলছেন কলকাতা নাইট রাইডার্স এর অধিনায়ক নীতিশ রানা?

বৃহস্পতিবার ম্যাচের পর মেনে নিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্স অধিনায়ক নীতীশ রানা। যদিও হারের অন্যতম প্রধান কারণ হিসাবে দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করেছেন নীতীশ।খেলার পরই যশস্বীর দাপুটে ইনিংস নিয়ে প্রশ্ন করা হয় নীতীশকে। তিনি বলেন, ‘‘দারুণ ব্যাট করেছে যশস্বী। প্রশংসা তো করতেই হবে। করা উচিতও। একেক দিন আসে যে দিন আপনি যা করতে চাইবেন, সব কিছুই ঠিকঠাক হবে। বৃহস্পতিবার যশস্বীর তেমনই একটা দিন ছিল। তবু বলব অসাধারণ ইনিংস।’’

```

নীতীশ মেনে নিয়েছেন প্রত্যাশা মতো ব্যাট করতে পারেননি তাঁরা। কেকেআর অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘এই উইকেটে ১৮০ রান তোলা উচিত ছিল আমাদের। ভাল ব্যাট করতে পারিনি আমরা। প্রচুর ভুল করেছি আমরা। ২ পয়েন্ট হারানোর সেটাও একটা বড় কারণ।’’রাজস্থানের বিরুদ্ধে বোলিং আক্রমণে চমক দিয়েছিলেন কলকাতার অধিনায়ক। নিজেই প্রথম ওভার করতে যান। যদিও সেই ওভারে যশস্বী তাঁকে দু’টি ছয় এবং তিনটি চার-সহ মোট ২৬ রান তোলেন। সেই সিদ্ধান্ত কি ভুল ছিল?

নীতীশ বলেছেন, ‘‘একটু অন্যরকম করতে চেয়েছিলাম। প্রথম ওভারে পার্ট টাইম বোলার ব্যবহার করে প্রতিপক্ষের পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে চেয়েছিলাম। ছন্দে থাকা যশস্বীকে আউট করাই ছিল লক্ষ্য। তাই নিজেই বল করতে যাই। কিন্তু সেই পরিকল্পনা কাজে আসেনি।’’বৃহস্পতিবার ঘরের মাঠে ব্যাটিং, বোলিং কোনও বিভাগেই নজর কাড়তে পারলেন না কলকাতার ক্রিকেটাররা। ফিল্ডিংও হল অত্যন্ত সাধারণ মানের। রাজস্থানের কাছে হেরে আইপিএলের প্লেঅফে যাওয়ার রাস্তা কঠিন করে ফেলল নাইট রাইডার্স।

```

ভেঙ্কটেশ আইয়ার অসংখ্য বল খেলে পুরো দলের উপর ভয়ানক চাপ সৃষ্টি করে যার দৌলতে নীতিস রিঙ্কু রাসেল কেউই পারফর্ম করতে পারেনি। রীতিমতো একটা ব্যাটিং পিচের উপর ভেঙ্কটের আয়ার ১০০ স্ট্রাইক রেটও বজায় রাখতে পারেননি। যদিও শেষের দিকে দু-একটা চার ছয় মেরেছিলেন কিন্তু তার মধ্যেই তার এত বল খেলার জন্য বেশ কিছু ব্যাটসম্যান আউট হয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরে গেছে।।