যশস্বী জসওয়ালের ব্যাটিং তাণ্ডব দেখেই বড় মন্তব্য করে দিলেন বিরাট কোহলি !

কলকাতা নাইট রাইডার্স কে ধ্বংস করে রীতিমতো ইডেন গার্ডেনের ব্যাট হাতে তান্ডব চালিয়েছে রাজস্থান রয়েলসের ব্যাটসম্যান যশস্বী জসওয়াল। কলকাতা নাইট রাইডার্স এর ক্যাপ্টেন নীতিশ রানাকে প্রথম ওভারে ২৬ রান নেওয়ার পরে মাত্র ১৩ বলে অর্ধ শতরান সম্পন্ন করেন তিনি, খুব অল্পের জন্য রক্ষা পায় যুবরাজ সিংয়ের বারো বলে হাফ সেঞ্চুরির বিশ্বকাপের সেই রেকর্ড। তবে রাজস্থানের এই যুবক ক্রিকেটারের দুর্দান্ত ইনিংস দেখে নিজেদেরকে আটকে রাখতে পারছেন না প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে বর্তমান ক্রিকেটাররা যার অন্যতম উদাহরণ বিরাট কোহলি।

বিরাট কোহলি বরাবর যুব ক্রিকেটারদের প্রশংসা করে আসছেন এমনটা একদল ক্রিকেট ভক্ত দাবি করেন। যদিও যতদিন তিনি ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন সঞ্জু স্যামসন এর মত যুব ট্যালেন্টেড দলে ঢুকতে পর্যন্ত দেননি, এমনকি সূর্য কুমার যাদবকেও সুযোগ পেতে অনেক অপেক্ষা করতে হয়েছে, এখন যখন তার হাতে আর কোনো ক্ষমতা নেই তখন যশস্বী জসওয়ালের চরম প্রশংসায় নেমেছেন বিরাট কোহলি। কলকাতার বিরুদ্ধে তার 98 রানের ইনিংস শেষ হওয়ার আগেই সোশ্যাল মিডিয়াতে বড় মন্তব্য করে দিলেন বিরাট কোহলি।

```

রাজস্থান দলের হয়ে খেলা মুম্বাইয়ের এই ক্রিকেটারের ব্যাটিং তাণ্ডবে মুগ্ধ হয়ে বিরাট কোহলি লেখেন সত্যিই একটা লম্বা সময় ধরে এরকম কোন ইনিংস দেখিনি এবং বলতেই হচ্ছে সত্যিই যে কি দুর্দান্ত ট্যালেন্টেড ক্রিকেটার। রাজস্থানের হয়ে ৪ উইকেট নেওয়া চহাল বিরতিতে বলছিলেন, তাঁদের প্রথম লক্ষ্য ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারানো। এই ম্যাচ তাঁদের কাছে কোয়ার্টার ফাইনাল। টানা তিন ম্যাচে হারের জ্বালার শোধ কেকেআরের বিরুদ্ধে পুষিয়ে নিল রাজস্থান। বোলিং, ফিল্ডিং, ব্যাটিং— তিন ক্ষেত্রেই ঘরের মাঠে কলকাতাকে দাঁড়াতে দিল না সঞ্জু স্যামসনের দল। ম্যাচ জিতে পয়েন্ট তালিকায় এক লাফে তিন নম্বরে উঠে এল রাজস্থান।

টসে জিতে কলকাতাকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান সঞ্জু। শুরুটা ভাল হয়নি কেকেআরের। আরও এক বার ব্যর্থ দলের ওপেনিং জুটি। ট্রেন্ট বোল্টের বলে জেসন রয় ও রহমানুল্লা গুরবাজ় অল্প রানে আউট হলেন। তবে দু’টে ক্ষেত্রেই কৃতিত্ব দলের ফিল্ডারদের। বাউন্ডারিতে জেসনের দুরন্ত ক্যাচ ধরলেন শিমরন হেটমায়ার। গুরবাজ়ের ক্যাচ ধরলেন সন্দীপ শর্মা। দুই ওপেনার আউট হওয়ার পরে ইনিংস ধরার চেষ্টা করেন নীতীশ রানা ও বেঙ্কটেশ আয়ার। কিন্তু রাজস্থানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে হাত খুলে খেলতে পারছিল না কেকেআর। বেঙ্কটেশ বড় ইনিংস খেললেও নীতীশ ২২ রান করে আউট হয়ে যান। রাজস্থানের হয়ে মাঝের ওভারে উইকেট নিলেন চহাল। নীতীশকে আউট করার সঙ্গে আইপিএলে সর্বাধিক উইকেটের মালিক হলেন তিনি। ভেঙে ফেললেন ডোয়েন ব্রাভোর নজির।আন্দ্রে রাসেল আগের ম্যাচে ঝড় তুললেও এই ম্যাচে ব্যর্থ। তার মাঝেই নিজের অর্ধশতরান করেন বেঙ্কটেশ। তার পরেই অবশ্য ৫৭ রানের মাথায় চহালের বলে ফিরলেন তিনি।

```

কলকাতার নতুন নায়ক রিঙ্কু এই ম্যাচে রান পেলেন না। তিনিও চহালের শিকার। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৯ রানে শেষ হল কেকেআরের ইনিংস।কেকেআরের বিরুদ্ধে রাজস্থানের স্পিনারদের দেখে মনে হচ্ছিল, কলকাতার স্পিনাররাও হয়তো ভাল বল করবেন। প্রথম ওভারে বল করতে যান নীতীশ। আর প্রথম ওভারেই খেলার ফল নিশ্চিত করে দিলেন যশস্বী। প্রথম ওভারে তিনি ২৬ রান করলেন। সেই শুরু। তার পরে আর থামানো গেল না তাঁকে। তিন ওভারের মধ্যেই নিজের অর্ধশতরান করলেন যশস্বী। ১৩ বলে আইপিএলের ইতিহাসের দ্রুততম অর্ধশতরান করলেন এই বাঁ হাতি ব্যাটার। লোকেস রাহুল ও প্যাট কামিন্সের নজির ভেঙে দিলেন তিনি।বাটলার শূন্য রানে রান আউট হলেও রাজস্থানের ব্যাটিংয়ে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। কারণ, যশস্বীর বিধ্বংসী ব্যাটিং। কোনও বোলারকে রেয়াত করছিলেন না তিনি। দেখে মনে হচ্ছিল, ক্রিকেট বলকে ফুটবলের মতো দেখছেন যশস্বী। পাওয়ার প্লে-তেই ৭৮ রান তুলে ফেলে রাজস্থান।