“এরকম করে ম্যাচ জেতা যায় না” ম্যাচ হেরে যুব ক্রিকেটারকে দায়ী করে বি’স্ফোরক নীতিশ রানা!

গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে হেরে গিয়ে সুয়াশ শর্মাকে তুলোধোনা করলেন নীতীশ রানা। সরাসরি সুয়াশের নাম না করলেও রহস্য স্পিনারের ফিল্ডিংয়ে যে একেবারেই সন্তুষ্ট নন, তা বুঝিয়ে দিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) অধিনায়ক। ম্যাচের পর রীতিমতো রেগে গিয়ে রানা বলেন, ‘২০-২৫ রান কম করেছিলাম আমরা। আর আমরা এরকম বড় দলের বিরুদ্ধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে যদি এরকম ক্যাচ ফেলে দিই, তাতে আমার মনে হয় না যে এর থেকে আলাদা থেকে কোনও ভালো ফল হবে।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘এরকম বড় গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে যদি ফিল্ডিং ভালো না করি, তাহলে আমরা হারবই।’

ইডেন গার্ডেন্সে ১৫.১ ওভারে ডেভিড মিলারের সহজ ক্যাচ ফস্কে দেন সুয়াশ। যে ক্যাচটা যদি ধরতে পারতেন, তাহলে ম্যাচের মোড় ঘুরে যেতে পারত। কিন্তু সেটা না হওয়ায় ১৩ বল বাকি থাকতেই কেকেআরকে সাত উইকেটে হারিয়ে গুজরাট। সেইসঙ্গে নয় ম্যাচ ছয় পয়েন্ট নিয়ে আইপিএলের পয়েন্ট তালিকায় একেবারে হামাগুড়ি দিচ্ছে কেকেআর।

```

শনিবার কেকেআর প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৭৯ রান তোলার পর একটা সময় দৌড়াচ্ছিল গুজরাট। কিন্তু হার্দিক পান্ডিয়া এবং শুভমন গিল পরপর আউট হয়ে যাওয়ার পরই প্রবলভাবে ম্যাচে ফিরে আসে কেকেআর। মিলার এবং বিজয় শংকর পুরোপুরি ছন্দে পাচ্ছিলেন না। তারইমধ্যে সুয়াশের ১৫ তম ওভারে হাত খোলেন তাঁরা। ওই ওভারে ১৮ রান ওঠায় শেষ পাঁচ ওভারে জয়ের জন্য ৫১ রান দরকার ছিল গুজরাটের।

সেই অবস্থায় ১৬ তম ওভার বল করতে আসেন আন্দ্রে রাসেল। উইকেট তোলার জন্যই তাঁকে আক্রমণে আনেন রানা। প্রথম বলেই উইকেটে পেয়ে যাচ্ছিলেন রাসেল। অফস্টাম্পের সামান্য বাইরে ব্যাক অফ দ্য লেংথ বল করেন। পিচে যেন কিছুটা থমকে যায়। মিলার বড় শট মারতে যান। কিন্তু ব্যাটের কাণায় লেগে বল শূন্যে উঠে যায়।

```

ক্যাচটা ফেলে দেন সুয়াশ (তবে উইকেটকিপার এন জগদীশান কেন সেই ধরতে আসেননি, সেই প্রশ্নও উঠবে)। তারপর বেধড়ক মারতে থাকে গুজরাট। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই সময় যদি সুয়াশ ক্যাচটা নিতে পারতেন, ম্যাচটাই ঘুরে যেতে পারত। প্রবল চাপে পড়ে যেত গুজরাট।