“মোটেও খুশি নই,ওদের জন্য হারলাম..!”ম্যাচ শেষে ২ জনকে দায়ী করে বি’স্ফোরক মন্তব্য করলেন রাসেল!

বৃষ্টিস্নাত ইডেনে এদিন শুরুটা করেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। আফগান এই ব্যাটারের ব্যাটে ভর করে বড় রানের দিকে এগিয়ে যায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। গত ম্যাচে জয়ের মুখ দেখা দল এই ম্যাচেও সেই ধারা বজায় রাখতে মরিয়া। সেই টার্গেট নিয়েই এদিন খেলতে নামে কেকেআর। এই মরশুমের প্রথম পর্বেই গুজরাট টাইটানসকে হারিয়ে দিয়ে এসেছে কেকেআর। ঘরের মাটিতে তাদের বিরুদ্ধে খেলার আগে অবশ্যই কনফিডেন্স ছিল কিন্তু তার সত্বেও কেকেআরকে এই ম্যাচে পরাজিত হতে হয়েছে যাদের জন্য, তাদেরকে নিয়ে নিজের ক্ষুব্ধ মনোভাব প্রকাশ করলেন রাসেল।

এদিন টসে জিতে প্রথমে কেকেআরকে ব্যাট করতে পাঠান গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। বৃষ্টি নামলে নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুক্ষণ পর খেলা শুরু হয়। শুরু থেকেই দাপুটে ব্যাটিং করতে থাকেন গুরবাজ। তাঁর ব্যাটে ভর করেই বড় রানের দিকে এগিয়ে যায় চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের দল। ৩৯ বলে ৮১ রানের ইনিংস খেলেন গুরবাজ। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫টি বাউন্ডারি এবং ৭টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে।গুরবাজ শুরু করলেও, এদিন ইডেনে রাসেল ঝড় দেখা যায়। গত কয়েক ম্যাচ ধরে যা একেবারেই দেখা যাচ্ছিল না। সমর্থকরাও হতাশ হয়েছেন রাসেলকে পুরনো ফর্মে দেখতে না পেয়ে।এবার নিজেদের হোম ম্যাচে একেরপর এক বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠালেন ক্যারিবিয়ান তারকা। কিন্তু রাসেলের ঝড়ো ইনিংস খেলার আগেই কলকাতা নাইট রাইডার্স এই ম্যাচে পরাজিত হয়।

```

নিজের ৩৫তম জন্মদিনে মাত্র ১৯ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেললেন তিনি। ক্যারিবিয়ান তারকার এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ২টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। একেবারে শেষের দিকে যখন পরপর উইকেট হারাচ্ছে কেকেআর। ঠিক সেই সময় দলকে গুরুত্বপূর্ণ ৩৪ রান এনে দেন তিনি। ক্যারিবিয়ান এই অলরাউন্ডারের ব্যাটে ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান তোলে কেকেআর। তবে ক্যারিবিয়ান তারকা মনে করেন, শুরুতে তারা যেভাবে ব্যাট করেছিলেন, সেই দিক থেকে দেখতে গেলে আরও ২০ রান বেশি হতেই পারত। আর কলকাতা নাইট রাইডার্স এর এই রান না হওয়ার কারণ হলো মিডিল অর্ডার। মিডিল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা এত ধীরে সুস্থে খেলেছেন এবং এত বল নষ্ট করেছেন, আরো একজন ছিলেন যিনি অসংখ্য বল নষ্ট করে কলকাতা কে চাপে ফেলেছেন তিনি হলেন জগদীশান, যেখানে দুর্দান্ত ইনিংস খেলা গুড়বাজকে তিনি ব্যাট করার সুযোগ পর্যন্ত দিচ্ছিলেন না, শুধুমাত্র নিজে ডট বল খেলেই যাচ্ছিলেন। সব মিলিয়ে, বল নষ্ট করা এবং ব্যাটিং লাইনআপকে চাপে ফেলা এই সমস্ত ক্রিকেটারদের আজকের পারফরমেন্স নিয়ে চরম বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাসেল।

কেকেআরের ব্যাটিং হয়ে যাওয়ার পর রাসেল বলেন, ‘আমি একেবারেই খুশি নই এই রানে। এই পিচ দেখে আমাদের মনে হয়েছে, যদি এই ম্যাচ জিততে হয় তাহলে ১৯০-২০০ রান করা উচিত। ব্যাটারদের জন্য খুব ভালো পিচ। কিন্তু আমরা তা করতে পারিনি। আমাদের ২০ রান কম হয়েছে। এর জন্য আমরাই দায়ী। আজ অর্থাৎ ২৯ এপ্রিল ৩৫ তম জন্মদিন রাসেলের। আবার কেকেআরের হয়ে শততম ম্যাচও খেলতে নেমেছেন আন্দ্রে। প্রথমেই তাঁকে সঞ্চালক জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।

```

উত্তরে রাসেল বলেন, ‘অনেক ধন্যবাদ আমাকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য। যেকোনও দলের হয়ে শততম ম্যাচ খেলা মুখের কথা হয়। আমি ধন্যবাদ জানাই কেকেআর ফ্র্যাঞ্চাইজিকে, আমাকে এত বছর ধরে দলে রাখার জন্য। পাশাপাশি আমার ওপর ভরসা রাখার জন্য। এই অনুভূতি আমি বলে বোঝাতে পারব না। আমি কলকাতার থেকে যা ভালোবাসা পেয়েছি তা সত্যি কোনও তুলনা হবে না। কেকেআর আমার পরিবারের মতো হয়ে গিয়েছে।’