তাঁর ঘূর্ণিতে ব্যাটাররা চালিয়ে খেলতে সাহস পান না। বলা ভালো বল হাতে বড় বড় ব্যাটারদের ল্যাজে গোবরে করে দেন তিনি। তবে সেই ভয়ঙ্কর স্পিনারকেই কিনা ল্যাজে গোবরে করে দিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটাররা। এদিন ইডেন গার্ডেন্সে মুখোমুখি হয় কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং গুজরাট টাইটানস।প্রথমে ব্যাট করে কেকেআর ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান তোলে। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ৩৯ বলে ৮১ রান করেন তিনি। তাঁর এই ইনিংসটি সাজানো ৫টি বাউন্ডারি এবং ৭টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে।
শুধু রহমানউল্লাহ একাই নন, একই সঙ্গে বড় শট খেলতে থাকেন আন্দ্রে রাসেলও। মাত্র ১৯ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন। ক্যারিবিয়ান তারকা তাঁর ইনিংসটি সাজান ২টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে।এই দুই ব্যাটারই আফগানিস্তানের তারকা বোলার রশিদ খানকে নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করেন। তাঁকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়েননি নাইট ব্যাটাররা। ৪ ওভার বল করে ৫৪ রান দিলেন রশিদ। এদিন অবশ্য তিনি কোনও উইকেট পাননি।আইপিএলের ইতিহাসে তাঁর কেরিয়ারের বল হাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান দিলেন রশিদ। আর মাত্র ২ রান দিয়ে ফেললেই সেই ইনিংসকেও টপকে দিতে পারতেন তিনি। তা অবশ্য এই ম্যাচে ঘটেনি।
এর আগে ২০১৮ সালে ১৯ এপ্রিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ৪ ওভার বল করে ৫৫ রান দেন রশিদ। তবে সেই ম্যাচে অবশ্য ১টি উইকেট পেয়েছিলেন আফগান স্পিনার। কিন্তু এদিন তিনি কোনও উইকেট পাননি। ২০১৮ সালের সেই ম্যাচে রশিদ সবচেয়ে বেশি রান খরচ করেছেন। ঠিক তারপরেই রয়েছে আজকের অর্থাৎ ২৯ এপ্রিলের কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ।
প্রতিদিন যে সবার একই রকম যায় না তা ভালো করেই জানেন রশিদ। ফলে এই নিয়ে খুব একটা মাথায় ঘামাচ্ছেন না তিনি। কেকেআরের বিরুদ্ধে এই ম্য়াচের আগে পর্যন্ত প্রতি ম্যাচেই উইকেট পেয়েছেন আফগান স্পিনার। এখনও পর্যন্ত ৭ ম্যাচে ১৪টি উইকেট নিয়েছেন রশিদ। এই মুহূর্তে ফর্মেই রয়েছেন তিনি। তবে কেকেআরের বিরুদ্ধে তিনি তেমন কিছু করে দেখাতে পারলেন না। যা বল করলেন তাই চালিয়ে খেললেন রাসেলরা।
পাশাপাশি গুজরাটের বিরুদ্ধে এই পরাজয়ের ফলে কলকাতা নাইট রাইডার্স এর প্লে-অফে যাওয়ার স্বপ্ন যে বেশ কিছুটা ভেঙে গেল এই বিষয়টি পরিষ্কার।