“সেঞ্চুরি বাদ দিন”,ক্যাপ্টেন নীতিশ ও রাসেলকে নিয়ে বি’স্ফোরক মন্তব্য করে দিলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার!

মুম্বইয়ে খেলতে নেমে চোট পেয়েছিলেন বেঙ্কটেশ আয়ার। কিন্তু সেই চোট নিয়েও ১০৪ রানের ইনিংস খেললেন তিনি। তবুও দল জিততে পারল না। ব্যাট হাতে বেঙ্কটেশকে সাহায্য করার মতো কেউ ছিলেন না কেকেআর দলে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেটে হারতে হল। তাই শতরান করেও হতাশ বেঙ্কটেশ।রবিবার ওয়াংখেড়েতে প্রথমে ব্যাট করে কেকেআর করে ১৮৫ রান। এর মধ্যে বেঙ্কটেশ ১০৪ রান করলেও বাকি ব্যাটাররা রান করতে পারেননি। দুই ওপেনার ১০ রানের গণ্ডি পার করতে পারেননি।

নারায়ণ জগদীশন তো কোনও রানই পাননি। রহমানুল্লা গুরবাজ় করেন ৮ রান। অধিনায়ক নীতীশ রানা মাত্র ৫ রান করেন। শার্দূল ঠাকুর করেন ১৩ রান। ধারাবাহিক ভাবে রান করা রিঙ্কুও এই ম্যাচে রান পাননি। তিনি মাত্র ১৮ রান করেন।মুম্বইয়ের ব্যাটাররা প্রায় সকলেই রান পেয়েছেন। শুরু থেকেই রান তুলতে থাকেন রোহিত শর্মারা। বেঙ্কটেশ বলেন, “মুম্বই ব্যাট করার সময় মনে হল পিচটা যেন পাল্টে গিয়েছে। আমাদের ব্যাটাররা ব্যর্থ ওদের তুলনায়। সেই কারণেই হারতে হল আমাদের।”

আইপিএলে ভাল খেলার জন্য ভারতীয় দলেও সুযোগ পেয়েছিলেন বেঙ্কটেশ। তিনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন এর আগে চোট সারিয়ে ফিরে আসার জন্য তাঁকে সাহায্য করায়। রবিবার তাঁর হাঁটুতে বল লাগে। চোট কতটা গুরুতর সেটা স্ক্যান করার পর জানা যাবে বলে জানিয়েছেন বেঙ্কটেশ।

একদিকে যেমন কেকেআর এর পেশ বোলিং এটাক একদমই খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে, আবার তার পাশাপাশি স্পিন সহায়ক পিচ সেভাবে পাওয়া যাচ্ছে না যার ফলে কলকাতার স্পিনাররা একটু স্ট্রাগল করছে। এরকম পরিস্থিতিতে কলকাতার পক্ষে ১৮৫ রানের টার্গেটকে ডিফেন্ড করা তাও আবার এমন একটা পিচে যেটাতে ২২০ রান করা যেত, সেটা একটা কঠিন কাজ।

সুতরাং কলকাতার নিচের দিকের ব্যাটসম্যানরা একদমই যেভাবে রান করতে পারেননি বিশেষ করে ভেঙ্কটেশ আইআর ছাড়া সেভাবে নজর কারা পারফরম্যান্স কেউই করতে পারেনি। যার ফলস্বরূপ কলকাতাকে এই ম্যাচ হারতে হয়েছে কারণ রীতিমতো ২২০ রান কলকাতা খুব সহজেই করতে পারত যেভাবে ম্যাচটি এগোচ্ছিল। আর পিচের পরিস্থিতিও কিন্তু ২২০ রান করার মতোই ছিল তা সত্ত্বেও নিচের দিকের ব্যাটসম্যানদের গাফিলতি এবং ওপেনারদের ব্যর্থতা এই দুই মিলিয়ে কলকাতা 185 টার্গেট দেয় মুম্বাইকে।