কলকাতার কাছে একটা বড় হারের পর লখনৌয়ের মুখোমুখি হয়েছিল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর কিন্তু সেখানেও ম্যাচটা নিজেদের পছন্দের মত ঠিক হলো না। রীতিমত বলতে গেলে জেতা ম্যাচ হেরে আরো একটা লজ্জার নজির গড়লো রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। কোথাও না কোথাও আরো একবার রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর প্রমাণ করলো যে তাদের অ্যাকাউন্টে যত রান থাকুক না কেন ম্যাচ তারা জিতবে না। কলকাতার বিরুদ্ধে ম্যাচটির মতোই লখনউয়ের বিরুদ্ধে একটা সময় ম্যাচে গিয়ে থাকলেও পরাজিত হতে হল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে।
প্রথমে ব্যাট করতে আসা রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোর ২১২ রানের একটা বিশাল বড় টার্গেটে লখনৌ এর সামনে দিয়ে দেয়। এই বিশাল রান তারা করা যে রীতিমত কঠিন ব্যাপার হতে চলেছে সেটা আগে থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। বিরাট কোহলি ৬১ করেন ডুপ্লেসি ৭৯ করেন এবং ম্যাক্সওয়েল মাত্র ২৯ বলে ৫৯ করেন যার দৌলতে এই বিরাট টার্গেট সেট করতে পারে রয়েল চ্যালেঞ্জ বেঙ্গালোর। ব্যাটসম্যানদের মতো বল হাতে ব্যাঙ্গালোরের বোলাররাও দুর্দান্ত শুরু করে।
ব্যাটিং এর শুরুতেই একের পর এক উইকেট হারিয়ে রীতিমতো চাপের মধ্যে পড়ে যায় লখনৌ সুপার জায়ান্ট। তাদের প্রথম চারটি ব্যাটসম্যান কোন রান করতেই পারেনি, অধিনায়ক রাহুল মাত্র ১৮ রান করেন। কিন্তু এরপরে ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠে মার্কাস স্টয়নিস মাত্র ৩০ বলে ৬৫ রান করে। তবে ম্যাচের রং রুপ পুরোপুরি পাল্টে দেয় নিকোলাস পুরাণ মাত্র ১৯ বলে ৬২ রান করে যার মধ্যে ১৫ বলে ৫০ রান করেছিলেন তিনি।
অর্থাৎ আরসিবির রীতিমত জেতা একটি ম্যাচ যেখানে বিপক্ষ দলের প্রথম চার ব্যাটসম্যান কে তারা আউট করে দিয়েছেন সেখানে গিয়ে ও রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ম্যাচে পরাজিত হয়। যা আরো একবার প্রমাণিত করে যে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের টিম যেমন হোক না কেন, স্কোর বোর্ডে 200 রান তুলে দেওয়া সত্ত্বেও তারা ম্যাচ জিতবে না। পাশাপাশি ব্যাঙ্গালোরের আয়ুশবাধুনি একটা দুর্দান্ত ৩০ রানের ইনিংস খেলেন খুব গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে যা লখনৌ কে এই ম্যাচে জয় লাভ করতে সাহায্য করে। ১২ বলে দরকার ছিল মাত্র ১১ রানের কিন্তু তার সত্বেও ম্যাচটি কিন্তু শেষ বল পর্যন্ত গিয়েছিল।
শেষের দিকে লখনও একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে তবে শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র এক রান এবং কোন রকমে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কাছ থেকে এই ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায় লখনও সুপার জায়ান্ট।।