বিগ আপডেট:চোটের বাহানা দিয়ে সিনিয়র প্লেয়ারকে ঘার ধাক্কা দিয়ে দল থেকে বের করলো BCCI !

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে শুক্রবার বলা হয়েছিল, শ্রেয়স আইয়ারের ইনজুরির কবলে পড়েছেন। সেই জন্যই সম্ভবত শেষ তিন টেস্টে তাঁকে না-ও রাখা হতে পারে। ফরোয়ার্ড ডিফেন্স-এর সময় শ্রেয়সের কুঁচকি এবং পিঠের পেশি নমনীয়তা হারাচ্ছিল। গত বছরই পিঠের অস্ত্রোপচারের পর এই সমস্যা এবারেই প্ৰথম অনুভব করছিলেন তারকা।শনিবার সকালে দল ঘোষণার সময় প্রত্যাশিতভাবেই ১৭ জনের স্কোয়াডে রাখা হয়নি ডান হাতি তারকা ব্যাটারকে। তবে ঘটনা হল, ইনজুরি নয়, ফর্মের কারণেই তাঁকে নাকি বাদ দেওয়া হয়েছে।

ইএসপিএন ক্রিকইনফো-র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রেয়সের ইনজুরি এতটাও গুরুতর নয়, যে তিন টেস্টের স্কোয়াডের বাইরে রাখতে হবে। আসলে নির্বাচকরা শ্রেয়সের ফর্মে সন্তুষ্ট নন, তাই তাঁকে বের করে দেওয়া হয়েছে।তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, জাতীয় দলের কোনও ক্রিকেটারের গুরুতর চোটের শিকার হলে বা বিশ্রামে রাখা হলে বিসিসিআইয়ের তরফে তা খুল্লামখুল্লা জানানো হয়। শনিবার দল ঘোষণার সময়ই যেমন স্পষ্ট করা হয়েছে, রবীন্দ্র জাদেজা, কেএল রাহুলকে বাকি তিন টেস্টে রাখা হলেও তা ফিটনেসের-শর্তসাপেক্ষে। অর্থাৎ বোর্ডের মেডিক্যাল টিম ফিট শংসাপত্র দিলেই প্ৰথম একাদশে সুযোগ দেওয়া হবে দুই তারকাকে।

```

এছাড়াও দল নির্বাচনী ঘোষণার ফুটনোটে বলা হয়েছে, বিরাট কোহলি ব্যক্তিগত কারণে বাকি তিন টেস্ট থেকেও নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এমনকি মহম্মদ সিরাজকে দ্বিতীয় টেস্টে বিশ্রামে পাঠানোর পর পুনরায় যে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে, সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে। তবে বোর্ডের দল ঘোষণার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কোথাও নেই শ্রেয়স আইয়ার। এরপরেই তারকাকে বাদ দেওয়ার যুক্তি আরও জোরালো হয়েছে।বোর্ডের এক সূত্র, সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়ে দিয়েছেন, “মেডিক্যাল ইস্যুতে শ্রেয়সকে বাইরে রাখা হলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাঁর উল্লেখ থাকত। তবে সেরকম কিছু না থাকায় ধরে নিতে হবে ওঁকে বাদ দেওয়াই হয়েছে।”

শ্রেয়স না খেললেও স্কোয়াডে পূজারার মত অভিজ্ঞ কাউকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। পূজারা চলতি রঞ্জিতে তুখোড় ফর্মে ছিলেন। রানের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন। তবে ইংল্যান্ড সিরিজের শেষ তিন টেস্টেও তাঁকে না রাখার অর্থ স্পষ্ট, কোনওভাবেই পূজারা-রাহানেদের ফিরিয়ে আনতে চায় না টিম ম্যানেজমেন্ট। বরং রজত পতিদার, সরফরাজ খানদের মাধ্যমে তরুণ ক্রিকেটারদের আরও সুযোগ দেওয়ার পক্ষপাতী টিম ম্যানেজমেন্ট।

```

শ্রেয়স ছিটকে যাওয়ায় রজত পাতিদার আরও একবার সুযোগ পাবেন। কেএল রাহুল না নামলে শিকে ছিঁড়তে পারে সরফরাজ খানের। টেস্টে ২০২২-এ শেষবার শ্রেয়স ফিফটি প্লাস ইনিংস খেলেছিলেন। তাও আবার দুর্বল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। তারপর ১২ টেস্ট ইনিংসে শ্রেয়সের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৩৫।

তাঁকে আপাতত টেস্টের পরিকল্পনা থেকে ছেঁটে ফেলতে বাধ্য হল টিম ইন্ডিয়া।