ব্যাটে-বলে দুরন্ত পারফরমেন্সে অনবদ্য এন এক্স দিয়ে ইতিহাস বললেন এই প্লেয়ার

ভারতের মাটিতে আসন্ন ওডিআই বিশ্বকাপের জন্য সূচি প্রকাশ করেছে আইসিসি। সকলেই এই বিশ্বকাপের সূচিকে মন ভরে স্বাগত জানিয়েছেন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ আসন্ন ৫০ ওভারের বিশ্বকাপকে যুগান্তকারী টুর্নামেন্ট হিসাবে দেখছেন। অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটারই শেষ চারে কোন কোন দল জায়গা করে নেবে তা বেছে নিয়েছেন। বিশ্বকাপ নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেই। এরই মধ্যেই ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি একটি আবেগঘন টুইট করেছেন। যা সকলের চোখে পড়েছে।

দুর্ভাগ্যবশত তাঁর অধীনে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারেনি। উল্লেখ্য গত বছর ভারতীয় বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি তিনি।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ভারতীয় বোর্ডের সভাপতি থাকাকালীন অনেকগুলি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর আমলে উইমেন্স প্রিমিয়র লিগ নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয় বোর্ডের অন্দরে। তবে অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ না পাওয়া থেকে বঞ্চিত ছিলেন তিনি। নিজের দ্বিতীয় ইনিংসে সভাপতি থাকাকালীন বিশ্বকাপ আয়োজন করার সুযোগ পেলেও করোনার জন্য দেশের বাইরে করতে হয়।

সম্প্রতি তিনি টুইট করে লেখেন, ‘ভারত বিশ্বকাপ আয়োজন করার জন্য এগিয়ে চলেছে। এই টুর্নামেন্ট কতই না চমৎকার হতে চলেছে। দারুণ সব ভেন্যু। দারুণ বরাদ্দ। এতগুলি ভেন্যুর জন্য কোনও দেশই গর্ব করতে পারবে না। বিসিসিআই এটাকে মনে রাখার মতো একটি টুর্নামেন্টে পরিণত করবে। ভারতীয় বোর্ড সচিব জয় শাহ, সভাপতি রজার বিনি এবং অন্যান্য সকল কর্মকর্তা ও কর্মীদের অভিনন্দন।’‌সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সিএবির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করার পরে ইংল্যান্ডে ২০১৯ বিশ্বকাপের পরপরই ওই সালেই অক্টোবরে ৩৫তম ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন।

তিনি যখন বোর্ডের সভাপতি ছিলেন তখন ভারতে ২০২০ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। সেই বছর টুর্নামেন্ট স্থগিত থাকার পর পরের বছরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ফের করোনার ঢেউ আছড়ে ভারতের ওপর। তাই ভারত থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সরিয়ে নিয়ে আয়োজন করা হয় সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। গত বছর সভাপতির পদ থেকে সরে আসার আগে পর্যন্ত তিন বছর তিনি এই দায়িত্ব সামলেছেন। তবে সেই সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে অনেকগুলি অভিযোগও ওঠে।

কোহলি এবং এবং সৌরভ ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সফল দুই অধিনায়ক। কিন্তু তারা একে অপরের অধিনায়কত্বের বিরুদ্ধে কথা বলতে থাকেন। টি-টোয়েন্টি দল থেকে কোহলি অধিনায়ক হিসেবে সরে দাঁড়ানোর পর বিতর্ক আরো বাড়ে। তবে সেই সময় সৌরভ জানিয়েছিলেন তিনি এবং বিসিসিআই চেয়েছিলেন কোহেলি যেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত ফের বিবেচনা করুক। কিন্তু কোহলির তরফ থেকে বলা হয়, এমন কিছু তাকে জানানো হয়নি। ফলে বিতর্ক আরও বাড়ে।