৮৩ বছর বয়সী রতন টাটা এখনো এই ২৮ বছর বয়সী যুবকের কাছে পরামর্শ নেন,জেনে নিন কে এই যুবক

আজকের সময় সবাই কাজের পরিবর্তে ব্যবসাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। অন্য কারোর তত্ত্বাবধান এর চেয়ে নিজের চিন্তা বুদ্ধি দিয়ে কাজ করা টাকে তারা বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। অনেকে অনেক দেরীতে সফল হয় আবার অনেকের তরুণ বয়সেই অনেক সাফল্য পেয়ে যায়। এরকম একজন যুবক হলেন সান্তনু নাইডু।শান্তনু নাইডু মাত্র 28 বছর বয়সী এবং দেশের বিখ্যাত ব্যবসায়ী রতন টাটাও তার ধারণার ভক্ত। কথিত আছে যে টাটা গ্রুপের 83 বছর বয়সী প্রাক্তন চেয়ারম্যান রতন টাটা শান্তনুর কাছ থেকে ব্যবসায় পরামর্শ নিয়েছিলেন এবং তার কথা মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু কে এই শান্তনু ?

শান্তনুর সংস্থার নাম মোটোপাওস। এই সংস্থা কুকুরদের জন্য কাজ করে। শান্তনু সমস্ত অন্ধকারে জ্বলতে থাকা কুকুরের কলারের ও উৎপাদন করে। এর কারণে রাতের অন্ধকারে কুকুরেরা দৃষ্টিগোচর হয় এবং তাদের জীবন সহজেই বাঁচানো যায়। শান্তনুর এই সংস্থাটি চারটি দেশ এবং কুড়ি টির বেশি শহরে প্রসারিত হয়েছে। রাতের অন্ধকারের কারণে অনেক সময় কুকুরদের কে প্রাণ হারাতে হয়।সান্তনু কুকুরের জীবন বাঁচাতে তার সংস্থার অধীনে কুকুরের কলারের ডিজাইন এবং উৎপাদন করা শুরু করেছিলেন। শান্তনু বলেছেন যে রাতের অন্ধকারে চালকরা সহজে রাস্তায় কুকুর দেখতে পান না যার কারণে যানবাহনের তীব্র গতির কবলে পড়ে অনেক কুকুর মারা যায়। এমন পরিস্থিতিতে শান্তনু কুকুরের জন্য কিছু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এই মেটাফেজ নামে একটি কলার তৈরি করা হয়েছিল। স্ট্রিটলাইট না থাকলেও চালকেরা এই কলারের রিফ্লেক্টর এর কারণে দূর থেকে কুকুরদের দেখতে পাবেন। টাটা গ্রুপের সংস্থাগুলির নিউজলেটারেও এই কাজের প্রশংসা হয়েছিল। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রতন টাটাও কুকুর খুব পছন্দ করেন।এবার শান্তনু টাটা গ্রুপের কাছে একটি চিঠি লেখেন এবং তিনি রতন টাটার সাথে দেখা করার সুযোগ পান। এখনো অব্দি রতন টাটার সাথে শান্তনুর অনেক বার দেখা হয়েছে। 2018 সালে টাটার পক্ষ থেকে শান্তনুকে তাদের অফিসে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

শান্তনু খুশিতে টাটার সাথে কাজ করতে মেনে নেয় এবং সেটাকে সম্মান এর সাথে নিয়েছে।।