ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ইতিমধ্যেই পরাজিত হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। যদিও সেই ম্যাচে ভারতীয় দলের তরফ থেকে খুব একটা খারাপ পারফরমেন্স আসেনি তবে অলি পোপের অসাধারণ পারফরমেন্সের জন্য ভারতকে পরাজিত হতে হয়েছে। আর প্রথম ম্যাচের হারকে মুখোমুখি পিছনে ফেলে এবার দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। আর এই ম্যাচেই ধরা পড়লো এক অদ্ভুত ঘটনা।
ভারতীয় অফ স্পিনার আশ্বিন এখানে আম্পায়ারের সঙ্গে বেশ বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছেন এমনটা দেখা যায়। ভারতের এই অফ স্পিনারকে সাধারণত এমন চোখে দেখে ক্রিকেট ভক্তরা যে ভারতের এই অফ স্পিনারের ক্রিকেট সম্পর্কে যেমন তার অনেক জ্ঞান রয়েছে, পাশাপাশি ক্রিকেটের নিয়ম সম্পর্কে ও তার যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছে এবং সমস্ত কাজ সে নিয়মের মধ্যে থেকেই করে। আর এরকম একটি ক্রিকেটের নিয়ম সম্পর্কিত তর্ক বিতর্কে জরালো রবিচন্দ্রন আশ্বিন।
আশ্বিন ব্যাট করতে নামার আগে একটা উইকেট পরে ভারতীয় দলের। আর দিনের শেষ মুহূর্তে গিয়ে ব্যাট করতে নামে আশ্বিন। মোটামুটি ভাবে ম্যাচের শেষ ওভার খেলার দায়িত্ব তার ওপরেই পড়ে এবং সেখানে কয়েকটি বল খেলার পর একটা শ্লগ সুইপ তিনি মারেন, বলটা বাউন্ডারি ধারে গিয়ে পড়ে এবং 6 হতে হতে শেষ পর্যন্ত চার হয়।। ওভারের শেষ বলটিকেউ তিনি খুব সুন্দরভাবে ডিফেন্স করে ওভারটি শেষ করেন কিন্তু তার সত্ত্বেও অ্যাম্পিয়ার এখানে দিনের খেলা শেষ করতে চাইছিলেন না অথচ এটা ওই দিনের ৯৩ তম ওভার ছিল।
টেস্ট ক্রিকেটে নিয়ম অনুযায়ী টেস্ট ম্যাচের প্রত্যেক দিনের খেলা প্রায় ৯০ ওভার নির্ধারিত হয়ে থাকে কিন্তু এই ক্ষেত্রে ৯৩ ওভার পর্যন্ত খেলা হয়েছিল তার কারণ অবশ্যই ইংল্যান্ডের স্পিনার বেশি তাই খুব একটা সময় নষ্ট হয়নি। চারটে ২৯ পর্যন্ত যখন ফেলা হয় তখন ৯৩ তম ওভার শেষ হয়ে যায় অর্থাৎ আর মাত্র একটা মিনিটের খেলা বাকি ছিল এবং একটা মিনিটের মধ্যে কোনভাবেই আরো এক ওভার সম্ভব ছিল না তা সত্ত্বেও আম্পিয়ার চাইছিলেন আরো একটি ওভার করাতে কারণ হাতে এক মিনিট ছিল।
সেই জায়গাতেই রবিচন্দন আশ্বিন এটা আম্পেয়ারকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে কোনভাবেই আর খেলা এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটা সম্ভব নয় কারণ নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেছে আবার নির্ধারিত যে ৯০ ওভার করানো উচিত সেটাও হয়ে গেছে।।
সব মিলিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার ক্রিকেট ফ্যানরা বেশ মজা নিয়েছেন এই ব্যাপারে।