বিশ্ব ক্রিকেটের ফিনিশার, যিনি সাফল্যের সঙ্গে রান তাড়া করে দলকে ম্যাচ জিতিয়েছেন, সেই তালিকায় প্রথমে নাম আসবে মাইকেল বিভানের। অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি ব্যাটার থাকা মানেই বিপক্ষের বোলারদের রাতের ঘুম উড়ে যেত। যেমন ছিল তাঁর ব্যাটে ধারাবাহিকতা, আবার অন্যদিকে ছিল তাঁর মারকাটারি ব্যাটিংয়ের স্বভাব। চলতি আইপিএলে ঠিক এমন ফর্মে রয়েছেন কেকেআরের ব্যাটার রিঙ্কু সিং। মরশুমে কেকেআর যতবার রান তাড়া করতে নেমেছে ততবার রিঙ্কুর ব্যাটে দেখা গিয়েছে অবিশ্বাস্য ফর্ম, পাশাপাশি অবশ্যই ধারাবাহিকতা।
ঠিক যেমনটার সাক্ষী থাকল ইডেন গার্ডেন। এদিন লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে রান তাড়া করতে নেমে আইপিএলের ইতিহাসে একাধিক নজির গড়ে ফেললেন তিনি।চলতি মরশুমে কেকেআরের হয়ে সবকটি ম্যাচ খেলেছেন রিঙ্কু সিং। ব্যাট হাতে সব ম্যাচেই দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ রান করেছেন তিনি। তার মধ্যে রান তাড়া করার সময়ে তিনি করেছেন ৩০৫ রান। গড় ১৫২.৫০। স্ট্রাইক রেট ১৭৪. ২৯। যা এককথায় অকল্পনীয়। ফলে এই মরশুমে রান তাড়া করার সময়ে যে সব ব্যাটার ১০০ বা তার বেশি বল খেলেছেন তার মধ্যে রিঙ্কু ছাড়া আর কোন ক্রিকেটারের গড় ১০০ বা তার বেশি নেই।
চলতি মরশুমে তাঁর স্ট্রাইক রেট ও যথেষ্ট ভালো। এই তালিকাতেও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি।আইপিএলের ১৬তম মরশুমে রান তাড়া করে দলকে জেতানোর জুড়ি মেলা ভারত। তার মধ্যে বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য গুজরাট টাইটানস এবং পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে নাইটদের ম্যাচ। গুজরাটের বিরুদ্ধে তিনি যশ দয়ালকে পরপর পাঁচটি ছয় মেরে অবিশ্বাস্য জয় ছিনিয়ে আনেন। সেই ম্যাচে অপরাজিত ছিলেন ৪৮ রানে। এর কয়েক ম্যাচ পরে ঘরের মাঠে ইডেন গার্ডেনে পঞ্জাব কিংসকে হারায় কেকেআর।
সেই ম্যাচেও আর্শদীপ সিংকে শেষ বলে চার মেরে দলের হয়ে অনবদ্য জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। আর এদিন লখনউয়ের (সুপার জায়ান্টস) বিরুদ্ধে কেকেআরকে হারতে হয় মাত্র ১ রানে। আর এই ম্যাচেও কেকেআরের হয়ে রান তাড়া করার নায়ক রিঙ্কু। তিনি মাত্র ৩৩ বল খেলে ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৬টি চার এবং চারটি ছয়ে।
যদিও অল্পের জন্য কেকেআরকে ম্যাচে হারতে হয়েছে। তবুও রিঙ্কু সিংয়ের এই দুরন্ত লড়াই অনেকদিন মনে রাখবেন কেকেআর সমর্থকরা। পাশাপাশি টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল এই সিজনে যে খুব খারাপ পারফরম্যান্স কলকাতা নাইট রাইডার্স করেনি এমনটা বলা যায়। তবে যেহেতু কম্পিটিশন অনেক বেশি সেই কারণে নাইট রাইডার্স কে এইবার টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেতে হলো।