“রবি শাস্ত্রী,ভাজ্জিরা তোমাকে ভারতীয় দলে চাইছেন” উত্তরে যা বললেন রিঙ্কু,মন জিতলেন সকলের!

নাইটদের ফের আইপিএল ট্রফি জয়ের অপেক্ষা বাড়ল। লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে হেরে এ বারের মতো আইপিএল (IPL 2023) যাত্রা শেষ করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। আইপিএলের প্রতি মরসুমেই কোনও না কোনও তরুণ ক্রিকেটারের উত্থান হয়। এ বার যেমনটা হয়েছে নাইট শিবিরে। আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিনদের পাশাপাশি কেকেআরের সমর্থকদের মুখে এখন রিঙ্কু সিংয়ের (Rinku Singh) নাম। সকল কেকেআর সমর্থক চিনে নিয়েছেন নাইট তারকা রিঙ্কুকে। আলিগড়ের রিঙ্কু এখন কেকেআরের এক্স ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

১৬তম আইপিএলে কেকেআরের অন্যতম সেরা প্রাপ্তি হল বছর ২৫ এর রিঙ্কু সিং। শনি-রাতে প্রায় লখনউয়ের মুখের গ্রাস কেড়ে নেওয়ার সামনে পৌঁছে গিয়েছিলেন রিঙ্কু। কিন্তু শেষ অবধি লড়াই করেও দলকে জেতাতে পারেননি রিঙ্কু। এ বারের আইপিএল থেকে নাইটদের বিদায়ের পরও সকলের মুখে একটাই নাম — রিঙ্কু সিং। ১৬তম আইপিএলে কেকেআরের সমর্থকরা একটা ক্যাচলাইন তৈরি করে ফেলেছিলেন, ‘শেষবেলায় ক্রিজে রিঙ্কু থাকা মানা সবই সম্ভব।’ এই রিঙ্কুকে জাতীয় দলে দেখতে চান বলে দাবি তুলেছেন অনেকেই। সেই তালিকায় ভারতের প্রাক্তন হেড স্যার রবি শাস্ত্রী, টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার হরভজন সিংরাও রয়েছেন। খোদ রিঙ্কু জাতীয় দলে ডাক নিয়ে কী ভাবছেন?

চলতি আইপিএলে কেকেআরের হয়ে ১৪টি ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন রিঙ্কু। একাধিক নজরকাড়া ইনিংস খেলেছেন তিনি। ১৪ ম্যাচে ৪৭৪ রান করে আপাতত কমলা টুপির দৌড়ে ৯ নম্বরে রয়েছেন কেকেআরের রিঙ্কু। সর্বাধিক ৬৭*। গড় ৫৯.২৫। স্ট্রাইকরেট ১৪৯.৫২। রয়েছে ৪টি হাফসেঞ্চুরি। রিঙ্কুর দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স দেখে অনেকেই তাঁকে জাতীয় দলে নেওয়ার দাবি তুলেছেন। কেকেআর বনাম লখনউ ম্যাচের শেষে প্রেস কনফারেন্সে রিঙ্কু এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই রকমভাবে মরসুম কাটাতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। তবে আমি জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া নিয়ে খুব একটা ভাবছি না। বাড়ি ফিরে যাব। পুরনো রুটিনে ফিরব, জিম করব। আগে যা যা কাজ করতাম সেগুলোই করব।’

শনিবার ইডেনে ৩৩ বলে ৬৭ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছেন রিঙ্কু। একটা সময় ক্রিকেটের নন্দনকাননের ভরা গ্যালারি ‘রিঙ্কু-রিঙ্কু’ ধ্বনিতে মাতিয়ে রেখেছিল। ম্যাচের শেষে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ওই সময় তাঁর কী মনে হচ্ছিল? ম্যাচের পর রিঙ্কু বলেন, ‘ওই সময় পাঁচ ছক্কার ম্যাচের কথা মনে পড়ছিল। আমি একেবারে রিল্যাক্স মুডে ছিলাম। মনে মনে বলছিলাম যা হবে দেখা যাবে।’

রিঙ্কু আরও আরও বলেন, ‘আমার পরিবারের সকলে ভীষণ খুশি। শেষ ইনিংসটার (গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে) পর লোকে আমাকে চিনতে শুরু করেছে। গুজরাটের বিরুদ্ধে ওই ম্যাচে পাঁচটি ছয় হাঁকানোর পর প্রচুর আমি সম্মান পেয়েছি। যা দারুণ লেগেছে। আজও তেমনটা হলে খুব ভালো হত।’