ভারতীয় ক্রিকেট থেকে শুরু করে এই মুহূর্তে সব থেকে বেশি চর্চায় যে নাম রয়েছে সেটা হল উত্তরপ্রদেশের একটা ছোট্ট জায়গা থেকে আসা এক গরিব ছেলে রিঙ্কু সিং। রিংকু সিং এর ছোটবেলাটা কেটেছে ভীষণ গরিবিতে, বড় হয়ে যখন তিনি ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন তখন আর্থিকভাবে আরো বেশি জর্জরিত রিঙ্কু, তার পরিবারের ইতিমধ্যেই বেশ কিছু দেনা রয়েছে যা মেটাতে জেরবার হয়ে যাচ্ছে তার পরিবার, এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও লড়াই করে ক্রিকেট খেলতে চেয়েছে রিঙ্কু। তবে রিংকুর এখন অবস্থা কি রকম ?
তাঁর বাবা এখনও বাড়ি বাড়ি গ্যাস সরবরাহ করেন। ছেলে বাবাকে অনেকবার বলেছে, কাজটা ছেড়ে দিতে। কিন্তু রিংকু সিংয়ের বাবা রাজি নন।গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে শেষ পাঁচটা বলে পাঁচটি ছক্কা। রিংকু এখন হট টপিক। তবুও তাঁর বাড়ির অবস্থা যে বদলায়নি। ছেলে এখন স্টার। কিন্তু বাবা-মা এখনও আগের মতোই রয়েছেন।রিংকু সিংয়ের বাবার সায় ছিল না ছেলে ক্রিকেট খেলকু। তবে তাঁর মা ছেলেকে সমর্থন করতেন।
প্রথমবার রিংকু যখন কানপুরে একটি টুর্নামেন্ট খেলতে যান, তখন তাঁর মা ছেলেকে প্রতিবেশীর থেকে ১০০০ টাকা ধার নিয়ে দেন।অনেকেই এখন ভাবেন, রিংকু সিং মাসে কত টাকা উপার্জন করেন এখন! রিংকু সিং ভারতীয় ক্রিকেটের সব থেকে বড় কম্পিটিশন আইপিএলের সাথে বেশ কিছু বছর ধরে যুক্ত কিন্তু সুযোগ ঠিক মতো পাচ্ছিলেন না। রিংকুকে ২০১৭ আইপিএলে দলে নিয়েছিল পঞ্জাব কিংস। ১০ লাখ টাকায়। কিন্তু সেই ভাবে সুযোগ সেখানে তিনি পাননি, ঠিক তার পরের বছরেই কলকাতা নাইট রাইডার্সের নজরে চলে আসে রিঙ্কু সিং।
ভালো ক্রিকেট খেলে নির্বাচকদের নজরে বারংবার তিনি এসেছেন কিন্তু ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি আইপিএলে। ২০১৮ সালে কেকেআর রিংকুকে ৮০ লাখ টাকায় দলে নেয়। রিংকু সেই টাকা পেয়ে বাড়ি তৈরি করেছিলেন। বাবাকে একটি গাড়ি কিনে দেন। পরিবারের কিছু ধার-দেনা ছিল। সেটা শোধ করেন। যদিও কলকাতা নাইট রাইডার্সেও লাগাতার ম্যাচ খেলার সুযোগ তিনি পাননি কখনো কখনো একটা আধটা ম্যাচ তিনি খেলতে পেয়েছেন।। কিন্তু দু-তিন বছর ধরে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের সাথে থাকার পর স্পষ্টতোই রিংকুর খেলাতে অনেক পরিবর্তন আসে, আরো অনেক ভালো একটা পরিপক্ক ব্যাটসম্যান এ পরিণত হয় রিঙ্কু যার ফলস্বরূপ ২০২২ সালের আইপিএল থেকে কলকাতা নাইট রাইডার্স এর মিডেল অর্ডারের ভরসাযোগ্য ব্যাটসম্যান এ পরিণত হয় সে। কিন্তু ২০২২ সালের নিলামে কম টাকা পেয়েছে রিঙ্কু।
২০২২ নিলামে কেকেআর রিংকুকে নেয় ৫৫ লাখ টাকায়। অর্থাৎ আগের থেকে তাঁকে কম টাকায় দলে নিয়েছিল নাইটরা। কারণ নিলামে যেমন দাম উঠবে সেরকম দামেই পাবে এটাই স্বাভাবিক। তবে রিংকু সঙ্গে কলকাতা নাইট রাইডার্স এর মিডিল অর্ডারের এখন একজন পার্মানেন্ট সদস্য সেই নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এখন মাসে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা উপার্জন করেন রিংকু। তবে তাঁর উপার্জন বাড়বে। কারণ শীঘ্রই রিংকুকে হয়তো দেখা যাবে বিজ্ঞাপনে।